Ajker Patrika

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সতর্ক রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৯: ৫১
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সতর্ক রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। 

মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশই কৃচ্ছ্রসাধননীতি অনুসরণ করছে। জ্বালানিসংকট, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ আমদানি-রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়েছে। আর এটা শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বে। শুধু টাকার মান কমেছে এটি সঠিক নয়। ইউরো, ইয়েন, রুপিসহ অনেক দেশের মুদ্রার মান কমেছে। 

তাজুল ইসলাম জানান, সব দেশের সরকারই একটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পলিসি গ্রহণ করে কাজ করে। পৃথিবীর কোনো দেশই গৃহীত পলিসি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারে না। সম্ভবও নয়। পরিবর্তন এক দিনে আসে না। চোখের পলকে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিশ্বের কোনো দেশই পারেনি। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে একটি দেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করতে হলে যুবসমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যুবারা দেশের শক্তি, আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের সারথি। তাদের অংশগ্রহণ দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহজ করে দেবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে পথনকশা তৈরি করেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে চলেছেন। দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সাফল্যের গল্প আছে। এগুলো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সমালোচনা থাকবেই। কোনো দেশের সরকার সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্য নেই এ কথা ঠিক নয়। একসময় দেশে মানুষ অনাহারে থাকত। এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্যঘাটতি দূর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ কৃষি, শিল্প-কলকারখানা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সব খাতে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশে একসময় রাস্তাঘাটে চলাচল করা যেত না। নারীরা রাতের বেলা বের হতে পারত না। মানুষের মধ্যে সব সময় একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করত। সন্ত্রাসী ও গুন্ডাবাহিনীকে লালনপালন করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছে। নারীরা রাতের বেলা ঘোরাফেরা করছে নিরাপদে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। দেশের মানুষকে সুখে এবং নিরাপদে রাখায় সরকারের মূল লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিজ ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শাকিল আহমেদ প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত