ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাসের অবকাঠামোগত দুরবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সৃষ্ট অচলাবস্থার জেরে কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় আজ শনিবার দুপুরে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশ শুনে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাস ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দাবি পূরণ না হলে তাঁরা হল ত্যাগ করবেন না।
আজ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. ফজলে রাব্বী হলের সামনে এ কথা বলেন তাঁরা।
সিয়াম মোর্শেদ ও আলফাজ হোসেন নামের কলেজের দুই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিকেলে আমরা জানতে পেরেছি, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের পরিষ্কার করে বলেনি, কেন আমরা হল ছাড়ব। এই অল্প সময়ের নোটিশে হল ছেড়ে কোথায় যাব?’
হল ত্যাগের বিষয়ে এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যদি ভবনের কাজ করার জন্য হল ত্যাগ করতে বলে, তাহলে হল ত্যাগ করতে সমস্যা নেই। তবে যদি আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য এই নির্দেশ দেয়, তাহলে আমরা তা মানব না।’
শনিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন ও হোস্টেলের অবকাঠামোগত দুরবস্থা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিল আজ জরুরি সভা করে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করা হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনেকবার নোটিশ দেওয়া এবং বিকল্প আবাসন তৈরি করা সত্ত্বেও কলেজের কয়েকটি ব্যাচের ছাত্রদের অসহযোগিতার কারণে হল খালি করা যাচ্ছে না।
এর ধারাবাহিকতায় নতুন ব্যাচ ৮২ স্বপ্রণোদিত বা প্ররোচিত হয়ে তাঁদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বর্জন করে। ফলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৮ মে থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কয়েকবার তাঁরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপিও দেন।
তাঁদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজেট পাস করতে হবে।
২. নতুন আবাসন তৈরির আগপর্যন্ত বসবাসের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. নতুন আবাসন ও বিকল্প আবাসনের বাজেট পৃথকভাবে পাস করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. পুরোনো একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং নতুন ভবনের জন্য বাজেট পাস করতে হবে।
৫. কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাসের অবকাঠামোগত দুরবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সৃষ্ট অচলাবস্থার জেরে কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় আজ শনিবার দুপুরে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশ শুনে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাস ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দাবি পূরণ না হলে তাঁরা হল ত্যাগ করবেন না।
আজ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. ফজলে রাব্বী হলের সামনে এ কথা বলেন তাঁরা।
সিয়াম মোর্শেদ ও আলফাজ হোসেন নামের কলেজের দুই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিকেলে আমরা জানতে পেরেছি, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের পরিষ্কার করে বলেনি, কেন আমরা হল ছাড়ব। এই অল্প সময়ের নোটিশে হল ছেড়ে কোথায় যাব?’
হল ত্যাগের বিষয়ে এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যদি ভবনের কাজ করার জন্য হল ত্যাগ করতে বলে, তাহলে হল ত্যাগ করতে সমস্যা নেই। তবে যদি আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য এই নির্দেশ দেয়, তাহলে আমরা তা মানব না।’
শনিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন ও হোস্টেলের অবকাঠামোগত দুরবস্থা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিল আজ জরুরি সভা করে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করা হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনেকবার নোটিশ দেওয়া এবং বিকল্প আবাসন তৈরি করা সত্ত্বেও কলেজের কয়েকটি ব্যাচের ছাত্রদের অসহযোগিতার কারণে হল খালি করা যাচ্ছে না।
এর ধারাবাহিকতায় নতুন ব্যাচ ৮২ স্বপ্রণোদিত বা প্ররোচিত হয়ে তাঁদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বর্জন করে। ফলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৮ মে থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কয়েকবার তাঁরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপিও দেন।
তাঁদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজেট পাস করতে হবে।
২. নতুন আবাসন তৈরির আগপর্যন্ত বসবাসের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. নতুন আবাসন ও বিকল্প আবাসনের বাজেট পৃথকভাবে পাস করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. পুরোনো একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং নতুন ভবনের জন্য বাজেট পাস করতে হবে।
৫. কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৪ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৪ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে