Ajker Patrika

স্থানীয় সরকার বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন তিনজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় সরকার বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন তিনজন

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, শুধু মুখে মুখে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতার কথা বললে হবে না। তা অন্তরে লালন ও পালন করতে হবে।

সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে শুধু ক্ষমতায়ন করলে হবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ২৩টি পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করত। কিন্তু মেয়রদের জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতার ওপর গুরুত্বারোপ করায় এখন প্রায় সব পৌরসভায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, একা কখনো ভালো থাকা যায় না। ভালো থাকতে হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই ভালো থাকতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে পারাটা এক ধরনের ম্যাজিক। আর এখানেই সাফল্য নিহিত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এলজিইডি, ডিপিএইচই, সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ একযোগে একটি টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করছে বলেই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে সাফল্য অর্জন সহজ। সেটা যেমন ব্যক্তি পর্যায়ে হয় তেমনি সমষ্টিগত ভাবেও।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এ কে এম মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা-২ শাখার কম্পিউটার অপারেটর ডি এল নাজমুল হাসান।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে যথাক্রমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসা।

এর আগে, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পরে, স্থানীয় সরকার বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯-২০ এর মোড়ক উন্মোচন এবং তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেম-এম আইএস এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল দপ্তর, সংস্থা, ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত