জবি প্রতিনিধি
দীর্ঘ ২২ মাস পর সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন-২০২২। নির্বাচনে লড়বে বিভক্ত নীল দলের দুটি প্যানেল। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারেরা। এ উপলক্ষে শিক্ষকেরা রোববার শেষ দিনের মত প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬৮৪ জন শিক্ষক। পূর্ব নির্ধারিত সময় ও তারিখ অনুযায়ী আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ নির্বাহী প্রতিটি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে দুজন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়াও প্রতিটি সদস্য পদের বিপরীতে দুজন করে মোট ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
এ দিকে শিক্ষক সংগঠনের এই নির্বাচনে নীল দলের (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন। নীল দলের (জাকারিয়া-মোস্তফা) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন।
বরাবরের মতো নীল দলের এ বিভক্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দুইটি সরাসরি সাবেক উপাচার্য পক্ষ ও বিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ছিল। উপাচার্যের পরিবর্তনে রদবদল হতে পারে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকেরা। এ দিকে সাদা দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মধ্যেও রয়েছে নীল দলের বিভক্ত যে কোনো এক অংশের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক ছুঁই ছুঁই বলে জানিয়েছেন সাদা দলের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক। অভিযোগ আছে এই সাদা দলের শিক্ষকেরা ভাগ হয়ে নীল দলের দুই অংশের মধ্যে মিলে গেছে। এদের ভোটেই নির্বাচনের নেতৃত্ব পালটে যাবে বলছেন সাবেক শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ নীল দলের উভয় অংশ। একাংশ বলছে তারা আশ্রায়ণে বিশ্বাসী নয়। অপর অংশ বলছে এমন কোনো অভিযোগ আসলে তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের দুই ভাগ নিয়ে একাংশ বলছে সাদা দল নির্বাচনে আসলে তারা এক হওয়ার বিষয়টি ভাববে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছে নির্বাচনের পর তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববে।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সহকর্মীদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা সচেষ্ট থাকব। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আমরা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
নীল দলের অপর অংশ (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমরা এই প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অতীতের যে ভুলভ্রান্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো পূরণ করে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কালচার আনার চেষ্টা করব।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রসমাজ এবং সবারই কল্যাণ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরও ভালোর দিকে যায়, তাহলে ছাত্র হিসেবেও সেটা সবার জন্যই গর্বের হবে। আমি চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে বিশ্বমানের উন্নীত করা প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে ও সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।
নির্বাচনের বিষয়ে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইস উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেই না। তবে আমাদের একটা ভোট ব্যাংক আছে। দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা থাকবে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এ অধ্যাপক আরও বলেন, সাদা দলের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিস্থিতির কারণে সাদা দল নির্বাচন থেকে বিরত আছে।
নির্বাচন ও ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ব্যালট বাক্স আনা হয়েছে, ভোট গ্রহণের জন্য বুথও স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সবাই এখানে শিক্ষক। সেহেতু নিরাপত্তার জন্য আমরা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিনা। বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট ভোটগ্রহণ চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করবে।
সবশেষ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর জানুয়ারিতে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
ভোট প্রদানের নিয়মাবলি:
* OMR ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হবে।
* আপনার পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের বৃত্তটি কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দ্বারা ভরাট করতে হবে।
* যেকোনো পদের জন্য পদ সংখ্যার বেশি ভোট প্রদান করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
* আপনার ব্যবহৃত OMR ব্যালটটি মোচড়ানো বা ভাঁজ করা যাবে না।
* বাক্সে ফেলার সময় ব্যালটটি উল্টিয়ে ধরুন।
* অনুগ্রহপূর্বক আপনার মোবাইল বন্ধ রাখুন।
দীর্ঘ ২২ মাস পর সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন-২০২২। নির্বাচনে লড়বে বিভক্ত নীল দলের দুটি প্যানেল। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারেরা। এ উপলক্ষে শিক্ষকেরা রোববার শেষ দিনের মত প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬৮৪ জন শিক্ষক। পূর্ব নির্ধারিত সময় ও তারিখ অনুযায়ী আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ নির্বাহী প্রতিটি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে দুজন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়াও প্রতিটি সদস্য পদের বিপরীতে দুজন করে মোট ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
এ দিকে শিক্ষক সংগঠনের এই নির্বাচনে নীল দলের (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন। নীল দলের (জাকারিয়া-মোস্তফা) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন।
বরাবরের মতো নীল দলের এ বিভক্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দুইটি সরাসরি সাবেক উপাচার্য পক্ষ ও বিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ছিল। উপাচার্যের পরিবর্তনে রদবদল হতে পারে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকেরা। এ দিকে সাদা দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মধ্যেও রয়েছে নীল দলের বিভক্ত যে কোনো এক অংশের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক ছুঁই ছুঁই বলে জানিয়েছেন সাদা দলের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক। অভিযোগ আছে এই সাদা দলের শিক্ষকেরা ভাগ হয়ে নীল দলের দুই অংশের মধ্যে মিলে গেছে। এদের ভোটেই নির্বাচনের নেতৃত্ব পালটে যাবে বলছেন সাবেক শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ নীল দলের উভয় অংশ। একাংশ বলছে তারা আশ্রায়ণে বিশ্বাসী নয়। অপর অংশ বলছে এমন কোনো অভিযোগ আসলে তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের দুই ভাগ নিয়ে একাংশ বলছে সাদা দল নির্বাচনে আসলে তারা এক হওয়ার বিষয়টি ভাববে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছে নির্বাচনের পর তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববে।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সহকর্মীদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা সচেষ্ট থাকব। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আমরা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
নীল দলের অপর অংশ (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমরা এই প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অতীতের যে ভুলভ্রান্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো পূরণ করে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কালচার আনার চেষ্টা করব।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রসমাজ এবং সবারই কল্যাণ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরও ভালোর দিকে যায়, তাহলে ছাত্র হিসেবেও সেটা সবার জন্যই গর্বের হবে। আমি চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে বিশ্বমানের উন্নীত করা প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে ও সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।
নির্বাচনের বিষয়ে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইস উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেই না। তবে আমাদের একটা ভোট ব্যাংক আছে। দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা থাকবে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এ অধ্যাপক আরও বলেন, সাদা দলের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিস্থিতির কারণে সাদা দল নির্বাচন থেকে বিরত আছে।
নির্বাচন ও ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ব্যালট বাক্স আনা হয়েছে, ভোট গ্রহণের জন্য বুথও স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সবাই এখানে শিক্ষক। সেহেতু নিরাপত্তার জন্য আমরা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিনা। বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট ভোটগ্রহণ চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করবে।
সবশেষ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর জানুয়ারিতে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
ভোট প্রদানের নিয়মাবলি:
* OMR ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হবে।
* আপনার পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের বৃত্তটি কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দ্বারা ভরাট করতে হবে।
* যেকোনো পদের জন্য পদ সংখ্যার বেশি ভোট প্রদান করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
* আপনার ব্যবহৃত OMR ব্যালটটি মোচড়ানো বা ভাঁজ করা যাবে না।
* বাক্সে ফেলার সময় ব্যালটটি উল্টিয়ে ধরুন।
* অনুগ্রহপূর্বক আপনার মোবাইল বন্ধ রাখুন।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে