জবি প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সরাসরি যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীকে ক্লাস ও ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলে তাঁর বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জরুরি একাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আবির উজ-জামান আবির। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী (১৫তম আবর্তন)। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ ছিল আবিরের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘তার (আবির) বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। শিক্ষার্থীরা সেই অভিযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছিল আগে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা বিভাগে জরুরি একাডেমিক সভা ডেকে তাকে বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে ক্লাস-পরীক্ষাসহ বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
আজ বুধবার বিভাগের সব ব্যাচের ক্লাস শুরু হলে ক্লাসে আসেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবির উজ-জামান। তাঁকে ক্লাসে দেখে বিভাগের সব শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এরপর জরুরি একাডেমিক সভায় বসেন বিভাগের শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবিরকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান ও অন্য শিক্ষকদের সহায়তায় ক্যাম্পাস থেকে আবিরকে বের করে দেওয়া হয়।
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, সেখানে ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে সে প্রকাশ্যে হামলায় অংশ নিয়েছে। আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে, হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের যে গণহত্যা চলেছে, সেখানে সে শেষ পর্যন্ত সমর্থন দিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর বাইরে বিভাগে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের সাথে সে যুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, নির্যাতন করেছে। সে জন্য আমরা মনে করি প্রশাসনের একটা শক্ত অবস্থান তাঁর বিরুদ্ধে থাকা উচিত। তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাই।’
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মী আবিরের বিরুদ্ধে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। গত ৮ মার্চ গাজীপুরের সাফারি পার্কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬৪তম সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সরাসরি যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীকে ক্লাস ও ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলে তাঁর বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জরুরি একাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আবির উজ-জামান আবির। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী (১৫তম আবর্তন)। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ ছিল আবিরের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘তার (আবির) বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। শিক্ষার্থীরা সেই অভিযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছিল আগে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা বিভাগে জরুরি একাডেমিক সভা ডেকে তাকে বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে ক্লাস-পরীক্ষাসহ বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
আজ বুধবার বিভাগের সব ব্যাচের ক্লাস শুরু হলে ক্লাসে আসেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবির উজ-জামান। তাঁকে ক্লাসে দেখে বিভাগের সব শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এরপর জরুরি একাডেমিক সভায় বসেন বিভাগের শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবিরকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান ও অন্য শিক্ষকদের সহায়তায় ক্যাম্পাস থেকে আবিরকে বের করে দেওয়া হয়।
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, সেখানে ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে সে প্রকাশ্যে হামলায় অংশ নিয়েছে। আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে, হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের যে গণহত্যা চলেছে, সেখানে সে শেষ পর্যন্ত সমর্থন দিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর বাইরে বিভাগে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের সাথে সে যুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, নির্যাতন করেছে। সে জন্য আমরা মনে করি প্রশাসনের একটা শক্ত অবস্থান তাঁর বিরুদ্ধে থাকা উচিত। তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাই।’
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মী আবিরের বিরুদ্ধে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। গত ৮ মার্চ গাজীপুরের সাফারি পার্কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬৪তম সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
কৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাটের ঘটনায় ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সাদাপাথরে লুটে আলোচনা-সমালোচনার সপ্তাহখানেক পর শুক্রবার বিকেলে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীর বাদী হয়ে এই মামল
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখের আলী বিওপি এলাকার আলীমনগর ঘাট থেকে এক যুবককে মাদকসহ আটক করা নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসী পাল্টাপাল্টি দাবি করেছে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাটের কোথালীপাড়া এলাকায় চারজন বিজিবি সদস্য রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাজিদ আহমেদ টুটুলকে (৩০) আটক করে
৩ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ আটকাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা আগামী একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে...
৩ ঘণ্টা আগে