জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। গতকাল রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাদলের মাথায় আঘাত করেন ছাত্রলীগেরই অপর পাঁচজন নেতাকর্মী। পরে আহত ওই নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পরে সাইফুল ইসলাম বাদল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হলে কতিপয় শিক্ষার্থী নামধারী সন্ত্রাসী রামদা, ছুরি ও রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তৎক্ষণাৎ আমার মাথার পেছনের অংশ ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।’
বাদল আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র ইমরুল হাসান অমি, বাংলা বিভাগের ছাত্র আহমেদ গালিব, দর্শন বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও কাইয়ুম হাসান এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভীরুল ইসলাম। এরা সবাই ৪৭ ব্যাচের ছাত্র।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এদের মধ্যে কাইয়ুম হাসান ও আহমেদ গালিব শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং আমরুল হাসান অমি উপ আইন সম্পাদক। এ ছাড়া তানভীর ও আরিফুল ছাত্রলীগের কর্মী।
এদিকে বাদল হামলার শিকার হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ইউনিট ছাত্রলীগ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার ও আবাসিক হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ১৯ ও ২২ মার্চ দুটি মারধর ও একটি সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগপত্র এবং আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ১৯ নম্বর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক এবং সদস্যসচিব হলেন আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক শাহেদ রানা, সহযোগী অধ্যাপক জুলকারনাইন ও মুর্শেদা বেগম।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যারা হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ছাত্রলীগ করার অধিকার রাখে না। ছাত্রলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা তাদের লক্ষ্য। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। গতকাল রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাদলের মাথায় আঘাত করেন ছাত্রলীগেরই অপর পাঁচজন নেতাকর্মী। পরে আহত ওই নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পরে সাইফুল ইসলাম বাদল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হলে কতিপয় শিক্ষার্থী নামধারী সন্ত্রাসী রামদা, ছুরি ও রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তৎক্ষণাৎ আমার মাথার পেছনের অংশ ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।’
বাদল আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র ইমরুল হাসান অমি, বাংলা বিভাগের ছাত্র আহমেদ গালিব, দর্শন বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও কাইয়ুম হাসান এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভীরুল ইসলাম। এরা সবাই ৪৭ ব্যাচের ছাত্র।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এদের মধ্যে কাইয়ুম হাসান ও আহমেদ গালিব শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং আমরুল হাসান অমি উপ আইন সম্পাদক। এ ছাড়া তানভীর ও আরিফুল ছাত্রলীগের কর্মী।
এদিকে বাদল হামলার শিকার হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ইউনিট ছাত্রলীগ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার ও আবাসিক হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ১৯ ও ২২ মার্চ দুটি মারধর ও একটি সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগপত্র এবং আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ১৯ নম্বর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক এবং সদস্যসচিব হলেন আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক শাহেদ রানা, সহযোগী অধ্যাপক জুলকারনাইন ও মুর্শেদা বেগম।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যারা হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ছাত্রলীগ করার অধিকার রাখে না। ছাত্রলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা তাদের লক্ষ্য। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি অথবা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে সম্মেলন করতে হবে। বর্তমান জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির মাধ্যমে কোনো সম্মেলন মানি না, মানব না।
২ মিনিট আগে১৩ বছর আগে ২০১২ সালে মাথা ও বুকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত (নিতাই)। আজ রোববার এ হত্যা মামলার রায় হয়েছে। রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়ে
৭ মিনিট আগেকেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে আসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেসিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে পাথর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অস্ত্র ও ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে