আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অভিযুক্তদের সবাই মাদক কারবারি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগপত্রে চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া চারজন হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। একই হলে ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।
এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উল্লেখ করেছে, অভিযুক্ত মেহেদী, রিপন, কবুতর রাব্বি, পাপেল, হৃদয়, রবিন, সোহাগরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মেহেদীর নেতৃত্বে উদ্যানে কার্যক্রম চালায় তারা। মেহেদীর কাছ থেকে গাঁজা নিয়ে বাকিরা উদ্যানের মন্দির গেট এলাকায় বিক্রি করত। বিক্রি শেষে সব টাকা মেহেদীর কাছে জমা দেওয়া হতো। ঘটনার আগে রিপন ও রাব্বি মেহেদীকে ঠিকমতো টাকা না দিয়ে বলে— কিছু মাস্তান তাদের গাঁজা বিক্রির টাকা জোর করে নিয়ে গেছে, এ কারণে তারা গাঁজা বিক্রির টাকা নিয়মিত জমা দিতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে মেহেদী সবাইকে এক হয়ে ওই মাস্তানদের প্রতিহত করার কথা বলে। কয়েকজনকে সুইচ গিয়ার (চাকু) ও ইলেকট্রিক টেজারগান কিনে দেয়। সাম্য ও তাঁর বন্ধুরা মেহেদী, কবুতর রাব্বি ও রিপনদের উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন। এ থেকে তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন ১৩ মে রাতে কবুতর রাব্বি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের কাছে গাঁজা বিক্রি করছিল। তার কাছে সে সময় একটি টেজারগান ছিল। কবুতর রাব্বি টেজারগান এবং সুইচ গিয়ার নিয়ে সব সময় চলাফেরা করত ও মাদক বিক্রি করত। কবুতর রাব্বির সঙ্গে পাপেল ও রিপন সব সময় থাকত। ওই রাতে সাম্য দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মুক্তমঞ্চের দিকে গেলে কবুতর রাব্বির হাতে ইলেকট্রিক টেজারগান দেখতে পেয়ে তাকে থামতে বলেন।
রাব্বি তখন মুক্তমঞ্চ থেকে ৩০-৩৫ গজ দূরে ঘটনাস্থল গোলপুকুরের (পুরাতন ফোয়ারা) দিকে দৌড় দেয়। সাম্য মোটরসাইকেলে চড়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং টেজারগানটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। টেজারগানটি না দিলে সাম্য রাব্বিকে চড়-থাপ্পর মারেন। রাব্বির চিৎকারে পাপেল, মন্দিরের পাশে ক্যান্টিন থেকে রিপন, মেহেদী, সোহাগ, হৃদয় ও রবিনরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে সাম্য ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাঁদের ধস্তাধস্তিতে ঘটনাস্থলে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল পড়ে গিয়ে লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। তখন ওই মোটরসাইকেলের আরোহী একজন (পলাশ সর্দার) তাদের অন্যত্র গিয়ে মারামারি করতে বলেন। মেহেদী মোটরসাইকেলের সেই ব্যক্তিকে (পলাশ) চোখে-মুখে ঘুষি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। তা দেখে তাঁদের সঙ্গে থাকা অপর একজন (সম্রাট মল্লিক) এগিয়ে গেলে মেহেদী তার কাছে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) দিয়ে তাঁর ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
একই সময়ে সাম্যর সঙ্গে হাতাহাতি করতে থাকা পাপেলকে ছাড়িয়ে নিতে মেহেদী সাম্যর বুকে ঘুষি মারে এবং কবুতর রাব্বির কাছে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) দিয়ে সাম্যর ডান পায়ের রানে আঘাত করে। এতে সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
সাম্যর বন্ধুদের (রাফি, বায়েজিদ) সঙ্গে মোটরসাইকেলের অপর ব্যক্তির মারামারি চলাকালে সবার চিৎকারে মন্দিরের ভেতরে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে এবং আশপাশের আরও লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে থাকলে আসামিরা দক্ষিণ দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মন্দিরের প্রবেশ গেটের কাছে আগে থেকেই রাখা একটি মোটরসাইকেলে করে কবুতর রাব্বিকে নিয়ে মন্দিরের উত্তর পূর্ব পাশের পেছন দিকে মেহেদীর আস্তানায় পালিয়ে যায় রিপন।
মামলার অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া সুজন সরকারের সঙ্গে থাকা অপর লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তারা সাম্যর বন্ধুদের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে সুজন সরকার মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন সাম্য মারা গেছেন। তখন ফেসবুক লাইভে এসে জানান, সাম্যর বন্ধুরা যদি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেত তাহলে এত রক্তক্ষরণে সাম্য মারা যেতেন না। ওই লাইভ পরে ভাইরাল হয়। কিন্তু মারামারির সময় ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতি ছিল না। আসামিদের সঙ্গে তাঁর কোনো পূর্ব পরিচিতি বা যোগসূত্র ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুজন সরকার তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন তিনি ঢাকাতে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন এবং তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় দুপুরের খেয়ে সন্ধ্যার পর তাঁর দুই আত্মীয়সহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে এসেছিলেন। ঘটনার পরে কালীমন্দিরের গেট দিয়ে বাসায় ফেরার পথে আহতদের ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
পরদিন সাম্যর মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে তিনি ফেসবুকে ওই ঘটনা নিয়ে পোস্ট করেন। সাম্যর বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি এবং আসামি সুজন সরকার একই গ্রামের হওয়ায় তাঁদের মধ্যে পূর্বশত্রুতার কারণে সাক্ষীরা তাঁকে ‘ওই ঘটনায় জড়িত’ বলে সন্দেহ করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তদন্তকালে এই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থলে আরেক মোটরসাইকেলে ছিলেন তামিম, সম্রাট, পলাশ। তাঁদের মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মারামারিতে অংশগ্রহণকারী অন্যদের থামানোর চেষ্টা করলে তাঁরাও আসামিদের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। উপস্থিত সাক্ষীসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগত অন্য লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে তাঁরা তিনজন আহত অবস্থায় সেই স্থানে অবস্থান করেন।
সাম্যর সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু ও মামলার সাক্ষী রাফি এবং বায়েজিদ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন তামিম, সম্রাট ও পলাশ তুলনামূলক কম আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই থাকেন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসার জন্য পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে যান এবং একজন রাজাবাজার এলাকায় যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোটরসাইকেল চালক নাসিরের ৯৯৯-এ ফোনকলের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সাক্ষীদের বক্তব্য শুনে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। তখন তামিম, সম্রাট ও পলাশদের শমরিতা হাসপাতাল ও রাজাবাজার এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকালে জানা যায়, আসামি মো. তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক (২৮), ঢাকার গুলিস্তান ও ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাতে ভ্যানগাড়িতে জামা-কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি মো. পলাশ সরদার (৩০) গ্রামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ফুটপাতে ব্যবসা শেষে রাতের বেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রে ঘুরতে আসেন এবং ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে গল্প করছিলেন। তঁদের সঙ্গে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি মেহেদী ও তাঁর গ্রুপের কোনো সদস্যের পূর্ব পরিচয় ছিল না। এ ছাড়া সাম্য ও তাঁর বন্ধু বায়েজিদ, রাফিদের সঙ্গেও কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না। এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার অভিযুক্ত আসামিদের হাত থেকে সাম্যকে রক্ষা করতে এসে তামিম হাওলাদার মাথায় ইটের আঘাত, সম্রাট পায়ে ছুরির আঘাত এবং পলাশের চোখে জখম হয়। তাঁরা এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অভিযুক্তদের সবাই মাদক কারবারি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগপত্রে চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া চারজন হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। একই হলে ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।
এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উল্লেখ করেছে, অভিযুক্ত মেহেদী, রিপন, কবুতর রাব্বি, পাপেল, হৃদয়, রবিন, সোহাগরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মেহেদীর নেতৃত্বে উদ্যানে কার্যক্রম চালায় তারা। মেহেদীর কাছ থেকে গাঁজা নিয়ে বাকিরা উদ্যানের মন্দির গেট এলাকায় বিক্রি করত। বিক্রি শেষে সব টাকা মেহেদীর কাছে জমা দেওয়া হতো। ঘটনার আগে রিপন ও রাব্বি মেহেদীকে ঠিকমতো টাকা না দিয়ে বলে— কিছু মাস্তান তাদের গাঁজা বিক্রির টাকা জোর করে নিয়ে গেছে, এ কারণে তারা গাঁজা বিক্রির টাকা নিয়মিত জমা দিতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে মেহেদী সবাইকে এক হয়ে ওই মাস্তানদের প্রতিহত করার কথা বলে। কয়েকজনকে সুইচ গিয়ার (চাকু) ও ইলেকট্রিক টেজারগান কিনে দেয়। সাম্য ও তাঁর বন্ধুরা মেহেদী, কবুতর রাব্বি ও রিপনদের উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন। এ থেকে তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন ১৩ মে রাতে কবুতর রাব্বি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের কাছে গাঁজা বিক্রি করছিল। তার কাছে সে সময় একটি টেজারগান ছিল। কবুতর রাব্বি টেজারগান এবং সুইচ গিয়ার নিয়ে সব সময় চলাফেরা করত ও মাদক বিক্রি করত। কবুতর রাব্বির সঙ্গে পাপেল ও রিপন সব সময় থাকত। ওই রাতে সাম্য দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মুক্তমঞ্চের দিকে গেলে কবুতর রাব্বির হাতে ইলেকট্রিক টেজারগান দেখতে পেয়ে তাকে থামতে বলেন।
রাব্বি তখন মুক্তমঞ্চ থেকে ৩০-৩৫ গজ দূরে ঘটনাস্থল গোলপুকুরের (পুরাতন ফোয়ারা) দিকে দৌড় দেয়। সাম্য মোটরসাইকেলে চড়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং টেজারগানটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। টেজারগানটি না দিলে সাম্য রাব্বিকে চড়-থাপ্পর মারেন। রাব্বির চিৎকারে পাপেল, মন্দিরের পাশে ক্যান্টিন থেকে রিপন, মেহেদী, সোহাগ, হৃদয় ও রবিনরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে সাম্য ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাঁদের ধস্তাধস্তিতে ঘটনাস্থলে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল পড়ে গিয়ে লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। তখন ওই মোটরসাইকেলের আরোহী একজন (পলাশ সর্দার) তাদের অন্যত্র গিয়ে মারামারি করতে বলেন। মেহেদী মোটরসাইকেলের সেই ব্যক্তিকে (পলাশ) চোখে-মুখে ঘুষি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। তা দেখে তাঁদের সঙ্গে থাকা অপর একজন (সম্রাট মল্লিক) এগিয়ে গেলে মেহেদী তার কাছে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) দিয়ে তাঁর ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
একই সময়ে সাম্যর সঙ্গে হাতাহাতি করতে থাকা পাপেলকে ছাড়িয়ে নিতে মেহেদী সাম্যর বুকে ঘুষি মারে এবং কবুতর রাব্বির কাছে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) দিয়ে সাম্যর ডান পায়ের রানে আঘাত করে। এতে সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
সাম্যর বন্ধুদের (রাফি, বায়েজিদ) সঙ্গে মোটরসাইকেলের অপর ব্যক্তির মারামারি চলাকালে সবার চিৎকারে মন্দিরের ভেতরে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে এবং আশপাশের আরও লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে থাকলে আসামিরা দক্ষিণ দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মন্দিরের প্রবেশ গেটের কাছে আগে থেকেই রাখা একটি মোটরসাইকেলে করে কবুতর রাব্বিকে নিয়ে মন্দিরের উত্তর পূর্ব পাশের পেছন দিকে মেহেদীর আস্তানায় পালিয়ে যায় রিপন।
মামলার অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া সুজন সরকারের সঙ্গে থাকা অপর লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তারা সাম্যর বন্ধুদের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে সুজন সরকার মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন সাম্য মারা গেছেন। তখন ফেসবুক লাইভে এসে জানান, সাম্যর বন্ধুরা যদি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেত তাহলে এত রক্তক্ষরণে সাম্য মারা যেতেন না। ওই লাইভ পরে ভাইরাল হয়। কিন্তু মারামারির সময় ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতি ছিল না। আসামিদের সঙ্গে তাঁর কোনো পূর্ব পরিচিতি বা যোগসূত্র ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুজন সরকার তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন তিনি ঢাকাতে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন এবং তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় দুপুরের খেয়ে সন্ধ্যার পর তাঁর দুই আত্মীয়সহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে এসেছিলেন। ঘটনার পরে কালীমন্দিরের গেট দিয়ে বাসায় ফেরার পথে আহতদের ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
পরদিন সাম্যর মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে তিনি ফেসবুকে ওই ঘটনা নিয়ে পোস্ট করেন। সাম্যর বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি এবং আসামি সুজন সরকার একই গ্রামের হওয়ায় তাঁদের মধ্যে পূর্বশত্রুতার কারণে সাক্ষীরা তাঁকে ‘ওই ঘটনায় জড়িত’ বলে সন্দেহ করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তদন্তকালে এই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থলে আরেক মোটরসাইকেলে ছিলেন তামিম, সম্রাট, পলাশ। তাঁদের মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মারামারিতে অংশগ্রহণকারী অন্যদের থামানোর চেষ্টা করলে তাঁরাও আসামিদের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। উপস্থিত সাক্ষীসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগত অন্য লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে তাঁরা তিনজন আহত অবস্থায় সেই স্থানে অবস্থান করেন।
সাম্যর সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু ও মামলার সাক্ষী রাফি এবং বায়েজিদ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন তামিম, সম্রাট ও পলাশ তুলনামূলক কম আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই থাকেন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসার জন্য পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে যান এবং একজন রাজাবাজার এলাকায় যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোটরসাইকেল চালক নাসিরের ৯৯৯-এ ফোনকলের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সাক্ষীদের বক্তব্য শুনে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। তখন তামিম, সম্রাট ও পলাশদের শমরিতা হাসপাতাল ও রাজাবাজার এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকালে জানা যায়, আসামি মো. তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক (২৮), ঢাকার গুলিস্তান ও ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাতে ভ্যানগাড়িতে জামা-কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি মো. পলাশ সরদার (৩০) গ্রামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ফুটপাতে ব্যবসা শেষে রাতের বেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রে ঘুরতে আসেন এবং ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে গল্প করছিলেন। তঁদের সঙ্গে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি মেহেদী ও তাঁর গ্রুপের কোনো সদস্যের পূর্ব পরিচয় ছিল না। এ ছাড়া সাম্য ও তাঁর বন্ধু বায়েজিদ, রাফিদের সঙ্গেও কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না। এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার অভিযুক্ত আসামিদের হাত থেকে সাম্যকে রক্ষা করতে এসে তামিম হাওলাদার মাথায় ইটের আঘাত, সম্রাট পায়ে ছুরির আঘাত এবং পলাশের চোখে জখম হয়। তাঁরা এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
২৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।
৩৬ মিনিট আগে
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান...
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি আজ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে পৌঁছায়। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে লংমার্চটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ গেটে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় বক্তব্য দেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ জামান, লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনসহ অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন ফারুকী, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা আল ইয়াহয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কৃষকদের একের পর এক হত্যা করছে এবং নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে প্রায় ৬০৭ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৭৬১ জন আহত হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। চলতি বছরের ৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে পুশ ইন শুরু করে ভারত, যা এখন পর্যন্ত চলমান।
বক্তারা পথসভায় লংমার্চের চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ভারত কর্তৃক ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার নীতি থেকে সরে যেতে হবে; বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে; অবৈধভাবে ভারতীয় বাহিনীর দখলে রাখা তালপট্টি ছেড়ে দিতে হবে এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়া যাবে না।
লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল জানান, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী হয়ে আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
পথসভা শেষে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত অভিমুখে রওনা দেয় লংমার্চটি। বিকেলে সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে দুই দিনের লংমার্চ কর্মসূচি।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি আজ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে পৌঁছায়। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে লংমার্চটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ গেটে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় বক্তব্য দেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ জামান, লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনসহ অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন ফারুকী, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা আল ইয়াহয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কৃষকদের একের পর এক হত্যা করছে এবং নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে প্রায় ৬০৭ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৭৬১ জন আহত হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। চলতি বছরের ৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে পুশ ইন শুরু করে ভারত, যা এখন পর্যন্ত চলমান।
বক্তারা পথসভায় লংমার্চের চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ভারত কর্তৃক ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার নীতি থেকে সরে যেতে হবে; বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে; অবৈধভাবে ভারতীয় বাহিনীর দখলে রাখা তালপট্টি ছেড়ে দিতে হবে এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়া যাবে না।
লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল জানান, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী হয়ে আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
পথসভা শেষে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত অভিমুখে রওনা দেয় লংমার্চটি। বিকেলে সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে দুই দিনের লংমার্চ কর্মসূচি।

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।
৩৬ মিনিট আগে
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান...
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাই (প্রতিনিধি) চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছালাউদ্দিন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
ছালাউদ্দিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটার দায় সংগঠন বহন করবে না।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলার ভোরবাজার থেকে ছালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছালাউদ্দিন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
ছালাউদ্দিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটার দায় সংগঠন বহন করবে না।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলার ভোরবাজার থেকে ছালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
২৪ মিনিট আগে
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান...
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে দেশীয় অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য এবং নগদ ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ টাকাসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কাউনিয়া থানা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বিএমপি পুলিশের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় মাদক বিক্রির ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ টাকা, ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ১০২টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং ২৫০ মিলিলিটার মদ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিল্পী বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তার শিল্পী বেগমের স্বামী মো. সুমন হাওলাদার ওরফে মান্না সুমন (৪২) পলাতক রয়েছেন।
বিএমপির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউনিয়া থানায় শিল্পী বেগম এবং তাঁর পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক সুমন হাওলাদারের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

বরিশালে দেশীয় অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য এবং নগদ ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ টাকাসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কাউনিয়া থানা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বিএমপি পুলিশের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় মাদক বিক্রির ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ টাকা, ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ১০২টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং ২৫০ মিলিলিটার মদ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিল্পী বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তার শিল্পী বেগমের স্বামী মো. সুমন হাওলাদার ওরফে মান্না সুমন (৪২) পলাতক রয়েছেন।
বিএমপির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউনিয়া থানায় শিল্পী বেগম এবং তাঁর পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক সুমন হাওলাদারের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
২৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।
৩৬ মিনিট আগে
মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর, প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রেজাউল ফরাজী। তিনি ওই গ্রামের ছত্তার ফরাজীর ছেলে এবং কালকিনি উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালকিনির সাহেবরামপুরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় রেজাউল ফরাজীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, ‘মামলার পর থেকে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা তাঁতী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কালকিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রেজাউল ফরাজী। তিনি ওই গ্রামের ছত্তার ফরাজীর ছেলে এবং কালকিনি উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালকিনির সাহেবরামপুরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় রেজাউল ফরাজীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, ‘মামলার পর থেকে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।
২৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।
৩৬ মিনিট আগে
বিএমপি মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন বিসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসআই মো. রাশিক মুরাদ অভির নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিল্পী বেগমের (৩৮) একতলা টিনশেড বাড়িতে এই অভিযান...
১ ঘণ্টা আগে