Ajker Patrika

ক্ষমতার অপব্যবহার করে শতগুণ বেশি পৌরকর আরোপ করে হয়রানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ হারে ট্যাক্স আরোপ করে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাবেক পৌর মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারে অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিশোরগঞ্জ নিউজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করা হয়। নাসির উদ্দিন পাকুন্দিয়া পৌরসভার বীর পাকুন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পাকুন্দিয়া বাজারের ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পাকুন্দিয়া পৌরসভা অফিশিয়ালি তৃতীয় শ্রেণির একটি পৌরসভা। এ পৌরসভার বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করা ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন তিনি। বসতবাড়ি ও একটি দোকানঘরের বিপরীতে তাঁর দুটি হোল্ডিং ছিল। এর মধ্যে বসতবাড়ির ২৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ের বিপরীতে তিনি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৯২ টাকা ধার্য কর পরিশোধ করেন। যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ৭০০ টাকা ধার্য কর তিনি পরিশোধ করেন। একইভাবে তাঁর দোকানের ৩৭৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের বিপরীতে তিনি ২০১৬-১৭ অর্থ ২২০ টাকা ধার্য কর পরিশোধ করেন।

নাসির উদ্দিনের অভিযোগ, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পাকুন্দিয়া পৌরসভার নির্বাচনে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ মেয়র নির্বাচিত হন। এরপরই উদ্দেশ্যমূলকভাবে ২৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ের ৭০০ টাকার কর বাড়িয়ে ১১ হাজার ৬৮৭ টাকা ধার্য করা হয়। ৩৭৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের ২২০ টাকার কর বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করা আরেকটি দোকানঘরের ৪৮৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের বিপরীতে কর ধার্য করা হয় ২০ হাজার ৭৩৮ টাকা। এমন অযৌক্তিক কর আরোপের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নতুন করে বেকায়দায় পড়েন তিনি।

মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দের নির্দেশে নাসিরের ২৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ের নম্বর পরিবর্তন করে ২৩২/১ নম্বর লিখে বার্ষিক ৪৬ হাজার ২০০ টাকা কর ধার্য করে হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ পাঠানো হয়। এসব নিয়ে আপত্তি জানালে ২০২৩ সালের ১ জুন পৌর মেয়রের স্বাক্ষরে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৪ টাকার বকেয়া পৌরকরের হিসাব দিয়ে তাগিদপত্র পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে পৌর মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান দলবল নিয়ে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ২ লাখ টাকা আদায় করেন।

ব্যবসায়ী নাসির বলেন, সম্প্রতি সাবেক পৌর মেয়র নজরুল এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রহমানের এসব অপকৌশল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তিনি অভিযোগ দেন। এ কারণে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি উচ্চ হারে হোল্ডিং করের কাগজ পাঠিয়ে হয়রানি করা ছাড়াও তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের পাঁয়তারা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসবের প্রতিকার দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন।

এ ব্যাপারে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত কর নির্ধারকেরা সরেজমিন পরিদর্শন করে কর নির্ধারণ করে থাকেন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন তাঁর করের ব্যাপারে আপত্তি জানালে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ মেয়র মহোদয় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এরপরও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন পৌরকর পরিশোধ না করায় তাঁর কাছে ক্রোকি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে আংশিক কর তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। কর নির্ধারণ করা আমার কাজ নয়। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থও নেই। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে এবং সম্মানহানির উদ্দেশ্য থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন তথ্য গোপন করে এখন বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে কথা বলতে পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে তা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাকুন্দিয়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিপত্র আছে, সে অনুযায়ী যে কর নির্ধারণ করার কথা তার বাইরে করে থাকলে তিনি লিখিত আপত্তি দিতে পারেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব। আমি সরেজমিনেও বিষয়টি দেখব। পরিপত্র অনুযায়ী যেটা নির্ধারণ হওয়ার কথা, সেটাই নির্ধারণ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা, এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে আধিপত্য বিস্তার ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

গতকাল রোববার রাতে কাকন গ্রুপের নিহত সদস্য লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নতুন একটি মামলা করেন। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে কাকন বাহিনীর প্রধান প্রকৌশলী কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘার মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের তিনজন নিহত হন। ঘটনার দিন নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) ও শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। তাঁরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বাঘায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মাঘাট থেকে কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত কসমেটিকস ব্যবসায়ী লিটন হোসেনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।

নতুন মামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, পদ্মার চরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) একাধিক ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দলটির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আবু জাহের দুলাল। তিনি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর নবাবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু জাহেরকে গ্রেপ্তার করে। আবু জাহের গত কয়েক মাসে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের একাধিক ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছেন।

এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, ২৮ অক্টোবর মোহাম্মদপুর এলাকা, ২২ অক্টোবর মিরপুর-১ কমার্স কলেজের সামনে, ১২ সেপ্টেম্বর বাংলামোটর এলাকা, ৯ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর এলাকা (শ্যামলী কলেজগেট এলাকা)।

ডিএমপি বলছে, এসব ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার দৃশ্য আবু জাহের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ নিয়ে মর্গে পাঠাল পুলিশ, পালিয়েছেন স্বামী-শ্বশুর

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদীতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লাশ দাফনের কাজ শুরু করেন স্বামী ও তাঁর লোকজন। কিন্তু মরদেহ গোসল করানোর সময় গলায় কালো দাগ দেখার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। জানাজার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত গৃহবধূ হলেন নাসরিন আক্তার (৩০)। তিনি পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের দুলাল ব্যাপারীর স্ত্রী এবং উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের আবুল হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে দাবি করেছেন, গতকাল রোববার রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে নাসরিন মারা গেছেন। পরে তাঁরা দাবি করেন, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুব হোসেন জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে গৃহবধূ নাসরিন আক্তারের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু লাশ গোসলের সময় গলায় কালো দাগ দেখে স্থানীয় নারীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় নাসরিনের স্বামী কিংবা শ্বশুর কাউকে পাওয়া যায়নি।

নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গতকাল রাত ১২টার পরে নাসরিনের শ্বশুর কাসেম ব্যাপারী তাঁদের মোবাইল ফোনে জানান, নাসরিন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রাতেই জামাতার বাড়ি গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। ১১টার দিকে পুলিশ পৌঁছালে নাসরিনের শাশুড়ি জানান, নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতে হৃদ্‌রোগের সংবাদ এবং পুলিশ দেখে আত্মহত্যার কথা বলায় সন্দেহ দেখা দেয় তাঁর। আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, নাসরিনকে হত্যা করে ভিন্ন কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করা হয়েছিল।

নাসরিনের শাশুড়ি আমেনা বেগম জানান, তাঁর ছেলে দুলালের সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। থানা-পুলিশের ঝামেলা এড়াতে বিষয়টি গোপন করে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কথা সবাইকে জানানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ গোপন করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেছিলেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু ঢাকায় খাবার হোটেলে কাজ করছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি

‎সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রেলওয়ে কলোনির একটি খাবার হোটেল থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

‎শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলওয়ে কলোনির একটি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই হোটেল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

‎পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা জানিয়েছে তারা সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন হোটেলে বয়ের কাজ করছিল।

‎উদ্ধারের পর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত