Ajker Patrika

ঢামেকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোমেনা বেগম (৪০) নামে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হাতে চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বোন শম্পা বেগম (৩৯) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন চিকিৎসক মানার হাফিজ।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ঢাকা মেডিকেলে একজন নারী চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতি হয়েছে। এই ঘটনায় মানার হাফিজ থানায় মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শম্পাকে রাতেই আটক করা হয়। মামলার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মোমেনা বেগমের মেয়ে হাফিজা আক্তার বলেন, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার মোজাখালী গ্রামে। তাঁর মা স্ট্রোকজনিত কারণে গত ২১ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকা মেডিকেলের দ্বিতীয় তলায় ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন তাঁর মায়ের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে।

এর মধ্য তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আইসিইউ খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোথাও আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারেননি। বেড না পাওয়ায় তাঁর মা হাসপাতালের মেঝেতে ছিলেন। সেখানে অক্সিজেনের সাপোর্টও পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতে আমি আফতাব নগরের বাসায় ছিলাম। গতকাল রোববার সারা দিন চিকিৎসক আসেনি। হাসপাতালে ছিল আমার খালা শম্পা ও খালু নাজির হোসেন। রাত ১০টার দিকে খালা ফোনে জানায়, মায়ের অবস্থা ভালো না। আমি দ্রুত হাসপাতালে আসি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মানার হাফিজ আসেন ২০০ ওয়ার্ডে। চিকিৎসক জানান, মা আর নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসক চলে যাওয়ার সময় আমার খালা শম্পা বেগম চিকিৎসকের হাত ধরে টান দিয়ে বলেন, ‘‘সারা দিন আমার বোনকে দেখতে আসেনি কোনো চিকিৎসক।’ ’ তবে চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা হয়নি। তখন চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় দায়িত্বরত আনসাররা জড়ো হয়ে যায়। তবে বারবার চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। এ সময় পাশের বেডের একটি ছেলে চিকিৎসকের হাত ধরে ক্ষমা করে দিতে বললে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।’

তবে ওই ছেলেকে তিনি চিনেন না। পরে তাঁর খালাকে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, গত রাতে হাসপাতালে রোগী মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে এক নারী চিকিৎসকের গায়ে হাত দিয়েছে রোগীর স্বজনরা। এই ঘটনায় রোগীর স্বজন শম্পা বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানায় দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন রোগীর স্বজনরা বলেন, গত দুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। পরে জানা গেছে কিছু ডা. বেতন ভাতার বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছে এবং তারা বর্তমানে স্ট্রাইকে আছে।

এর আগে ৩১ আগস্ট অবহেলায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় নিউরো সার্জারি বিভাগের কয়েকজন চিকিৎসক আহত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৪

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
মাইক্রোবাসসহ আটক চার ডাকাত। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাইক্রোবাসসহ আটক চার ডাকাত। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

পাবনা প্রতিনিধি
আজ সকালে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌঁছার পর গার্ড অব অনার গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌঁছার পর গার্ড অব অনার গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্র্রপতি।

এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার জুবলী ট্যাংক এলাকার নিজ বাড়িতে যাবেন। সেখানে বেলা ১টায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটাবেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।

সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে উপস্থিত হবেন এবং বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, আরিফপুর কবরস্থান ও তাঁর নিজ বাসভবন এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রায় ১৫ মাস পর নিজ জেলায় এলেন রাষ্ট্র্রপতি সাহাবুদ্দিন। এর আগে পতিত সরকারের সময় রাষ্ট্র্রপতি পাবনা সফরে এলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। ব্যানার, শুভেচ্ছা ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যেত পুরো এলাকা। কিন্তু এবার তাঁর সফর ঘিরে জেলায় নেই কোনো উচ্ছ্বাস। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে তাঁর সফর ঘিরে।

২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ১৫ মে পাবনায় প্রথম সফরে যান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি চারবার পাবনা সফর করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম সফর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৪ মামলার আসামি কানকাটা কাদেরকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, আব্দুল কাদের খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ বিভিন্ন ঘটনায় চারটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মাদক কারবার নিয়ে কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরে রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। স্থানীয় লোকজন তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেলের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে ১৭.১ ডিগ্রি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। ফাইল ছবি
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। ফাইল ছবি

দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীতের পরশ লাগতে শুরু করেছে। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেই ঠান্ডা বাড়ে, আর সকাল পর্যন্ত এই শীতের অনুভূতি স্পষ্ট থাকে। স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ইতিমধ্যে গরম কাপড় ব্যবহার শুরু করেছেন।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।

আগের দিন শুক্রবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়াতেই রেকর্ড করা হয় এবং নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকে উত্তরাঞ্চলে শীত আরও বাড়তে পারে।

সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় বাজারে গরম চা, ভাজাপোড়া এবং ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই ঠান্ডা লাগে। রাতে ও ভোরে চাদর ছাড়া থাকা যায় না।’

তেঁতুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটক ফিরোজ আলী তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন, ‘এখানকার বাতাস ঢাকার তুলনায় অনেক ঠান্ডা। এখানে এসে শীতটা স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।’

আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। সামনে আরও কয়েক দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত