Ajker Patrika

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম, গ্রেপ্তারের পর ছাড়ল পুলিশ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১০: ০৬
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম, গ্রেপ্তারের পর ছাড়ল পুলিশ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নাশকতার মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সুপারিশে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই আসামির নাম কামরুল হাসান (৩২)। তিনি সিঙ্গাইর উপজেলার পশ্চিম বাস্তা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নাশকতার অভিযোগ এনে সিঙ্গাইর থানায় মামলাটি করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের নেতা আকাশ আহমেদ। এই মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামরুল হাসানের নামও রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইরের গাজিন্দা এলাকায় মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশে দেশকে অচল করার লক্ষ্যে টায়ার জ্বালানি বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় আকাশকে দেখার পরপরই সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় মিছিলকারীরা। পরে আকাশ সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই মিছিলকারীরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় পরদিন আকাশ আহমেদ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে সিঙ্গাইর থানায় নাশকতার মামলা করেন। মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামরুলকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মামলায় মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে পশ্চিম বাস্তা গ্রামে বাড়ির সামনে থেকে আমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানের সুপারিশে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।’

এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাদী এই মামলায় আমাকে আসামি করেছে।’

এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও মামলার বাদী আকাশ আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি থানায় গিয়ে দেখি কামরুল হাসানকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পরে এলাকায় খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সে স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরে আকাশের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে নাশকতার মামলায় তাকে আসামি করা হতে পারে।’

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘বাদী ভুল করে এজাহারে কামরুল ইসলামের নাম দিতে পারেন। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কামরুল হাসানকে ধরা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত