Ajker Patrika

মিরসরাইয়ে ইয়াবাসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মিরসরাই (প্রতিনিধি) চট্টগ্রাম
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা ছালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা ছালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছালাউদ্দিন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

ছালাউদ্দিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটার দায় সংগঠন বহন করবে না।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলার ভোরবাজার থেকে ছালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নন-এমপিও শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নন-এমপিও শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পানি নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নন-এমপিও শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পানি নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। এ সময় শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ শিক্ষক প্রতিনিধিদের। তাঁদের দাবি, এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া জলকামান থেকে পানি এবং সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে পুলিশ।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করে আসছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের এক দফা দাবি হলো—সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে আমি নিজেও আহত হই। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন।’

সেলিম মিয়া বলেন, ‘এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ শিক্ষকদের এমপিও প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (প্যাট্রল) বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘নন-এমপিও শিক্ষকেরা দুপুরের দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যান। সচিবালয়ের ব্যারিকেডের সামনে আমরা তাঁদের কিছুক্ষণ অবস্থান করতে অনুমতি দিই। তাঁদের প্রতিনিধি পাঠাতে চাইলে আমরা যাওয়ার ব্যবস্থা করব বলেও জানাই।’

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, তাঁদের নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাধারণ শিক্ষকেরা তা অমান্য করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৮ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন, এ সময় তাঁরা কয়েকবার সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নান্দাইলে কর্মবিরতিতে শিক্ষকেরা, মাঠে খেলাধুলায় মেতেছে শিশুরা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
মোয়াজ্জেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিতে শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোয়াজ্জেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিতে শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দশম গ্রেডে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির দাবিতে সারা দেশের অন্যান্য বিদ্যালয়ের মতো নান্দাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা।

নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ২৫০ শিক্ষক ও ৭১ হাজার ১৩০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

চন্ডিপাশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে খেলছে শিশুরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চন্ডিপাশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে খেলছে শিশুরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা ক্লাস রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যদিকে পৌর সদরের চন্ডিপাশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলের মাঠে খেলাধুলা ও ক্লাসরুমে হইহুল্লোড় করতে দেখা যায়। আল আজহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফসান মিয়া বলে, ‘স্কুলে ক্লাস নাই, তাই মাঠে খেলাধুলা করতেছি।’

মোয়াজ্জেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, আসামি ৮ শতাধিক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। সাম্প্রতিক ছবি
ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। সাম্প্রতিক ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে থানায়। পৃথক দুটি মামলায় ১২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৭৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই বলে থানার ওসি জানিয়েছেন।

আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে মামলা দুটি দায়েরের বিষয় নিশ্চিত করেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার পৃথক দুটি অভিযোগ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দুটি রুজু হয়েছে। এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই, তবে অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মামলার বাদী হয়েছেন মজিবুর রহমান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থক। তাঁর দায়েরকৃত মামলায় ১৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মজিবুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

অপর মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক। তাঁর মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুকে (৬০)। দুই নম্বরে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর (৮০)। তিন নম্বরে রয়েছেন সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু (৭৫)। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এবং হুকুমদাতা হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭ নভেম্বর আমাদের বিকেলের কর্মসূচির আয়োজন করা হয় এবং ঝুনু মিয়ার কর্মসূচি ছিল সকালে। কিন্তু আমাদের কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তাঁরা বিকেলে আয়োজন করে পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। যার পেছনে উসকানি দিয়েছেন শাহ মো. আবু জাফর ও আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু। এই বাচ্চু সাহেবের ছেলের নেতৃত্বে খারদিয়া গ্রাম থেকে অস্ত্র নিয়ে লোকজন এসেছিলেন।’

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলের প্রার্থীর তালিকায় দুজনের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এই দুই গ্রুপের মধ্যে গত এক বছর যাবৎ রাজনৈতিক আধিপত্য চলে আসছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ওকালতি যারা করে, তারা টাউট-বাটপার’—বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। ছবি: সংগৃহীত
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। ছবি: সংগৃহীত

আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করায় বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে মানহানির তিনটি মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথকভাবে মামলা তিনটি করেন তিনজন আইনজীবী।

তিন মামলায় পৃথকভাবে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। তবে কবে হাজির হতে হবে, সে-সংক্রান্ত তারিখ পরে জানানো হবে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান (রানা) ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহাগ। মাহবুব হাসানের মামলা আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সমন জারির নির্দেশ দেন। অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম সোহাগের অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান সমন জারির নির্দেশ দেন।

অপর মামলাটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করেন অ্যাডভোকেট এ টি এম আসাদুজ্জামান। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভিক্টরিয়া চাকমা আসামির প্রতি সমন জারি করেন।

বাদী মাহবুব হাসান (রানা), সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও আসাদুজ্জামান তিনটি মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

তিন মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি মেজবাহ উদ্দিন গত ৫ নভেম্বর বিকেল ৪টার সময় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের এক জনসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করেন। তিনি বলেন, ‘ওকালতি যারা করে, তারা কিন্তু টাউট-বাটপার হয়।’

অভিযোগে বলা হয়, আইনজীবীরা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এ দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন। দেশের রাজনৈতিক ক্লান্তিকাল তাঁরা মোকাবিলা করেছেন। জাতীয় সংসদে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে আইনজীবীরা প্রতিনিধিত্ব করেন। আইন প্রণয়নে ও আইনের শাসন কায়েমে আইনজীবীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এটি একটি মহান পেশা। অথচ মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন, যা আইনজীবী সমাজের জন্য মানহানিকর।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আইনজীবী সমাজকে দেশের জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তিনি এ কথা বলেছেন। এতে আইনজীবীদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবীদের যে সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, তা আর্থিক মানদণ্ডে ১০০ কোটি টাকার অধিক। প্রতি মামলায় মেজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তাঁর অপরাধ আমলে নিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে বিচার শেষে শাস্তি দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত