Ajker Patrika

জাকসু: ভোটারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রার্থীর ভাবমূর্তি

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রর্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তবে এবারের নির্বাচনে প্যানেলের চেয়ে প্রার্থীর ভাবমূর্তিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৯ জন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১০ এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। ইতিমধ্যে আটটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্যানেল করার ক্ষেত্রে ভোটার টানতে নানা কৌশল নেওয়া হয়েছে। নারীদের ভোটগুলো টানতে ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস পদে রাখা হয়েছে একজন নারী প্রার্থীকে। যদিও অন্য প্যানেলগুলোর শীর্ষ দুই পদে কোনো নারীকেই রাখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরাও থাকছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে। এমন দুজন হলেন–অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মৌসুমী আফরোজ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন হাওলাদার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে লড়ছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলে নিজেদের সংগঠনের বাইরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে যাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন তাঁদের এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে রাখা হয়েছে ক্যাম্পাসের অরাজনৈতিক এবং পরিচিত মুখদের।

এ ছাড়া ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের রাখা হয়েছে। তাঁরা বাকি প্যানেলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নারী প্রার্থীও রেখেছেন। ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্যানেলেও জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, এমন কয়েকজনকে রাখা হয়েছে।

‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা এখন প্যানেল হিসেবে সে রকমভাবে মুভ করছি না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সার্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এরপর আমরা সবাই প্যানেল হিসেবে সব সার্কেলের কাছে একসঙ্গে যাব।’

তবে প্যানেলের বাইরে যাঁরা নির্বাচন করছেন, তাঁদের ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ নামে একটি প্যানেল থাকায় ভোটারদেরকে আলাদাভাবে বোঝাতে হচ্ছে যে, তাঁরা একেবারেই কোনো প্যানেলে নেই।

এ বিষয়ে কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল হাছান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আমার একা একাই সবকিছু করতে হচ্ছে, প্রচারণার জন্য আলাদা লোকবল নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আলাদা একটি প্যানেল হওয়ায় আমার আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানো লাগছে, আমি আসলেই একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।’

প্রার্থীর ভাবমূর্তিতে জোর শিক্ষার্থীদের

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা নির্বাচনে দল বা প্যানেল হিসেবে নয়; বরং প্রার্থীর ভাবমূর্তি বেশি মূল্যায়ন করছেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা ভোটারদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হিরা খাতুন বলেন, ‘জাকসুতে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী কতটা যোগ্য, ছাত্রস্বার্থে কাজ করার আন্তরিকতা ও আগের কর্মকাণ্ডকে বিশেষ করে জুলাইয়ে তাঁর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেব। যাঁরা আগে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন, তাঁদেরই আমরা জাকসুতে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই।’

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী চয়ন মাহমুদ প্রিন্স বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্যানেল বা দল দেখব না, ব্যক্তি হিসেবে প্রার্থী কেমন, তিনি সবার প্রতিনিধি হতে পারবেন কি না, এসব বিষয় আমি বিবেচনা করব।’

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান বলেন, ‘আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা জাকসুর শীর্ষ পদগুলোয় প্রার্থীদের অতীত কার্যক্রমের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভোট দেবে। তবে অন্যান্য পদে ব্যক্তিগত পরিচিতি, নিজ নিজ বিভাগ, আবাসিক হল ও জেলার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যেতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ নিয়ে মর্গে পাঠাল পুলিশ, পালিয়েছেন স্বামী-শ্বশুর

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদীতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লাশ দাফনের কাজ শুরু করেন স্বামী ও তাঁর লোকজন। কিন্তু মরদেহ গোসল করানোর সময় গলায় কালো দাগ দেখার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। জানাজার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত গৃহবধূ হলেন নাসরিন আক্তার (৩০)। তিনি পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের দুলাল ব্যাপারীর স্ত্রী এবং উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের আবুল হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে দাবি করেছেন, গতকাল রোববার রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে নাসরিন মারা গেছেন। পরে তাঁরা দাবি করেন, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুব হোসেন জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে গৃহবধূ নাসরিন আক্তারের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু লাশ গোসলের সময় গলায় কালো দাগ দেখে স্থানীয় নারীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় নাসরিনের স্বামী কিংবা শ্বশুর কাউকে পাওয়া যায়নি।

নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গতকাল রাত ১২টার পরে নাসরিনের শ্বশুর কাসেম ব্যাপারী তাঁদের মোবাইল ফোনে জানান, নাসরিন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রাতেই জামাতার বাড়ি গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। ১১টার দিকে পুলিশ পৌঁছালে নাসরিনের শাশুড়ি জানান, নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতে হৃদ্‌রোগের সংবাদ এবং পুলিশ দেখে আত্মহত্যার কথা বলায় সন্দেহ দেখা দেয় তাঁর। আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, নাসরিনকে হত্যা করে ভিন্ন কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করা হয়েছিল।

নাসরিনের শাশুড়ি আমেনা বেগম জানান, তাঁর ছেলে দুলালের সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। থানা-পুলিশের ঝামেলা এড়াতে বিষয়টি গোপন করে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কথা সবাইকে জানানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ গোপন করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেছিলেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু ঢাকায় খাবার হোটেলে কাজ করছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি

‎সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রেলওয়ে কলোনির একটি খাবার হোটেল থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

‎শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলওয়ে কলোনির একটি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই হোটেল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

‎পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা জানিয়েছে তারা সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন হোটেলে বয়ের কাজ করছিল।

‎উদ্ধারের পর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান আহমদ (৩০) জকিগঞ্জ উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৬ জুলাই সকালে জকিগঞ্জ থানাধীন ফারুক মিয়ার পরিত্যক্ত আদিম ব্রিকস ফিল্ডে ঘুরতে যাওয়ার পর আসামিরা গোপনে ভিকটিম এবং তার বন্ধুর ছবি তোলে। আসামিরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব করে। ভিকটিম তাতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ব্রিকস ফিল্ডের ভেতরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায় এবং তাকে আটকে রাখে।

পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে ওই বিষয়টি কাউকে বা পুলিশকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়।

বিষয়টি ভিকটিম ভয়ে কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

পরবর্তী সময়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শাকের আহমদকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ আরও জানান, পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‍্যাব-৯-এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে এবং ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জব্দ করা পণ্যগুলো আইনিপ্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত