Ajker Patrika

প্রধান শিক্ষকের মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে নিজের বিয়ে ঠেকাল স্কুলছাত্রী

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৯: ২৯
প্রধান শিক্ষকের মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে নিজের বিয়ে ঠেকাল স্কুলছাত্রী

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রধান শিক্ষককে খুদে বার্তা পাঠিয়ে নিজের বিয়ে ঠেকিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্কুলছাত্রী নাদিয়া (১৬) ওই গ্রামের নূরুল হুদার মেয়ে। সে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ক্লাসে তার রোল নম্বর ১।

নাদিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে মেসেঞ্জারে এসএমএস লিখে সাহায্য কামনা করে। সে লেখে, ‘স্যার আমি নাদিয়া, প্লিজ স্যার আমাকে হেল্প করেন। আমার আব্বু-আম্মু আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দিচ্ছে। স্যার, আমার নাম নাদিয়া। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, বাণিজ্য শাখায়, আমার রোল ১।’

এরপর শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানান। 

ভুক্তভোগী নাদিয়া বলে, ‘আজ আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বাড়িতে বিয়ের সব প্রস্তুতি চলছিল। আমি পাশের বাড়ির একটি মোবাইল ফোন থেকে আমার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে সহযোগিতা চাই। এরপর প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বিয়ে ভেঙে গেছে।’

শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেসেঞ্জারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়ার মেসেজের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের জানাই। পরে প্রশাসনের সহায়তায় বিয়ে বন্ধ হয়েছে।’

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন সব সময় সজাগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত