নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে। তবে দুজনের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়।
আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তারেক ও জুবাইদার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর দেড় ঘণ্টার মতো শুনানি গ্রহণ করেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
এ সময় দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে বলেছেন, দুজনই পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো ধরনের আবেদন গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। এসংক্রান্তে আপিল বিভাগের আদেশ নথিতে রয়েছে। পরে আদালত আপিল বিভাগের আদেশ পড়েন। তার পরও আইনজীবী নিয়োগের ওই আবেদনের ওপর আরও শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত করে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত।
গত বছর ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে জোবাইদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাঁকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে। তবে দুজনের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়।
আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তারেক ও জুবাইদার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর দেড় ঘণ্টার মতো শুনানি গ্রহণ করেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
এ সময় দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে বলেছেন, দুজনই পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো ধরনের আবেদন গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। এসংক্রান্তে আপিল বিভাগের আদেশ নথিতে রয়েছে। পরে আদালত আপিল বিভাগের আদেশ পড়েন। তার পরও আইনজীবী নিয়োগের ওই আবেদনের ওপর আরও শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত করে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত।
গত বছর ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে জোবাইদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাঁকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিস। গাজীপুর সদর ও গাজীপুর যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর অডিট করার কথা থাকলেও ১০ বছর ধরে অফিস দুটি অডিট হয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযানেও উঠে এসেছে অভিযোগের সত্যতা।
৬ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহ। বাড়ছে কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্রটি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা
৬ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক ও জনপদের শত কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ খাবার হোটেল। এগুলো ট্রাক হোটেল নামে পরিচিত। আর এই হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আলোচিত কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইমরান মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে