নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভয়েসেস ফর ইন্টারেকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) তামাক কোম্পানির উল্লেখিত অনৈতিক কুট কৌশল ও ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে গবেষণা করে ফলাফল প্রকাশ করে।
আজ বুধবার ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় রেস্তোরাঁ গুলোতে 'আলোকিত রঙিন সজ্জিত বাক্স' (যার ভেতর সিগারেটের খালি প্যাকেট) বিজ্ঞাপনের উপকরণ হিসাবে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। যার সবগুলোতেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এর খালি প্যাকেট ও লোগো পাওয়া যায়। শতকরা ৭৩ ভাগ রেস্তোরাঁয় ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকায় এবং শতকরা ২৭ ভাগ রেস্তোরাঁর প্রবেশ পথে ও রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশন টেবিলের কাছে বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শনের জন্য তামাক কোম্পানি রেস্তোরাঁর মালিকদের এককালীন নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। এই অর্থের পরিমাণ সর্বোচ্চ পনেরো লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন চার লাখ টাকা। যার গড় পরিমাণ আট লাখ টাকা। এই নগদ সুবিধা ব্যাংক চেক এবং ব্যাংক ট্রান্সফার এই দুই মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই সুবিধা নেওয়ার সময় ৬০ শতাংশ রেস্তোরাঁ লিখিত চুক্তি করেছে এবং ৪০ শতাংশ মৌখিক চুক্তি করেছে।
তবে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বা ব্যবহার উৎপাদিত করার উদ্দেশ্যে, কোন দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান, বা কোন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। তা ছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে যে কোন উপায়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার না করার জন্য বলা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, তামাক কোম্পানিগুলো তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তামাক বিক্রয়কে উৎসাহিত করে। তারা বিভিন্ন কৌশল যেমন পণ্য বিক্রয়ের ওপর লক্ষ্যমাত্রা প্রদান, সেরা বিক্রেতাদের নাম তামাক কোম্পানির বিশেষ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী প্রদান এবং প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সরঞ্জাম যেমন বিছানা, আলমারি, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ইত্যাদি এবং বিলাস সামগ্রী এলইডি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ এবং দামি গিফট ভাউচার ইত্যাদি দিয়ে থাকে।
গবেষণা ফলাফল প্রকাশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিছু আইন বাস্তবায়ন হলেও, অনেক আইন কার্যকর হয়নি। আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের কাজ করতে হবে।’
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাংসদ অসীম কুমার উকিল, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী অতিরিক্ত সচিব হাসেম আলী খোন্দকার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ। আলোচকেরা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের নিশ্চিত করতে, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরও জোরদার করে সকল বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন, বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানান।

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভয়েসেস ফর ইন্টারেকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) তামাক কোম্পানির উল্লেখিত অনৈতিক কুট কৌশল ও ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে গবেষণা করে ফলাফল প্রকাশ করে।
আজ বুধবার ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় রেস্তোরাঁ গুলোতে 'আলোকিত রঙিন সজ্জিত বাক্স' (যার ভেতর সিগারেটের খালি প্যাকেট) বিজ্ঞাপনের উপকরণ হিসাবে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। যার সবগুলোতেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এর খালি প্যাকেট ও লোগো পাওয়া যায়। শতকরা ৭৩ ভাগ রেস্তোরাঁয় ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকায় এবং শতকরা ২৭ ভাগ রেস্তোরাঁর প্রবেশ পথে ও রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশন টেবিলের কাছে বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শনের জন্য তামাক কোম্পানি রেস্তোরাঁর মালিকদের এককালীন নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। এই অর্থের পরিমাণ সর্বোচ্চ পনেরো লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন চার লাখ টাকা। যার গড় পরিমাণ আট লাখ টাকা। এই নগদ সুবিধা ব্যাংক চেক এবং ব্যাংক ট্রান্সফার এই দুই মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই সুবিধা নেওয়ার সময় ৬০ শতাংশ রেস্তোরাঁ লিখিত চুক্তি করেছে এবং ৪০ শতাংশ মৌখিক চুক্তি করেছে।
তবে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বা ব্যবহার উৎপাদিত করার উদ্দেশ্যে, কোন দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান, বা কোন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। তা ছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে যে কোন উপায়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার না করার জন্য বলা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, তামাক কোম্পানিগুলো তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তামাক বিক্রয়কে উৎসাহিত করে। তারা বিভিন্ন কৌশল যেমন পণ্য বিক্রয়ের ওপর লক্ষ্যমাত্রা প্রদান, সেরা বিক্রেতাদের নাম তামাক কোম্পানির বিশেষ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী প্রদান এবং প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সরঞ্জাম যেমন বিছানা, আলমারি, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ইত্যাদি এবং বিলাস সামগ্রী এলইডি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ এবং দামি গিফট ভাউচার ইত্যাদি দিয়ে থাকে।
গবেষণা ফলাফল প্রকাশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিছু আইন বাস্তবায়ন হলেও, অনেক আইন কার্যকর হয়নি। আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের কাজ করতে হবে।’
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাংসদ অসীম কুমার উকিল, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী অতিরিক্ত সচিব হাসেম আলী খোন্দকার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ। আলোচকেরা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের নিশ্চিত করতে, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরও জোরদার করে সকল বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন, বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানান।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।
৩৫ মিনিট আগে
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এখানে আছি, মরব এখানেই। দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৮ একর জায়গায় হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গায় এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরি করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনিসংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।
বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জেসসংক্রান্ত সভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল–এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছে ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এখানে আছি, মরব এখানেই। দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৮ একর জায়গায় হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গায় এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরি করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনিসংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।
বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জেসসংক্রান্ত সভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল–এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছে ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে
২৯ ডিসেম্বর ২০২১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।
৩৫ মিনিট আগে
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
৪২ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে এখন আলোচনার ঝড়। গত রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রারের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। রাতের মধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও, চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন।
এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
রেজিস্ট্রার ও জিএস-এর মধ্যে সরাসরি বাগ্বিতণ্ডায় শোনা যায়, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করায় আম্মারকে বের হয়ে যেতে বলছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যেসব বাগ্বিতণ্ডা দেখা যায়:
জিএস আম্মার: আমি স্যার ভেতরে আসব না?
রেজিস্ট্রার: তোমাকে আমি বাইরে ১০ মিনিট ওয়েট (অপেক্ষা) করতে বলেছি।
জিএস আম্মার: আপনি স্যার চিঠি (চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিকে অপসারণের চিঠি) আটকে রাখছেন।
রেজিস্ট্রার (ক্ষুব্ধ হয়ে) : এই বেয়াদব ছেলে, কীসের চিঠি আটকে রাখছি আমি?
জিএস আম্মার: বেয়াদব তো আমি। ডেফিনেটলি বেয়াদব।
রেজিস্ট্রার: আমার সঙ্গে বেয়াদবি কেন? তুমি কে ওই ডিপার্টমেন্টের?
জিএস আম্মার: আমি কে মানে? আমি রাকসুর নির্বাচিত জিএস।
এ নিয়ে পরে সালাহউদ্দিন আম্মার সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রার প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং সেদিনও তাঁকে বারবার ‘গেট আউট’ বলে চিৎকার করেন। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তিনি ঘটনাটি যাচাই করতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম অভিযোগ করেন, সালাহউদ্দিন আম্মার অনুমতি ছাড়াই তাঁর দপ্তরে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে সভাপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল, কোনো ফাইল আটকে রাখা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষার্থীসংক্রান্ত বিষয় হলেও প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে রাকসু নেতাদের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।
এদিকে রেজিস্ট্রারের কক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার অভিযোগ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোবাশ্বের রাজ ফেসবুকে লিখেছেন, বাগ্বিতণ্ডার সময় সেখানে বিএনপির কেউ ছিলেন না, কেবল এনসিপি-এর নেতৃত্ব সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। তিনি অনুমান করেন, রেজিস্ট্রারের পিএস ভুলবশত এনসিপি নেতাদের ‘বিএনপির কর্মী’ ভেবে ভুল তথ্য দেন, যেখান থেকে ভুল–বোঝাবুঝি শুরু।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ (রাহী) এই ঘটনায় বিএনপির নাম জড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার অফিসে আম্মার ও শিক্ষক পরস্পরকে ধমকাচ্ছেন, অথচ বিএনপির নাম টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বিএনপির কেউ ছিল না।’
এদিকে, এই ঘটনায় প্রশাসনের একাংশের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে তাঁদের এ আচরণ পরিবর্তন হওয়াটা সমীচীন ছিল; কিন্তু এখনো প্রশাসনের কারও কারও আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাকসুর প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে এখন আলোচনার ঝড়। গত রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রারের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। রাতের মধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও, চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন।
এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
রেজিস্ট্রার ও জিএস-এর মধ্যে সরাসরি বাগ্বিতণ্ডায় শোনা যায়, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করায় আম্মারকে বের হয়ে যেতে বলছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যেসব বাগ্বিতণ্ডা দেখা যায়:
জিএস আম্মার: আমি স্যার ভেতরে আসব না?
রেজিস্ট্রার: তোমাকে আমি বাইরে ১০ মিনিট ওয়েট (অপেক্ষা) করতে বলেছি।
জিএস আম্মার: আপনি স্যার চিঠি (চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিকে অপসারণের চিঠি) আটকে রাখছেন।
রেজিস্ট্রার (ক্ষুব্ধ হয়ে) : এই বেয়াদব ছেলে, কীসের চিঠি আটকে রাখছি আমি?
জিএস আম্মার: বেয়াদব তো আমি। ডেফিনেটলি বেয়াদব।
রেজিস্ট্রার: আমার সঙ্গে বেয়াদবি কেন? তুমি কে ওই ডিপার্টমেন্টের?
জিএস আম্মার: আমি কে মানে? আমি রাকসুর নির্বাচিত জিএস।
এ নিয়ে পরে সালাহউদ্দিন আম্মার সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রার প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং সেদিনও তাঁকে বারবার ‘গেট আউট’ বলে চিৎকার করেন। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তিনি ঘটনাটি যাচাই করতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম অভিযোগ করেন, সালাহউদ্দিন আম্মার অনুমতি ছাড়াই তাঁর দপ্তরে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে সভাপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল, কোনো ফাইল আটকে রাখা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষার্থীসংক্রান্ত বিষয় হলেও প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে রাকসু নেতাদের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।
এদিকে রেজিস্ট্রারের কক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার অভিযোগ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোবাশ্বের রাজ ফেসবুকে লিখেছেন, বাগ্বিতণ্ডার সময় সেখানে বিএনপির কেউ ছিলেন না, কেবল এনসিপি-এর নেতৃত্ব সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। তিনি অনুমান করেন, রেজিস্ট্রারের পিএস ভুলবশত এনসিপি নেতাদের ‘বিএনপির কর্মী’ ভেবে ভুল তথ্য দেন, যেখান থেকে ভুল–বোঝাবুঝি শুরু।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ (রাহী) এই ঘটনায় বিএনপির নাম জড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার অফিসে আম্মার ও শিক্ষক পরস্পরকে ধমকাচ্ছেন, অথচ বিএনপির নাম টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বিএনপির কেউ ছিল না।’
এদিকে, এই ঘটনায় প্রশাসনের একাংশের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে তাঁদের এ আচরণ পরিবর্তন হওয়াটা সমীচীন ছিল; কিন্তু এখনো প্রশাসনের কারও কারও আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাকসুর প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন।’

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে
২৯ ডিসেম্বর ২০২১
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
২ মিনিট আগে
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।
৩৫ মিনিট আগে
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যেকোনো জাতীয় সনদে সুপারিশ ও বাস্তবায়নে তথাকথিত ঐকমত্য কমিশনের কোনো আইনি বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় সনদ সাংবিধানিক বৈধতা একমাত্র দিতে পারে গণপরিষদ বা গণভোট, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে।’
আজ সোমবার ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ।
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ৫ তারিখে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের পর অবিলম্বে নতুন গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল।
নতুন রাষ্ট্র গঠন না হয়ে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।’
এ সময় সংবিধানকে ফেলে দিয়ে সংবিধানের পরিবর্তে গঠনতন্ত্র শব্দটি ব্যবহারের পক্ষে মত দেন তিনি।
গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন নয় বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, গণতন্ত্র মানে জনগণের সামষ্টিক অভিপ্রায় বাস্তবায়িত করা, গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন নয়। জনগণ ক্ষমতার উৎস হলে ওই একবারই ভোট দেওয়ায় কি শেষ? নতুন রাষ্ট্র গঠনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দরকার। এই গণপরিষদেই সব সাংবিধানিক, আইনি এবং রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নের ফয়সালা করবে।
বর্তমান সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না বলে উপদেষ্টা সরকার হিসেবে অভিহিত করেন ফরহাদ মজহার।
যদি পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতো, তবে সেই সরকার তিনটি মূল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করত। এই নীতিগুলোকে জুলাই ঘোষণা হিসেবে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, রাষ্ট্র বিদ্যমান আইনে চলবে, তবে যদি তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রয়োগ করতে পারবে না, যা ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারে না, যা প্রাণ, প্রকৃতি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট করে।
ফরহাদ মজহার এই তিন নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক বেশি পাতার পরিবর্তে এক পৃষ্ঠার নীতি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।
সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর যে ক্ষমতা আসে, তাকে কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার বা গাঠনিক ক্ষমতা বলে। এই ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণ অভ্যুত্থানের শক্তির কাছে সমর্পণ করেছিল। সেই শক্তি কীসের যুক্তিতে এই ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিল এটাই প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান করলে যেমন সংবিধান স্থগিত করে ফরমানের দ্বারা দেশ চালায়, তেমনি গণ-অভ্যুত্থানের পর জনগণেরও আদেশের দ্বারা দেশ চালানোর ক্ষমতা থাকা উচিত ছিল। ৫ তারিখে আন্দোলনের নেতৃত্ব যদি ঘোষণা করত যে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আদেশে দেশ চলবে, তবে সেই প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা হতো না।
সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টার সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, র্যাব গঠনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর লোক এনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। যেসব সেনাসদস্য অপরাধ করেছেন, তাদের সামরিক আইনে (মিলিটারি কোর্টে) দ্রুত বিচার না করে সিভিল কোর্টে এনে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের বিচারিক প্রক্রিয়া, যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারকারী আদালত, প্রশ্নবিদ্ধ নয় কি? বরং অভিযুক্তদের বিচার না করতে সিভিল আইনে তাদের আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
জুলাই বেহাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি পক্ষকে দায়ী করে তাদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানান তিনি।

যেকোনো জাতীয় সনদে সুপারিশ ও বাস্তবায়নে তথাকথিত ঐকমত্য কমিশনের কোনো আইনি বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় সনদ সাংবিধানিক বৈধতা একমাত্র দিতে পারে গণপরিষদ বা গণভোট, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে।’
আজ সোমবার ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ।
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ৫ তারিখে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের পর অবিলম্বে নতুন গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল।
নতুন রাষ্ট্র গঠন না হয়ে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।’
এ সময় সংবিধানকে ফেলে দিয়ে সংবিধানের পরিবর্তে গঠনতন্ত্র শব্দটি ব্যবহারের পক্ষে মত দেন তিনি।
গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন নয় বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, গণতন্ত্র মানে জনগণের সামষ্টিক অভিপ্রায় বাস্তবায়িত করা, গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন নয়। জনগণ ক্ষমতার উৎস হলে ওই একবারই ভোট দেওয়ায় কি শেষ? নতুন রাষ্ট্র গঠনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দরকার। এই গণপরিষদেই সব সাংবিধানিক, আইনি এবং রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নের ফয়সালা করবে।
বর্তমান সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না বলে উপদেষ্টা সরকার হিসেবে অভিহিত করেন ফরহাদ মজহার।
যদি পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতো, তবে সেই সরকার তিনটি মূল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করত। এই নীতিগুলোকে জুলাই ঘোষণা হিসেবে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, রাষ্ট্র বিদ্যমান আইনে চলবে, তবে যদি তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রয়োগ করতে পারবে না, যা ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারে না, যা প্রাণ, প্রকৃতি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট করে।
ফরহাদ মজহার এই তিন নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক বেশি পাতার পরিবর্তে এক পৃষ্ঠার নীতি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।
সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর যে ক্ষমতা আসে, তাকে কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার বা গাঠনিক ক্ষমতা বলে। এই ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণ অভ্যুত্থানের শক্তির কাছে সমর্পণ করেছিল। সেই শক্তি কীসের যুক্তিতে এই ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিল এটাই প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান করলে যেমন সংবিধান স্থগিত করে ফরমানের দ্বারা দেশ চালায়, তেমনি গণ-অভ্যুত্থানের পর জনগণেরও আদেশের দ্বারা দেশ চালানোর ক্ষমতা থাকা উচিত ছিল। ৫ তারিখে আন্দোলনের নেতৃত্ব যদি ঘোষণা করত যে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আদেশে দেশ চলবে, তবে সেই প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা হতো না।
সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টার সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, র্যাব গঠনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর লোক এনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। যেসব সেনাসদস্য অপরাধ করেছেন, তাদের সামরিক আইনে (মিলিটারি কোর্টে) দ্রুত বিচার না করে সিভিল কোর্টে এনে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের বিচারিক প্রক্রিয়া, যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারকারী আদালত, প্রশ্নবিদ্ধ নয় কি? বরং অভিযুক্তদের বিচার না করতে সিভিল আইনে তাদের আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
জুলাই বেহাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি পক্ষকে দায়ী করে তাদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানান তিনি।

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে
২৯ ডিসেম্বর ২০২১
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার করা পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রুলসহ জামিন দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ওই দিনই হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে চেম্বার আদালতে।
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
আজ আপিল বিভাগ প্রথমে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল রাখলেও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়। পরে অস্বাক্ষরিত আদেশ রিকল করে আবেদনটি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আর মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে গেলে লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার করা পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রুলসহ জামিন দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ওই দিনই হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে চেম্বার আদালতে।
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
আজ আপিল বিভাগ প্রথমে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল রাখলেও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়। পরে অস্বাক্ষরিত আদেশ রিকল করে আবেদনটি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আর মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে গেলে লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে পড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙছেন দেশের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ মালিকেরা। তারা কুট কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে কিশোর এবং যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করছে
২৯ ডিসেম্বর ২০২১
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ এবং পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা কার্যত ৮ তারিখেই পরাজিত হয়ে গেছেন। এই সময়টাতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র টিকে রাখা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্র গঠন নয়।
৩৫ মিনিট আগে