নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের ৩১টি প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো সংশোধনীতে ২৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে। পদ্মা ব্রিজে যে টাকা লেগেছে প্রায় তার সমান। যা পদ্মা সেতুর মোট ব্যয়ের কাছাকাছি। উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সম্প্রতি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া পদ্মাসেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
আজ বুধবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অব পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ ইন শিওরিং গুড ভ্যালু ফর মানি’ শীর্ষক এই সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনা সংলাপে অংশ নেন সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান প্রমুখ। সিপিডি ও দ্যা এশিয়ান ফাউন্ডেশন সংলাপের আয়োজন করে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরের ৩১টি প্রকল্প সংশোধনে ২৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে। বারবার সংশোধন ও সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় এই টাকা বাড়তি লেগেছে।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বারবার প্রকল্প সংশোধন হয়, সময় বৃদ্ধি করা হয়। সময় বৃদ্ধি মানেই ব্যয় বৃদ্ধি। ২০২২-২৩ সালের বাজেটে এডিপিতে ১ হাজার ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স এটা বাদ দিলে ১ হাজার ২৫০টি প্রকল্প থাকে। এগুলো বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামো, সড়ক, সেতুসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ। এগুলোতে লাখ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হবে। এগুলো সুশাসনের সঙ্গে সময়মতো সাশ্রয়ীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই দেশের জন্য মঙ্গল। সমব্যথী প্রকল্প শেষ হলে যে অর্থ বাঁচবে, তা দিয়ে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব।
সিপিডি সম্মানীয় ফেলো বলেন, আমরা যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি তা ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন। পদ্মাসেতু আমাদের অর্জনের একটা বড় প্রতীক। পদ্মাসেতু থেকে ইতিবাচক আর্থসামাজিক ফলাফল আমরা পাব। আমরা দেখছি মেগা প্রকল্প সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নজরদারি করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, ফলে আমরা একটা ইতিবাচক সুফল পাচ্ছি। এই বিষয়টি অন্যান্য প্রকল্পেও যদি কাজে লাগাতে পারি।
মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবকাঠামো উন্নয়নে জড়িত। সঠিক মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে এসডিজি অর্জনে অনেকখানি এগিয়ে যাব। তাহলে প্রাইভেট খাত আরও আর্কষিত হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক।
প্রকল্পের ধীরগিত প্রসঙ্গে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো বলেন, ২০২৩ সালে যে প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা এখনো হয়নি। এই রকম প্রকল্প কিন্তু ২৫ দশমিক ২ শতাংশ। তার মানে হলো এগুলো সময়মতো শেষ করতে পারিনি। আমরা জানি সময় বৃদ্ধি মানেই ব্যয় বৃদ্ধি। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যদি দেখি তাহলে দেখা যায়, এডিপিতে অনেক প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। এর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। দেখা যায় নানা প্রকল্প এক থেকে তিনবার পর্যন্ত সংশোধন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে কথা ওঠে, তাদেরকে প্রকল্প এলাকা পাওয়া যায় না। উপজেলা পর্যায়, জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে যাই তাদেরকে পাই না। বারবার এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে কিন্তু আমরা এটা বাস্তবায়ন করতেই পারছি না। দেখা যায়, প্রকল্প এলাকা পঞ্চগড়, পিডি থাকেন ঢাকায়। এটা আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্প পরিচালককে ঢাকায় মাঝে মাঝে আসতে হয়, কিন্তু সার্বক্ষণিক থাকবেন কেন?’
এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘তবে অনেক সময় তাদের বাধ্য হয়ে ঢাকায় থাকতে হয়। তাদের প্রকল্পের নাটাই থাকে ঢাকায়। প্রকল্পে অনেক রুলস রেগুলেশন আছে। যার কোন প্রয়োজন নাই। এগুলোর অনেক ক্ষেত্রে অন্যায়। ব্রিটিশরা এগুলো করেছে, পাকিস্তানিরা এগুলো করেছে, আমরা তো এখনো ধরে রেখেছি। এগুলো কাটা হচ্ছে না। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি।’
চলতি অর্থবছরের ৩১টি প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো সংশোধনীতে ২৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে। পদ্মা ব্রিজে যে টাকা লেগেছে প্রায় তার সমান। যা পদ্মা সেতুর মোট ব্যয়ের কাছাকাছি। উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সম্প্রতি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া পদ্মাসেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
আজ বুধবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অব পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ ইন শিওরিং গুড ভ্যালু ফর মানি’ শীর্ষক এই সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনা সংলাপে অংশ নেন সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান প্রমুখ। সিপিডি ও দ্যা এশিয়ান ফাউন্ডেশন সংলাপের আয়োজন করে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরের ৩১টি প্রকল্প সংশোধনে ২৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে। বারবার সংশোধন ও সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় এই টাকা বাড়তি লেগেছে।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বারবার প্রকল্প সংশোধন হয়, সময় বৃদ্ধি করা হয়। সময় বৃদ্ধি মানেই ব্যয় বৃদ্ধি। ২০২২-২৩ সালের বাজেটে এডিপিতে ১ হাজার ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স এটা বাদ দিলে ১ হাজার ২৫০টি প্রকল্প থাকে। এগুলো বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামো, সড়ক, সেতুসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ। এগুলোতে লাখ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হবে। এগুলো সুশাসনের সঙ্গে সময়মতো সাশ্রয়ীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই দেশের জন্য মঙ্গল। সমব্যথী প্রকল্প শেষ হলে যে অর্থ বাঁচবে, তা দিয়ে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব।
সিপিডি সম্মানীয় ফেলো বলেন, আমরা যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি তা ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন। পদ্মাসেতু আমাদের অর্জনের একটা বড় প্রতীক। পদ্মাসেতু থেকে ইতিবাচক আর্থসামাজিক ফলাফল আমরা পাব। আমরা দেখছি মেগা প্রকল্প সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নজরদারি করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, ফলে আমরা একটা ইতিবাচক সুফল পাচ্ছি। এই বিষয়টি অন্যান্য প্রকল্পেও যদি কাজে লাগাতে পারি।
মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবকাঠামো উন্নয়নে জড়িত। সঠিক মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে এসডিজি অর্জনে অনেকখানি এগিয়ে যাব। তাহলে প্রাইভেট খাত আরও আর্কষিত হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক।
প্রকল্পের ধীরগিত প্রসঙ্গে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো বলেন, ২০২৩ সালে যে প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা এখনো হয়নি। এই রকম প্রকল্প কিন্তু ২৫ দশমিক ২ শতাংশ। তার মানে হলো এগুলো সময়মতো শেষ করতে পারিনি। আমরা জানি সময় বৃদ্ধি মানেই ব্যয় বৃদ্ধি। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যদি দেখি তাহলে দেখা যায়, এডিপিতে অনেক প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। এর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। দেখা যায় নানা প্রকল্প এক থেকে তিনবার পর্যন্ত সংশোধন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে কথা ওঠে, তাদেরকে প্রকল্প এলাকা পাওয়া যায় না। উপজেলা পর্যায়, জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে যাই তাদেরকে পাই না। বারবার এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে কিন্তু আমরা এটা বাস্তবায়ন করতেই পারছি না। দেখা যায়, প্রকল্প এলাকা পঞ্চগড়, পিডি থাকেন ঢাকায়। এটা আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্প পরিচালককে ঢাকায় মাঝে মাঝে আসতে হয়, কিন্তু সার্বক্ষণিক থাকবেন কেন?’
এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘তবে অনেক সময় তাদের বাধ্য হয়ে ঢাকায় থাকতে হয়। তাদের প্রকল্পের নাটাই থাকে ঢাকায়। প্রকল্পে অনেক রুলস রেগুলেশন আছে। যার কোন প্রয়োজন নাই। এগুলোর অনেক ক্ষেত্রে অন্যায়। ব্রিটিশরা এগুলো করেছে, পাকিস্তানিরা এগুলো করেছে, আমরা তো এখনো ধরে রেখেছি। এগুলো কাটা হচ্ছে না। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি।’
আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে রকি (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
২ ঘণ্টা আগে