আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরেছেন তিনি আসলে পালিত কন্যা! আপাতত কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ফাইজা।
গত বছরের ১০ এপ্রিল ধানমন্ডির ৩০ নম্বর সড়কের বাসায় ঢুকে কোহিনূর বেগমকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ধানমন্ডি মডেল থানায় আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু বলে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। তবে ঘটনার তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর ওই বছরের ১৫ জুলাই কোহিনূর বেগমের বড়ভাই সালাহউদ্দীন মো. রহমতুল্লাহ ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘শ্বাসরোধে হত্যা’ উল্লেখ থাকায় সালাহউদ্দীন কোহিনূর বেগমের স্বামী রশীদ চৌধুরী ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা নূর–ই–রশীদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, কোহিনূর বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁর স্বামী রশীদ ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাম্পত্য জীবনের ১৪ বছর নিঃসন্তান ছিলেন ফার্মাসিস্ট কোহিনূর বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী। সন্তানের শূন্যতা পূরণে তাঁরা এক কন্যা নবজাতক দত্তক নেন। পরম স্নেহে সেই মেয়েকে লালন পালন করেন। দুই বছর পর কোহিনূর বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন। তাঁর কোল জুড়ে আসে পুত্র সন্তান। দুই সন্তানকেই তাঁরা সমান স্নেহে বড় করেন। এটি ৩০ বছর আগের কথা। দুই সন্তানই এখন প্রাপ্তবয়স্ক।
গত বছর কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে এটি আত্মহত্যা মনে করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বাসরোধে হত্যা। এতে কোহিনূর বেগমের বড়ভাইয়ের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় কোহিনূর বেগমের স্বামী মামুন রশীদ চৌধুরী ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা নুর রশীদ চৌধুরীকে। তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে পাঠানো হয় কারাগারে।
ঘটনার নয় মাস পর পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেল, কোহিনূর বেগম খুন হননি। তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর ফাইজা জানতে পারেন, যাদের এতদিন মা–বাবা ভেবে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। কোহিনূর বেগমের গর্ভজাত সন্তান নন। তিনি আসলে পালিত সন্তান!
তদন্ত প্রতিবেদনে ফাইজাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিন মাস কারাবাসের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান ফাইজা নূর। রশীদ এখনো কারাগারে। মাকে হত্যার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে ফাইজা বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটলে পৃথিবীর সব সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে!’ তিনি বলেন, ‘আমি এখন ট্রমার মধ্যে রয়েছি!’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই শাহীন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তাই নিহতের স্বামী কে বি এম রশীদ ও তাঁদের পালিত মেয়ে ফাইজা নূর–ই–রশীদকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
কোহিনূর বেগম নামকরা একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। তাঁর স্বামী মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ান। মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আইসিডিডিআর, বি–এর গবেষণা বিভাগে কাজ করেন। ফাইজা নূর ও তাঁর ভাই সাবিক নূর রশীদ ধানমন্ডির ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরেছেন তিনি আসলে পালিত কন্যা! আপাতত কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ফাইজা।
গত বছরের ১০ এপ্রিল ধানমন্ডির ৩০ নম্বর সড়কের বাসায় ঢুকে কোহিনূর বেগমকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ধানমন্ডি মডেল থানায় আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু বলে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। তবে ঘটনার তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর ওই বছরের ১৫ জুলাই কোহিনূর বেগমের বড়ভাই সালাহউদ্দীন মো. রহমতুল্লাহ ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘শ্বাসরোধে হত্যা’ উল্লেখ থাকায় সালাহউদ্দীন কোহিনূর বেগমের স্বামী রশীদ চৌধুরী ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা নূর–ই–রশীদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, কোহিনূর বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁর স্বামী রশীদ ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাম্পত্য জীবনের ১৪ বছর নিঃসন্তান ছিলেন ফার্মাসিস্ট কোহিনূর বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী। সন্তানের শূন্যতা পূরণে তাঁরা এক কন্যা নবজাতক দত্তক নেন। পরম স্নেহে সেই মেয়েকে লালন পালন করেন। দুই বছর পর কোহিনূর বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন। তাঁর কোল জুড়ে আসে পুত্র সন্তান। দুই সন্তানকেই তাঁরা সমান স্নেহে বড় করেন। এটি ৩০ বছর আগের কথা। দুই সন্তানই এখন প্রাপ্তবয়স্ক।
গত বছর কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে এটি আত্মহত্যা মনে করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বাসরোধে হত্যা। এতে কোহিনূর বেগমের বড়ভাইয়ের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় কোহিনূর বেগমের স্বামী মামুন রশীদ চৌধুরী ও তাঁদের মেয়ে ফাইজা নুর রশীদ চৌধুরীকে। তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে পাঠানো হয় কারাগারে।
ঘটনার নয় মাস পর পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেল, কোহিনূর বেগম খুন হননি। তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর ফাইজা জানতে পারেন, যাদের এতদিন মা–বাবা ভেবে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। কোহিনূর বেগমের গর্ভজাত সন্তান নন। তিনি আসলে পালিত সন্তান!
তদন্ত প্রতিবেদনে ফাইজাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিন মাস কারাবাসের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান ফাইজা নূর। রশীদ এখনো কারাগারে। মাকে হত্যার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে ফাইজা বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটলে পৃথিবীর সব সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে!’ তিনি বলেন, ‘আমি এখন ট্রমার মধ্যে রয়েছি!’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই শাহীন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তাই নিহতের স্বামী কে বি এম রশীদ ও তাঁদের পালিত মেয়ে ফাইজা নূর–ই–রশীদকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
কোহিনূর বেগম নামকরা একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। তাঁর স্বামী মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ান। মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আইসিডিডিআর, বি–এর গবেষণা বিভাগে কাজ করেন। ফাইজা নূর ও তাঁর ভাই সাবিক নূর রশীদ ধানমন্ডির ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।

একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
৫ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের...
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার....
২৭ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
তুরিন আফরোজকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার বাদী তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
তুরিন আফরোজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোর্শেদ হাসান শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালে তুরিন আফরোজ ও তাঁর গাড়িচালক আমির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন মনজুর আলম নাহিদ নামের একজন ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী মনজুর আলম নাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ‘নাবিশা এন্টারপ্রাইজ’-এর মাধ্যমে বহুমুখী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর অন্যতম ব্যবসা হলো ভারত থেকে তৈরি বাস ও ট্রাক আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি ও লিজ দেওয়া।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তুরিন আফরোজ তাঁর কাছ থেকে নগদে ৭৮ লাখ টাকায় দুটি বাস কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে ২০২১ সালের ১ জুলাই কিস্তির ভিত্তিতে ৭৮ লাখ টাকায় বাস দুটি ক্রয় করেন। এর মধ্যে তিনি ৪৮ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি কিস্তির টাকা পরিশোধ থেকে বিরত থাকেন। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ মনজুর আলম নাহিদ কিস্তির টাকা পরিশোধের বিষয়ে তুরিন আফরোজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি তাঁকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর ২ এপ্রিল আবারও টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানানো হলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল তুরিন আফরোজের গাড়িচালক আমির হোসেন ৭–৮ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনজুর আলম নাহিদকে হুমকি দেন। পরদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে তুরিন আফরোজ ও আমির হোসেন ২০–২৫ জনকে নিয়ে বসুন্ধরায় মনজুর আলম নাহিদের বাসায় গিয়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তাঁকে মারধর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তুরিন আফরোজকে আটক করে পুলিশ। আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় পরদিন তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
তুরিন আফরোজকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার বাদী তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
তুরিন আফরোজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোর্শেদ হাসান শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালে তুরিন আফরোজ ও তাঁর গাড়িচালক আমির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন মনজুর আলম নাহিদ নামের একজন ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী মনজুর আলম নাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ‘নাবিশা এন্টারপ্রাইজ’-এর মাধ্যমে বহুমুখী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর অন্যতম ব্যবসা হলো ভারত থেকে তৈরি বাস ও ট্রাক আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি ও লিজ দেওয়া।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তুরিন আফরোজ তাঁর কাছ থেকে নগদে ৭৮ লাখ টাকায় দুটি বাস কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে ২০২১ সালের ১ জুলাই কিস্তির ভিত্তিতে ৭৮ লাখ টাকায় বাস দুটি ক্রয় করেন। এর মধ্যে তিনি ৪৮ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি কিস্তির টাকা পরিশোধ থেকে বিরত থাকেন। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ মনজুর আলম নাহিদ কিস্তির টাকা পরিশোধের বিষয়ে তুরিন আফরোজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি তাঁকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর ২ এপ্রিল আবারও টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানানো হলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল তুরিন আফরোজের গাড়িচালক আমির হোসেন ৭–৮ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনজুর আলম নাহিদকে হুমকি দেন। পরদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে তুরিন আফরোজ ও আমির হোসেন ২০–২৫ জনকে নিয়ে বসুন্ধরায় মনজুর আলম নাহিদের বাসায় গিয়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তাঁকে মারধর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তুরিন আফরোজকে আটক করে পুলিশ। আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় পরদিন তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরে
১৮ মে ২০২৪
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের...
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার....
২৭ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে। তিনি মো. হজরত আলী রহমানের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই মোস্তফা কামাল সৌদিপ্রবাসী। ছোট ভাই শাহীন আলম গাড়িচালক। সন্ত্রাসীদের হামলায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে দায়িত্বরত সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুর খবর জানার পর তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।
নিহত জাহাঙ্গীরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের অক্টোবরে জাহাঙ্গীর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুর ইসলাম বাধন বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাতে আমার ফুফাতো ভাই ও জাহাঙ্গীরের সহকর্মী মনির হোসেন এবং ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইমরান টেলিফোনে ঘটনাটি জানান। এর পর থেকে পরিবারের কান্না থামছে না। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী বাক্রুদ্ধ।’
আরিফুর ইসলাম আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও তিন বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন।’
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের মামা ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘অফিশিয়ালি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্যাপ্টেন ইমরান আমাদের বিষয়টা জানান। এর আগে গতকাল (শনিবার) রাতে আমাদের আত্মীয়স্বজন জানান যে জাহাঙ্গীর মারা গেছে।’
জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মো. শাহীন বলেন, ‘রাত দেড়টায় বাসায় ফিরে দেখি সবাই কান্নাকাটি করছে। পরে জানতে পারি, আমার ভাই বোমা হামলায় মারা গেছে।’ এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহীন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা হজরত আলী রহমান বলেন, ‘রাতে আমার এক ভাই ফোন দিয়ে বলছে সুদানে বোমা ফুটছে। পরে আমি বাড়িতে আইসা বলি, জাহাঙ্গীর যেহানো থাহে, ওইহানো বোমা ফুটছে বুলে। পরে শুনছি, বোম ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। আমার ছেলে যেখানে থাকত, এর থেকে একটু দূরে যারা থাকত, তারা রাতে জানাইছে।’
এই খবর আসার পর থেকে জাহাঙ্গীরের পরিবারে চলছে মাতম। জাহাঙ্গীরের পরিবার মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুপম দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মরদেহ কীভাবে আনা হবে, এ ব্যাপারে কোনো সরকারি নির্দেশনা এখনো পাইনি। আমরা যোগাযোগ রাখছি।’

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে। তিনি মো. হজরত আলী রহমানের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই মোস্তফা কামাল সৌদিপ্রবাসী। ছোট ভাই শাহীন আলম গাড়িচালক। সন্ত্রাসীদের হামলায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে দায়িত্বরত সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুর খবর জানার পর তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।
নিহত জাহাঙ্গীরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের অক্টোবরে জাহাঙ্গীর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুর ইসলাম বাধন বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাতে আমার ফুফাতো ভাই ও জাহাঙ্গীরের সহকর্মী মনির হোসেন এবং ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইমরান টেলিফোনে ঘটনাটি জানান। এর পর থেকে পরিবারের কান্না থামছে না। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী বাক্রুদ্ধ।’
আরিফুর ইসলাম আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও তিন বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন।’
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের মামা ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘অফিশিয়ালি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্যাপ্টেন ইমরান আমাদের বিষয়টা জানান। এর আগে গতকাল (শনিবার) রাতে আমাদের আত্মীয়স্বজন জানান যে জাহাঙ্গীর মারা গেছে।’
জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মো. শাহীন বলেন, ‘রাত দেড়টায় বাসায় ফিরে দেখি সবাই কান্নাকাটি করছে। পরে জানতে পারি, আমার ভাই বোমা হামলায় মারা গেছে।’ এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহীন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা হজরত আলী রহমান বলেন, ‘রাতে আমার এক ভাই ফোন দিয়ে বলছে সুদানে বোমা ফুটছে। পরে আমি বাড়িতে আইসা বলি, জাহাঙ্গীর যেহানো থাহে, ওইহানো বোমা ফুটছে বুলে। পরে শুনছি, বোম ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। আমার ছেলে যেখানে থাকত, এর থেকে একটু দূরে যারা থাকত, তারা রাতে জানাইছে।’
এই খবর আসার পর থেকে জাহাঙ্গীরের পরিবারে চলছে মাতম। জাহাঙ্গীরের পরিবার মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুপম দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মরদেহ কীভাবে আনা হবে, এ ব্যাপারে কোনো সরকারি নির্দেশনা এখনো পাইনি। আমরা যোগাযোগ রাখছি।’

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরে
১৮ মে ২০২৪
একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
৫ মিনিট আগে
বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার....
২৭ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাপানপ্রবাসীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা খন্দকার আবু জাফর জানান, ঘটনার সময় তিনি, তাঁর স্ত্রী, বড় ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে ছিলেন। ভোরে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতেই কয়েকজন ডাকাত তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জিম্মি করা হয়।
ডাকাতেরা বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এতে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ডাকাতেরা ছাদে উঠে গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বড় ছেলে ব্যবসায়ী খন্দকার মাইনুল ইসলাম জানান, ডাকাতেরা তাঁর কক্ষও তছনছ করেছে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতররা তাঁদের হত্যার হুমকি দেয় এবং পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে আবারও এসে ডাকাতি ও হত্যার হুমকি দেয়।
খন্দকার আবু জাফরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, ‘ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে কম্বল দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে রাখে। ডাকাত দলে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী ছিল। তারা বারবার বলছিল, শারীরিক ক্ষতি করবে না, তবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করবে এবং পুলিশে জানালে আবারও আসবে।’
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় পুলিশ সুপারের বাংলোর বিপরীতে ডয়চে ভেলের প্রবাসী সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলামের বাড়িতে দিনদুপুরে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাপানপ্রবাসীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা খন্দকার আবু জাফর জানান, ঘটনার সময় তিনি, তাঁর স্ত্রী, বড় ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে ছিলেন। ভোরে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতেই কয়েকজন ডাকাত তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জিম্মি করা হয়।
ডাকাতেরা বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এতে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ডাকাতেরা ছাদে উঠে গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বড় ছেলে ব্যবসায়ী খন্দকার মাইনুল ইসলাম জানান, ডাকাতেরা তাঁর কক্ষও তছনছ করেছে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতররা তাঁদের হত্যার হুমকি দেয় এবং পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে আবারও এসে ডাকাতি ও হত্যার হুমকি দেয়।
খন্দকার আবু জাফরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, ‘ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে কম্বল দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে রাখে। ডাকাত দলে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী ছিল। তারা বারবার বলছিল, শারীরিক ক্ষতি করবে না, তবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করবে এবং পুলিশে জানালে আবারও আসবে।’
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় পুলিশ সুপারের বাংলোর বিপরীতে ডয়চে ভেলের প্রবাসী সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলামের বাড়িতে দিনদুপুরে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে।

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরে
১৮ মে ২০২৪
একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
৫ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের...
৭ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে গালিব এই হুমকি দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এই ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ওই দিনই গালিব ফেসবুকে রাকসু জিএসকে লক্ষ্য করে এই হুমকি দেন।
আসাদুল্লা-হিল-গালিব তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসেরটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’
তিনি সালাহউদ্দিন আম্মারকে সতর্ক করে আরও লিখেছেন, ‘ছোট ভাই প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা, তা না হলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই, তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’
গালিবের এই পোস্টে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া কর, যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম টার্গেট কেন হইলাম না? আমার হাদি ভাই তো সাবধান হয়ে যেতে পারত! ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই জারি থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। হাদিদের প্রত্যেকটা ফোঁটা রক্তে বিপ্লবের ইতিহাস লিখবে। আরে আল্লাহর জান আল্লাহ নিবে, আমি আটকানোর কে?’
গতকাল রোববার সকালে সালাহউদ্দিন আম্মার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাইয়ের তিন মাস পর থেকেই কল, মেসেজ, ই-মেইলসহ নানা মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারেরা হুমকি দিয়ে আসছে। এক পোস্টে হাদি ভাইয়ের পর আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। এ জায়গায় কিছুটা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। আমরা এমন পথ বেছে নিয়েছি, হুমকি তো আসবেই। এগুলো এত গুরুত্ব দিচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক ফেসবুক পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মারের ছবি দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি এবং বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে গালিব এই হুমকি দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এই ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ওই দিনই গালিব ফেসবুকে রাকসু জিএসকে লক্ষ্য করে এই হুমকি দেন।
আসাদুল্লা-হিল-গালিব তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসেরটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’
তিনি সালাহউদ্দিন আম্মারকে সতর্ক করে আরও লিখেছেন, ‘ছোট ভাই প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা, তা না হলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই, তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’
গালিবের এই পোস্টে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া কর, যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম টার্গেট কেন হইলাম না? আমার হাদি ভাই তো সাবধান হয়ে যেতে পারত! ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই জারি থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। হাদিদের প্রত্যেকটা ফোঁটা রক্তে বিপ্লবের ইতিহাস লিখবে। আরে আল্লাহর জান আল্লাহ নিবে, আমি আটকানোর কে?’
গতকাল রোববার সকালে সালাহউদ্দিন আম্মার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাইয়ের তিন মাস পর থেকেই কল, মেসেজ, ই-মেইলসহ নানা মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারেরা হুমকি দিয়ে আসছে। এক পোস্টে হাদি ভাইয়ের পর আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। এ জায়গায় কিছুটা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। আমরা এমন পথ বেছে নিয়েছি, হুমকি তো আসবেই। এগুলো এত গুরুত্ব দিচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক ফেসবুক পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মারের ছবি দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি এবং বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

মা কোহিনূর বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা করেন মামা। তাতে আসামি হন বাবা মামুন রশীদ চৌধুরী ও মেয়ে ফাইজা নুর। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানাল, মা আত্মহত্যাই করেছেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ফাইজা। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছেন অন্য কারণে। মাকে হত্যার আসামি হওয়ার পর জানতে পেরে
১৮ মে ২০২৪
একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা এবং তাঁর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই নির্দেশ দেন।
৫ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের...
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার....
২৭ মিনিট আগে