Ajker Patrika

১০ মাসে ৩০ জনের আত্মহননের চেষ্টা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
১০ মাসে ৩০ জনের আত্মহননের চেষ্টা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে করোনাকালে অস্বাভাবিকহারে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মাদকাসক্ত, প্রেমে ব্যর্থতা, ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ইভটিজিং ও দুরারোগ্য ব্যাধিসহ আরও অনেক বিষয়ে আবেগতাড়িত হয়ে অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হিসেবে নির্যাতন, যৌতুক, সম্ভ্রমহানি, অবমাননা, আর্থিক অক্ষমতা ও আর্থসামাজিক অবস্থার অবক্ষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে করোনাকালে ঋণের বোঝা, অর্থনৈতিক সংকট, পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তবে থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্যের বাইরেও এ রকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। যা মামলা না হওয়ায় এবং নথিভুক্ত না থাকার কারণে পাওয়া যায়নি। 

ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ১০ মাস ২৩ দিনে মোট ৩০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং বিষপানে ছয়জনসহ অন্যান্য পন্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন, এদের অধিকাংশই নারী ও তরুণ বয়সের। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ২২ জন, ৪০ থেকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে আট জন। এতে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগই মারা গেছেন।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফ ইসলাম বলেন, ‘গত দশ মাসে ফুলবাড়ী থানায় ৩০টি আত্মহত্যাজনিত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের মৃত্যুর খবর অনেক মৃতের স্বজনরা পুলিশকে জানাতে চায় না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন আইনি জটিলতার ভয়ে ও মর্গে মরদেহ কাটাছেঁড়ার বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকে এই খবর পুলিশকে জানাতে চায় না। ফলে আত্মহত্যার অনেক তথ্য রেকর্ড করাও সম্ভব হয় না।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূর ই-আলম খুশরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন, কিন্তু আমরা সেটাকে আত্মহত্যা বলতে পারি না, অনেক সময় রোগীর অবস্থার বেগতিক দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করার পর মারা যান, সে তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের কেউ মারা গেলে, তাদের তথ্যসূত্রে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। তাই আমাদের কাছে তেমন তথ্য থাকে না।’ 

ফুলবাড়ী মাদিলা হাট কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বিষণ্নতা ও চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। নিজের ও অন্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিতিবাচক চিন্তার কারণে এদের কারও কারও মধ্যে দেখা দেয় প্রবল হতাশা। এ অবস্থায় মুক্তির পথ খুঁজতে গিয়ে কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার প্রয়াস চালাতে গিয়ে সাধারণত কীটনাশক, অতিমাত্রায় নেশাজাতীয় দ্রব্য বা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন ও গলায় ফাঁস নেওয়ার মতো পন্থাগুলো বেছে নিতে দেখা যায় আত্মহননকারীদের।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের রোগীদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই অনেকের মৃত্যু ঘটে। তবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারলে অনেক সময় এদের কারও কারও প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।’

ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘করোনাকালে এ ধরনের ঘটনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পারিবারিক অশান্তি, দারিদ্র্য, মানসিক বিকার গ্রস্থতা থেকে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীরা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে এ ধরনের ব্যক্তিদের হতাশা দূরীকরণ ভূমিকা নিতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে জীবনের মূল্যবোধ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মাধ্যমে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর, সাবেক এমপির মেয়েসহ ১৫ জন আহত

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি:  সংগৃহীত
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিম দোলা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই এলাকায় গণসংযোগে যান। একই সময় ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালামের সমর্থকদের সঙ্গে দোলার সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সামিরা আজিম দোলা, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান বাদলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লাকসাম থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানতে চাইলে সামিরা আজিম দোলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার পূর্বঘোষিত গণসংযোগে যাওয়ার পথে আবুল কালামের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমি ও আমার ১০–১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।’

অপর দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তারা গণসংযোগের নামে এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজনের মাথা ফেটে যায় এবং ৭–৮ জন আহত হয়।

‘নির্বাচন বানচাল করতে তারা নানা ষড়যন্ত্র ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা করে উল্টা আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে নাটক সাজানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দাবিতে ২০ বছরের যুবকের বাড়িতে ২৪ বছরের নারীর অনশন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে কৌতূহলী লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে কৌতূহলী লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে ২০ বছর বয়সী এক যুবকের বাড়িতে টানা ৯ দিন ধরে অনশন করছেন ২৪ বছরের এক নারী। উপজেলার একটি ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ওই নারী জানান, দুই বছর আগে ওই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। ওই যুবক তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু পরে পরিবার রাজি নয় জানিয়ে তাঁকে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান যুবক। সম্প্রতি ওই যুবক অন্য কোথাও চলে গেছেন এবং তাঁর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

ওই যুবকের মা জানান, তাঁর ছেলে এখন ভারতে আছেন। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি মেয়েটির অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করে দেখবেন। অভিযুক্ত যুবকের ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

‎এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ঝটিকা মিছিল

কক্সবাজার প্রতিনিধি
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল করেছেন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে পর্যটন শহরের কলাতলী প্রধান সড়কে এ মিছিলটি বের করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোটেল-মোটেল জোনের ডিভাইন রিসোর্টের গলি থেকে একটি ব্যানার ধরে মিছিলটি বের হয়ে হোটেল লংবিচের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ৩০-৪০ জন তরুণ-যুবক অংশ নেন।

ঝটিকা মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি জানান, কয়েকজন যুবক সকালের দিকে একটি ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে মিছিলকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও মনোনীত প্রার্থীর শোডাউনকে কেন্দ্র করে সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আজ রোববার এ শোডাউন হওয়ার কথা ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একই দিনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফারুক আলম সরকারের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভাসমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলমের নাম ঘোষণা করেন।

গত ২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত