কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি পরে মায়ের জানাজা পড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম খানের বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ শুক্রবারে দুপুর ১টায় কালিয়াকৈর উপজেলার গাছবাড়ী পাবরিয়াচালায় আলী আজম খানের গ্রামের বাড়ি পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এ সময় আলী আজম খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজম খানের সহধর্মিণী মাহবুবা আক্তার লিপির সঙ্গে দেখা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও কারাবন্দী আলী আজম খানের খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা অবৈধ পার্লামেন্টের বিলুপ্তি দাবি করছি। একটি সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। আমরা আবেদন করছি আপনারা শিগগিরই পদত্যাগ করুন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দিন। এই সরকার একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। যা দেশ-বিদেশে নিন্দনীয় হচ্ছে। সরকার নিন্দনীয় হলেও আমরা লজ্জা পাচ্ছি এই দেশের জনগণ হিসেবে। এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, বাংলাদেশের জনগণ দায়ী নয়, এর জন্য ফ্যাসিবাদী সরকার দায়ী। সবচেয়ে করুন দৃশ্য হচ্ছে—আলী আজমের মা মারা গেল, এরপর প্যারোলে সে জানাজায় আসলেন কিন্তু মায়ের কবরে নামতে পারলেন না। এটা অমানবিক, সে চোর কিংবা ডাকাত না। তবু ডান্ডাবেড়ি পরেই মায়ের জানাজা পড়ালেন। এতে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’
বাবু গয়েশ্বরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ গাজীপুর জেলা ও কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গত ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় আলী আজমকে। এ মামলায় আলী আজমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১৫০ জনকে।
ককটেল বিস্ফোরণ ও আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুরের গায়েবি মামলায় গত ২ ডিসেম্বর রাতে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয় আলী আজম খানকে। পরে মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নিজ বাড়ি উপজেলার গাছবাড়ী পাবরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হয়ে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরেই মায়ের জানাজা পড়ান বিএনপির এই নেতা।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম খান। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে বিএনপির এই নেতার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন আলী আজম খান।
জানাজার সময়ও আলী আজমের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন। এ অবস্থায় আলী আজমের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি পরে মায়ের জানাজা পড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম খানের বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ শুক্রবারে দুপুর ১টায় কালিয়াকৈর উপজেলার গাছবাড়ী পাবরিয়াচালায় আলী আজম খানের গ্রামের বাড়ি পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এ সময় আলী আজম খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজম খানের সহধর্মিণী মাহবুবা আক্তার লিপির সঙ্গে দেখা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও কারাবন্দী আলী আজম খানের খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা অবৈধ পার্লামেন্টের বিলুপ্তি দাবি করছি। একটি সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। আমরা আবেদন করছি আপনারা শিগগিরই পদত্যাগ করুন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দিন। এই সরকার একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। যা দেশ-বিদেশে নিন্দনীয় হচ্ছে। সরকার নিন্দনীয় হলেও আমরা লজ্জা পাচ্ছি এই দেশের জনগণ হিসেবে। এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, বাংলাদেশের জনগণ দায়ী নয়, এর জন্য ফ্যাসিবাদী সরকার দায়ী। সবচেয়ে করুন দৃশ্য হচ্ছে—আলী আজমের মা মারা গেল, এরপর প্যারোলে সে জানাজায় আসলেন কিন্তু মায়ের কবরে নামতে পারলেন না। এটা অমানবিক, সে চোর কিংবা ডাকাত না। তবু ডান্ডাবেড়ি পরেই মায়ের জানাজা পড়ালেন। এতে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’
বাবু গয়েশ্বরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ গাজীপুর জেলা ও কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গত ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় আলী আজমকে। এ মামলায় আলী আজমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১৫০ জনকে।
ককটেল বিস্ফোরণ ও আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুরের গায়েবি মামলায় গত ২ ডিসেম্বর রাতে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয় আলী আজম খানকে। পরে মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নিজ বাড়ি উপজেলার গাছবাড়ী পাবরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হয়ে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরেই মায়ের জানাজা পড়ান বিএনপির এই নেতা।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম খান। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে বিএনপির এই নেতার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন আলী আজম খান।
জানাজার সময়ও আলী আজমের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন। এ অবস্থায় আলী আজমের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং বগুড়া–ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
১৮ মিনিট আগেঈদের আগের রাতে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার আগে তাঁকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা সেই ঘটনা ভিডিও করে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিলেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি
২৪ মিনিট আগেহাবিবা কলাপাড়া উপজেলার মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পটুয়াখালীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। উম্মে হাবিবা সুন্নাহর বাবা আহসান হাবিব চুন্নু বরিশালে ব্র্যাকের এলাকা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত এবং মা রাবেয়া সুলতানা রিপা একজন...
৩৪ মিনিট আগেভালো খবরের পাওয়ার প্রত্যাশায় সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে বিরতি দিয়েছেন। আগামীকাল সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা।
৪৪ মিনিট আগে