গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলের জমি দখল করে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুকুর দখল করে মাছের চাষ করা হচ্ছে।
রেললাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দোকানপাট বসিয়ে তোলা হচ্ছে মাসোহারা। স্টেশন ছাড়া দৃশ্যমান কোনো জমি নেই রেলওয়ের দখলে। রেলওয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কিছু লোক এসব জমি দখল করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যেই স্টেশনটির মোট প্রায় ৩৭ একর জমির মধ্যে ১৫ একর দখল হয়ে গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের গুরুত্ব অনেক। আশপাশের রেলওয়ে স্টেশনগুলোর মধ্যে কাওরাইদ রেলস্টেশনের জমি সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যেই স্টেশনটির প্রায় অর্ধেক জমি দখল হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দখলের সঙ্গে জড়িত কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম।
রেলওয়ে স্টেশনের জমিতে তাঁর বিশাল একটি দখল রয়েছে। রেলওয়ে জমি দখল করে তিনি ছোট-বড় কমপক্ষে ১৫টি দোকান গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
কাওরাইদ বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু বলেন, ‘ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম তাঁর ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে রেলওয়ের অনেক জমি দখলে রেখেছেন। রেলের স্থানীয় কিছু লোকও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে জমে দখলের সুযোগ করে দিচ্ছেন। এগুলো রেলওয়ের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।’
অন্যদিকে রেলওয়ের খালাসি বিভাগের কর্মচারী বাবু। তাঁর রয়েছে অন্যরকম দাপট। অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন কোয়ার্টার ভেঙে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ঘর।
এগুলো ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন নিয়মিত মাসোহারা। আবার রেললাইনের পাশে কমপক্ষে ত্রিশটি ছোট-বড় দোকানপাট বসিয়ে মাস হিসেবে ভাড়া নিচ্ছেন। খালাসি বাবুর নিয়ন্ত্রণে চলছে কয়েকটি খাবারের হোটেলও। এ ছাড়া স্থায়ীয় ইব্রাহিম, খায়রুল ইসলাম, আনিসুল, রুহুল আমিনসহ অনেকেই রেলওয়ের জমি দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা খাবারের হোটেলের মালিক বাবুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। এখানে হোটেল দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো রকমে চলি। এর জন্য রেলওয়ের লোকজনকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। বাবু নামের একজন টাকা নেন।’
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের কর্মচারী খালাসি বাবু মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রেলওয়ের কোনো জমি দখল করিনি। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি রেলওয়ের যেটুকু জমি লিজ নিয়েছি, সেটুকুতেই আছি।’
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে সার্ভেয়ার মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘রেলওয়ের জমি উদ্ধারের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাদের অনেক জমি এরই মধ্যে দখল হয়েছে। এই দখলের সঙ্গে অনেকেই জড়িত রয়েছে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল্লাহ বলেন, ‘কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের জমি দখলের চিত্র আমাদের রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। সাধারণত রেলওয়ের জমি বাণিজ্যিক, কৃষি ও মৎস্য—এই তিন ভাগে লিজ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে রেলওয়ের জমি লিজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। যারা লিজ নিয়েছে বলে দাবি করছে, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সেগুলো উদ্ধার করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলের জমি দখল করে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুকুর দখল করে মাছের চাষ করা হচ্ছে।
রেললাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দোকানপাট বসিয়ে তোলা হচ্ছে মাসোহারা। স্টেশন ছাড়া দৃশ্যমান কোনো জমি নেই রেলওয়ের দখলে। রেলওয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কিছু লোক এসব জমি দখল করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যেই স্টেশনটির মোট প্রায় ৩৭ একর জমির মধ্যে ১৫ একর দখল হয়ে গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের গুরুত্ব অনেক। আশপাশের রেলওয়ে স্টেশনগুলোর মধ্যে কাওরাইদ রেলস্টেশনের জমি সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যেই স্টেশনটির প্রায় অর্ধেক জমি দখল হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দখলের সঙ্গে জড়িত কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম।
রেলওয়ে স্টেশনের জমিতে তাঁর বিশাল একটি দখল রয়েছে। রেলওয়ে জমি দখল করে তিনি ছোট-বড় কমপক্ষে ১৫টি দোকান গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
কাওরাইদ বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু বলেন, ‘ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম তাঁর ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে রেলওয়ের অনেক জমি দখলে রেখেছেন। রেলের স্থানীয় কিছু লোকও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে জমে দখলের সুযোগ করে দিচ্ছেন। এগুলো রেলওয়ের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।’
অন্যদিকে রেলওয়ের খালাসি বিভাগের কর্মচারী বাবু। তাঁর রয়েছে অন্যরকম দাপট। অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন কোয়ার্টার ভেঙে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ঘর।
এগুলো ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন নিয়মিত মাসোহারা। আবার রেললাইনের পাশে কমপক্ষে ত্রিশটি ছোট-বড় দোকানপাট বসিয়ে মাস হিসেবে ভাড়া নিচ্ছেন। খালাসি বাবুর নিয়ন্ত্রণে চলছে কয়েকটি খাবারের হোটেলও। এ ছাড়া স্থায়ীয় ইব্রাহিম, খায়রুল ইসলাম, আনিসুল, রুহুল আমিনসহ অনেকেই রেলওয়ের জমি দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা খাবারের হোটেলের মালিক বাবুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। এখানে হোটেল দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো রকমে চলি। এর জন্য রেলওয়ের লোকজনকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। বাবু নামের একজন টাকা নেন।’
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের কর্মচারী খালাসি বাবু মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রেলওয়ের কোনো জমি দখল করিনি। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি রেলওয়ের যেটুকু জমি লিজ নিয়েছি, সেটুকুতেই আছি।’
কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে সার্ভেয়ার মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘রেলওয়ের জমি উদ্ধারের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাদের অনেক জমি এরই মধ্যে দখল হয়েছে। এই দখলের সঙ্গে অনেকেই জড়িত রয়েছে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল্লাহ বলেন, ‘কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের জমি দখলের চিত্র আমাদের রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। সাধারণত রেলওয়ের জমি বাণিজ্যিক, কৃষি ও মৎস্য—এই তিন ভাগে লিজ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে রেলওয়ের জমি লিজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। যারা লিজ নিয়েছে বলে দাবি করছে, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সেগুলো উদ্ধার করা হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে