Ajker Patrika

নগর ভবনে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ইশরাক হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ইশরাক হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে হাসপাতালে যান তিনি।

এদিন দুপুরে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনা ভিডিও করতে গেলে এক সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়।

ঢামেক হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখে বেরিয়ে আসার সময় ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নগর ভবনসহ আশপাশে যে আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, তা দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়েছিল। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা জনগণের জরুরি সেবা কার্যক্রম পুরোদমে চালু করেছি।

‘এই সেবা চালু করতে গিয়ে আমাদের নানা ধরনের বাধাবিপত্তির মুখে পড়তে হয়। সব বাধা অতিক্রম করে গত দুদিন ধরে সেবা কার্যক্রম চলছে। জনগণ খুশিমনে সেবা নিচ্ছিল। কিন্তু আমাদের যারা প্রতিপক্ষ, তাদের এটা ভালো লাগেনি।’

ইশরাক বলেন, ‌‘আজ দুপুরে স্বৈরাচারের দোসরেরা নগর ভবনে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসে। তারা আমার নামে স্লোগান দিয়ে আমার হয়ে এত দিন যারা আন্দোলন করেছে, তাদের ওপর দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এর মধ্যে তিনজন মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। ৮-১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

‘এই হামলা করে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে। প্রথমত, তারা বিএনপির নামে ও আমার নামে স্লোগান দিয়ে হামলা করে। তারা জনগণকে দেখানোর চেষ্টা করে, এটা বিএনপির দুগ্রপের সংঘর্ষ। দ্বিতীয়ত, জনগণের সেবায় বিঘ্ন ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর এর দায় চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা।’

হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান ইশরাক।

হামলায় নেতৃত্বদানকারীদের সম্পর্কে ইশরাক বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া রুবেল নামে নগর ভবনের এক কর্মকর্তা ও আরিফুজ্জামান প্রিন্স নামে এক কর্মচারী হামলার নেতৃত্বে ছিল। এই দুজন এরই মধ্যে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত। তারা সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সময়, শেখ ফজলে নূর তাপসের সময় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে। বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়িতে করে চলাফেরা করতে এই রুবেল। নগর ভবনে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি করত।’

গোলাম কিবরিয়া রুবেল ও আরিফুজ্জামান প্রিন্সকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত