Ajker Patrika

‘আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লব বেহাত হতে চলেছে’

অনলাইন ডেস্ক
সমাবেশে উপস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশে উপস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘জুলাই-আগস্ট’ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ‘জুলাই-আগস্ট’ অভ্যুত্থানে আহত-নিহত শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা না করে পতিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এক ভুলে ২০০ বছর ব্রিটিশদের গোলামি করতে হয়েছে। হাজার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা একইভাবে বেহাত হতে চলেছে!

সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ সমাবেশে এ কথা বলেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই সমাবেশ হয়।

স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কথা বলেন, ‘আজকে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁর কয়েক গুণ বেশি শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে নেই। অভিমান করে চলে গেছেন। কারণ, তাঁদের করা হয়নি মূল্যায়ন।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু হাসনাত বলেন, ‘আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লব বেহাত হতে চলেছে। মীর জাফরের এক ভুলে ২০০ বছর গোলামি করতে হয়েছে। জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে কত বছর গোলামি করতে হবে, তা খোদা ভালো জানেন।’

সমাবেশস্থলে স্টেজে রাখা চেয়ার দেখে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিন সাবাব। তিনি বলেন, ‘এখানে স্টেজে চেয়ার রাখা কার জন্য? কাদের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি করার কথা? কারা বসে আছে? আমরা কি এই বৈষম্য দেখতে রক্ত দিয়েছি?’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দুদক সংস্কার কমিশনের সদস্য মুনিম মোবাশ্বির বলেন, ‘গত কয়েক মাস আমরা কাজ করছি। আমরা দেখেছি, দুর্নীতি দমন করতে হলে শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে সম্ভব না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ রবিউস সানি শিপু বলেন, ‘উপদেষ্টারা এসি গাড়িতে চড়ছেন। আর আমার ভাইয়েরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তাঁদের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই! সংস্কার হচ্ছে না কিছুই। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের স্বীকৃতি নেই, আর কোনো পরিবর্তন দেখতে পারছি না।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সেলের আবু হাসনাত, জাবের বিন নূর, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তালহা বিন আমিন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নিয়াজ হোসেন শিথিল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির হাবিবউল্লাহ মাশরুর, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির মহিউদ্দিন নোবেল, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিশাত হোসেন, চট্টগ্রামের আবু নাঈম রিমন মোস্তফা, সাদমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

‘ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় নয়, গুণে বিশ্বাসী ইরান, ইসরায়েল এবার আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত