Ajker Patrika

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিকে গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা হয়। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া, হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা হাদির বাড়িতে ছুটে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা হাদির বাড়িতে ছুটে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শহরের খাসমহল এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁর বাড়িতে ছুটে আসেন। তবে নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের কোনো সদস্য সাংবাদিক বা আগত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেননি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।

বর্তমানে হাদির বাসায় অবস্থান করছেন তাঁর বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন।

হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশী, সহপাঠী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হাদির স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর হাদির মতো একজন সক্রিয় কর্মীকে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।

এদিকে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

­যশোর প্রতিনিধি
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। খবর পাওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?’; ‘যে ভারত খুনি পালে, সেই ভারত ভেঙে দাও’; ‘ভারতীয় আধিপত্য ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব—জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘আপস না সংগ্রাম—সংগ্রাম সংগ্রাম’ এবং ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা, জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাফি এবং আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মিনহাজ।

সমাবেশে ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত পরিকল্পিতভাবে এই দেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে শরিফ ওসমান হাদিকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে কেউ যদি বাংলাদেশকে ভারতের কলোনি বানাতে চায়, তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ তা মেনে নেবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। এনসিপি স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত ডা. আহাদ এক ভিডিও বার্তায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফেনীতে বিক্ষোভ

ফেনী প্রতিনিধি
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ফেনী প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ, ট্যাংক রোড ও ফেনী মডেল থানা প্রদক্ষিণ করে খেজুর চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিল চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ‘আমি কে, তুমি কে? হাদি হাদি’; ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’; ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’; ‘শেম শেম, ইন্টেরিম ইন্টেরিম’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে’; ‘আর নয় প্রতিরোধ, এবার হবে প্রতিশোধ’; ‘দিল্লি যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’; ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারতভক্তি’; ‘সুশীলতার দিন শেষ, বিচার চাই বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে হাদি আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হাঁটতে আমরা লাখো হাদি প্রস্তুত। যত দিন এ দেশে ভারতীয় আধিপত্য থাকবে, তত দিন রাজপথে আমাদের লড়াই চলবে। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গনি রাসেল বলেন, ‘ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করার এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন এখনো প্রধান সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। জুলাইয়ের সম্মুখ যোদ্ধারা আজ জীবনের হুমকির মুখে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় না আনলে নির্বাচনের আগে আরও বহু “হাদি” হত্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

এর আগে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার দাবি করেন এবং শরিফ ওসমান হাদি হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ, আগুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পরপরই ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণঅধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ওসমান হাদির হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ওসমান হাদি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে তিনি হামলার শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলন্ত একটি রিকশায় থাকা অবস্থায় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর রাতেই তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া নিউরোসার্জন অধ্যাপক আবদুল আহাদ বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত