Ajker Patrika

দুই মাসেই ‘লালবাতি জ্বলছে’ নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থায়

  • পথচারীরা ব্যবহার করছেন না জেব্রা ক্রসিং।
  • কয়েক জায়গায় নিষ্ক্রিয় সিগন্যাল।
  • জেব্রা ক্রসিংয়ের পাশে হকার, রিকশার দখল।
  • কার্যকর না হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০: ১০
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় জেব্রা ক্রসিংয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যান একজন বাইক আরোহী। এ নিয়ে একজন পথচারীর সঙ্গে চলছে বাগ্‌বিতণ্ডা। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় জেব্রা ক্রসিংয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যান একজন বাইক আরোহী। এ নিয়ে একজন পথচারীর সঙ্গে চলছে বাগ্‌বিতণ্ডা। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে আসছে অতি সেকেলে হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে মিরপুরের হার্ট ফাউন্ডেশন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিংয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) অর্থায়নে বুয়েট দেশীয় প্রযুক্তিতে এসব বাতি প্রস্তুত করেছে।

চালু হওয়ার দুই মাস পর সিগন্যাল বাতির মোড়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনোটিই পথচারীরা ব্যবহার করছে না। কোনো কোনোটি পাওয়া যায় অচল।

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা সিগন্যাল ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সিগন্যাল বাতির উভয় পাশে রাস্তার কিনারে খুঁটির গায়ে রয়েছে পুশ বাটন ও নির্দেশিকা। রাস্তা পার হতে চাইলে পথচারীরা এই বাটনে চাপ দেবেন। ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষার পর খুঁটিতে সবুজ বাতি জ্বললে তাঁরা সড়ক পার হবেন। তখন যানবাহনের জন্য লালবাতি জ্বলা থাকবে।

৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায় পথচারী পারাপার বন্ধে লালবাতি জ্বলা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। কেউ পুশ বাটন চাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন না। দৃশ্যত তা অনেকের চোখেই পড়েনি। প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একজনকেও বাটন চাপতে দেখা যায়নি।

কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এই সিগন্যাল বাতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। রাসেল নামের মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করা হলেও কেউ এটি মানছে না। প্রথম কয়েকদিন দুয়েকজন তরুণকে পথচারীদের সহায়তায় থাকলেও পরে তাঁদের দেখা যায়নি।

হার্ট ফাউন্ডেশনের জেব্রাক্রসিংয়ের এক পাশের পুশ বাটন থাকা খুঁটির গোড়ায় বসে ছিল আখের রস বিক্রির গাড়ি। এর জন্য পুশ বাটনটিও ঠিকমতো পথচারীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশেই ব্যাটারিচালিত রিকশা পার্ক করে রাখতে দেখা যায়।

ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার জেব্রা ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিগন্যাল বাতি জ্বলছে না। রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি পদচারী-সেতু থাকার পরও সেখানে জেব্রা ক্রসিং করা হয়েছে। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এখানে আগে প্রায় সবাই পদচারী-সেতু ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশ মন্তব্য করেছেন, ফার্মগেটে এ বাতি বসানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ি ছাড়ার পরই পথচারীরা সড়কে নেমে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সিগন্যালটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।

একই দিন কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গিয়ে জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। কোনো বাতির সংকেত জ্বলতে দেখা যায়নি। পথচারীরা যে যার সুবিধামতো সড়ক পার হচ্ছিলেন। কেউ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে, আবার কেউ গোলচক্কর দিয়ে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, শেরাটনের জেব্রা ক্রসিংয়েও।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে যতগুলো জেব্রাক্রসিং রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবখানে সিগন্যালভিত্তিক লাইট সিস্টেম চালু করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প আগামীতে স্থায়ী করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. সরওয়ার বলেন, শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্যও সিগন্যাল থাকবে। প্রতিটিতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে।

নগরবিদদের কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। নগর পরিকল্পনাবিদ ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে গাড়ির জন্যই সিগন্যাল কাজ করছে না, সেখানে পথচারীদের জন্য তা কী কাজে আসবে? তিনি বলেন, ‘কোনো গবেষণা নেই। এখানে পুশ বাটন ব্যবস্থা কাজ করবে না। বিনিয়োগের অর্থ সব মাটি হবে। এই শহরের মানুষ ডিভাইডার, তারকাঁটা ডিঙিয়ে সড়ক পার হন, কেউ পুশ বাটন ব্যবহার করবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পর্যটকের বাড়তি চাপে ঠাঁই নেই হোটেল-মোটেলে

  • তিন দিনের ছুটিতে হোটেল-মোটেলের প্রায় সব কক্ষ বুকড
  • ২০২৫-কে বিদায় ও ২০২৬-কে স্বাগত জানাতে পর্যটকের চাপ আরও বাড়বে
  • বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কক্সবাজারে যানজট
কক্সবাজার প্রতিনিধি
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।

হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।

কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।

কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক ৭

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
মো. রিয়াদ খান।  ছবি: সংগৃহীত
মো. রিয়াদ খান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র‌্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।

৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত