Ajker Patrika

ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ১২ নেতা-কর্মী রিমান্ডে, ১৫ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৮: ৪৭
ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ১২ নেতা-কর্মী রিমান্ডে, ১৫ জন কারাগারে

পদযাত্রার নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অন্য ১৫ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এসব নির্দেশ দেন।

যাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন ধানমন্ডি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, রিপন হোসেন, মোহাম্মদ রুহুল, আব্দুস সালাম, মো. সুজন, নজরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির আহমেদ, আমিনুল ইসলাম ও শাহ আলম।

যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল, মো. জুয়েল (কালুনগর), মজিবুর রহমান সাঞ্জু, মো. রুবেল, জিয়াউল ইসলাম, মো. জুয়েল (কামরাঙ্গীরচর), মো. আমিন, ইব্রাহিম খলিল পারভেজ, সোহেল রানা, আলী হোসেন, মো. সিদ্দিক, মো. রাসেল, রুবেল (হাজারীবাগ), মো. শাহিন ও তারেকুল ইসলাম।

বিকেলের দিকে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ২৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই শাহিদী হাসান ১২ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অপর ১৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে ১২ জনের জামিনের আবেদন করেন এবং পৃথক আবেদনে ১৫ জনের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং ১২ জনকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে মিরপুর রোডে সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরের দিকে ৫২ জন নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল ২৩ মে বেলা ৩টা ৫ মিনিটের সময় ধানমন্ডি থানাধীন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। তাঁরা সাতমসজিদ রোড, জিগাতলা হয়ে সিটি কলেজের সামনে মিরপুর রোডে ফুটপাতের ওপর ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশে সমাপনী বক্তব্য শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে এজাহার নামীয় নেতা-কর্মীরা এবং অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। তাঁরা বাসের লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশদের ওপর হামলা করেন। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। রাস্তায় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। গাড়ি ভাঙচুরসহ জানমালের ক্ষতিসাধন করেন। পুলিশের কর্তব্যের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। তাঁরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ১০টি ককটেলের বিস্ফোরিত অংশ, বিভিন্ন গাড়ির ভাঙা গ্লাস, ২৫টি লোহার রড, ৫৬টি বাঁশের লাঠি, ১৫২ টুকরা ইট ভাঙা জব্দ করা হয়।

নিউমার্কেট থানার মামলা 
নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় আট বিএনপি নেতা-কর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপর দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় আটজনকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দিন এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় দুজনকে কারাগারে রাখার আবেদন জানালে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার সিটি কলেজের সামনে ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে পদযাত্রা শেষে সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে ফেরার পথে নিউমার্কেট এলাকায় তাঁরা ভাঙচুর করেন, পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং গাড়ি ভাঙচুরসহ জানমালের ক্ষতিসাধন করেন। সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে আজ বুধবার নিউমার্কেট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার মামলা দায়ের করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত