Ajker Patrika

সরকারের মেয়াদ জনগণই নির্ধারণ করবে: জাতীয় নাগরিক কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ৪৮
সরকারের মেয়াদ জনগণই নির্ধারণ করবে: জাতীয় নাগরিক কমিটি

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত তৈরির লক্ষ্যেই গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণ এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। এই কাজে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সহায়তা করতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্তা শারমীন।

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা চাই, সরকার দ্রুত তাঁদের কাজ শেষ করে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব তুলে দিক। সরকারের কাজ কবে শেষ হবে, তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারকে নাগরিক কমিটি কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘সরকারের যারা আছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা দ্রুত আপনাদের কাজগুলো শেষ করুন এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব তুলে দিন। যেহেতু জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে সরকার হয়েছে, তাই শুধু সরকার নয় আমাদেরও সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার যে কমিশনগুলো করেছে, সেগুলা দ্রুত তাঁদের কার্য সমাধান করুক এবং জনগণের যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তা দ্রুত বাস্তবায়ন করুক। এটা কত দিনের মধ্যে হবে তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তাঁরা যদি না পারে তাহলে জনগণ নতুন করে তাঁদের লড়াইটা জারি রাখবে।’

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারকে সময় বেঁধে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন সরকার গঠন হয়েছিল তখন বিভিন্ন দলকে বলা হয়েছিল সরকারে আসার জন্য। তখন তারা বলেছিল আমরা নির্বাচন করব, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যাব না। এখন তারা নির্বাচনের সময় বেঁধে দিচ্ছে। কিন্তু সময়ের চেয়ে এই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছিল, তাঁদের যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়নে যে কতগুলো কাজ আছে, তাঁরা বাংলাদেশটাকে কেমন দেখতে চেয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন জরুরি।’

সংবিধান পুনর্গঠন নাকি সংশোধন এমন প্রশ্নের জবাবে নাছির বলেন, এই সংবিধান একদলীয় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে। যেটাতে গণমানুষের অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়নি। সংবিধান পুনর্গঠন নাকি সংশোধন করা উচিত এর জন্য গণ–আলোচনার আয়োজন করা হবে। জনগণের অভিপ্রায় যেটা তার মাধ্যমে সংবিধান লেখা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন। নাগরিক কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল নই, তবে আমাদের উদ্যোগ রাজনৈতিক। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যেসব আকাঙ্ক্ষা থেকে মানুষ আন্দোলনে নেমে এসেছিল সেগুলো এখনো অধরা।’

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জনগণসহ সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে ‘জাতীয় ঐক্য’ তৈরি করা নাগরিক কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার এখনো বিলোপ হয়নি। ফ্যাসিবাদ স্রেফ একটি সরকার নয়। এটি একটা ব্যবস্থা যা বিভিন্ন আইন, প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক চর্চার মাধ্যমে টিকে থাকে। আমরা সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ চাই।’

সরকারের সমালোচনা করে সামান্তা বলেন, ‘যেকোনো ইস্যুতে সরকারের তৎপরতা খুবই মন্থর ও ধীর গতির। সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা যদি তারা ধারণ করতে না পারে, তা হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত