কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাহিদার তুলনায় কম ভোল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিং এবং অনির্ভরযোগ্য সংযোগে বিঘ্ন ঘটছে পাঠদান, গবেষণা, অনলাইন ক্লাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমসাময়িককালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিদ্যুৎবিভ্রাট চলাকালীন জেনারেটর সুবিধা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা।
২২ মে বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধান ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ২৪ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মায়া ইসলাম বলেন, ‘হলের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, খুব ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রায়ই হলে খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। ওয়াইফাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ। বিদ্যুৎ আসলেও কানেক্ট হতে হতে আবার চলে যায়। অনেক কোর্সের ক্লাস অনলাইনে হয়। দেখা যায় লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আদনান সাইফ বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখার বড় অংশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার এবং অনলাইনভিত্তিক কোর্সের কারণে বিদ্যুৎবিভ্রাট আমাদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাস চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সামান্য মেঘ বা বাতাসেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্যা আরও ভয়াবহ। গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বিশ্রাম নেওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎবিভ্রাটের হার কুবিতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। একাধারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যায় এবং ফিরতেও সময় লাগে, যার ফলে টার্ম পেপার, গবেষণা ও প্রস্তুতিতে বড় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়াইফাই রাউটার বিদ্যুৎনির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগও বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এতে অনলাইন ক্লাস, রিসার্চ ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।’
শিক্ষকেরাও এই বিদ্যুৎ সমস্যার ভুক্তভোগী। বারবার বিদ্যুৎবিভ্রাটে পাঠদানের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ক্লাসরুম আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হলেও বিদ্যুৎবিভ্রাটে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষাচর্চায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’
প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কোটবাড়ী সাবস্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬০০ কিলোওয়াট অনুমোদন নেওয়া থাকলেও সর্বশেষ রেকর্ড পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াট সরবরাহ হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীর দাবি, রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহারের ফলে ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বৈদ্যুতিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের আওতাধীন। এই সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা বার্ড, পলিটেকনিক, ক্যাডেট কলেজ, টিটিসিসহ কোটবাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে সাবস্টেশনে কোনো মেরামতকাজ বা ঝড়বৃষ্টিতে লাইনে গাছ বা ডালপালা পড়লেই পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহার করছেন, যা নির্ধারিত সার্কিট ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানে। এর ফলে সার্কিট পুড়ে যাওয়া বা ওভারলোড হয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’ বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিডিবি থেকে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা (৬০০ কিলোওয়াট) জানিয়েছি, তা পূরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াটের মতো রেকর্ড করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে কম ব্যবহার হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতির কোনো বিষয় নেই।’ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী পিন্টু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে ডিমান্ড চার্জ (চাহিদার সীমা) অতিক্রম করেনি। যেহেতু কোটবাড়ী ফিডার (সাবস্টেশন) থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তাই কোথাও কোনো সমস্যা হলে অন্য সংযুক্ত স্থানগুলোর সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সম্মিলিত ফিডারে লোডশেডিংও একযোগে হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য পাঁচ-দশ মিনিটের যে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে, তা আসলে লোডশেডিং নয়। লাইনে সমস্যা দেখা দিলে মেরামতের প্রয়োজনেই সাময়িকভাবে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সাবস্টেশন স্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ সাবস্টেশন রয়েছে। তবে একটি প্রধান সাবস্টেশন স্থাপন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এটি পুরোপুরি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিন্ডিকেট সভায় আমরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগের লাইনটি বনজঙ্গল ঘেরা এলাকায় দিয়ে এসেছে, ফলে সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে সরকারের কাছে শিগগিরই লিখিত আবেদন জানানো হবে। আশা করি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎবিভ্রাটের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়কে জেনারেটর সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে জেনারেটর সুবিধা রয়েছে, তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আপাতত আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছি না।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাহিদার তুলনায় কম ভোল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিং এবং অনির্ভরযোগ্য সংযোগে বিঘ্ন ঘটছে পাঠদান, গবেষণা, অনলাইন ক্লাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমসাময়িককালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিদ্যুৎবিভ্রাট চলাকালীন জেনারেটর সুবিধা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা।
২২ মে বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধান ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ২৪ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মায়া ইসলাম বলেন, ‘হলের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, খুব ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রায়ই হলে খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। ওয়াইফাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ। বিদ্যুৎ আসলেও কানেক্ট হতে হতে আবার চলে যায়। অনেক কোর্সের ক্লাস অনলাইনে হয়। দেখা যায় লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আদনান সাইফ বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখার বড় অংশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার এবং অনলাইনভিত্তিক কোর্সের কারণে বিদ্যুৎবিভ্রাট আমাদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাস চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সামান্য মেঘ বা বাতাসেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্যা আরও ভয়াবহ। গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বিশ্রাম নেওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎবিভ্রাটের হার কুবিতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। একাধারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যায় এবং ফিরতেও সময় লাগে, যার ফলে টার্ম পেপার, গবেষণা ও প্রস্তুতিতে বড় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়াইফাই রাউটার বিদ্যুৎনির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগও বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এতে অনলাইন ক্লাস, রিসার্চ ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।’
শিক্ষকেরাও এই বিদ্যুৎ সমস্যার ভুক্তভোগী। বারবার বিদ্যুৎবিভ্রাটে পাঠদানের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ক্লাসরুম আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হলেও বিদ্যুৎবিভ্রাটে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষাচর্চায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’
প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কোটবাড়ী সাবস্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬০০ কিলোওয়াট অনুমোদন নেওয়া থাকলেও সর্বশেষ রেকর্ড পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াট সরবরাহ হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীর দাবি, রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহারের ফলে ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বৈদ্যুতিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের আওতাধীন। এই সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা বার্ড, পলিটেকনিক, ক্যাডেট কলেজ, টিটিসিসহ কোটবাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে সাবস্টেশনে কোনো মেরামতকাজ বা ঝড়বৃষ্টিতে লাইনে গাছ বা ডালপালা পড়লেই পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহার করছেন, যা নির্ধারিত সার্কিট ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানে। এর ফলে সার্কিট পুড়ে যাওয়া বা ওভারলোড হয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’ বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিডিবি থেকে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা (৬০০ কিলোওয়াট) জানিয়েছি, তা পূরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াটের মতো রেকর্ড করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে কম ব্যবহার হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতির কোনো বিষয় নেই।’ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী পিন্টু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে ডিমান্ড চার্জ (চাহিদার সীমা) অতিক্রম করেনি। যেহেতু কোটবাড়ী ফিডার (সাবস্টেশন) থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তাই কোথাও কোনো সমস্যা হলে অন্য সংযুক্ত স্থানগুলোর সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সম্মিলিত ফিডারে লোডশেডিংও একযোগে হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য পাঁচ-দশ মিনিটের যে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে, তা আসলে লোডশেডিং নয়। লাইনে সমস্যা দেখা দিলে মেরামতের প্রয়োজনেই সাময়িকভাবে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সাবস্টেশন স্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ সাবস্টেশন রয়েছে। তবে একটি প্রধান সাবস্টেশন স্থাপন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এটি পুরোপুরি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিন্ডিকেট সভায় আমরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগের লাইনটি বনজঙ্গল ঘেরা এলাকায় দিয়ে এসেছে, ফলে সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে সরকারের কাছে শিগগিরই লিখিত আবেদন জানানো হবে। আশা করি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎবিভ্রাটের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়কে জেনারেটর সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে জেনারেটর সুবিধা রয়েছে, তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আপাতত আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছি না।’
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাহিদার তুলনায় কম ভোল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিং এবং অনির্ভরযোগ্য সংযোগে বিঘ্ন ঘটছে পাঠদান, গবেষণা, অনলাইন ক্লাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমসাময়িককালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিদ্যুৎবিভ্রাট চলাকালীন জেনারেটর সুবিধা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা।
২২ মে বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধান ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ২৪ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মায়া ইসলাম বলেন, ‘হলের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, খুব ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রায়ই হলে খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। ওয়াইফাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ। বিদ্যুৎ আসলেও কানেক্ট হতে হতে আবার চলে যায়। অনেক কোর্সের ক্লাস অনলাইনে হয়। দেখা যায় লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আদনান সাইফ বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখার বড় অংশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার এবং অনলাইনভিত্তিক কোর্সের কারণে বিদ্যুৎবিভ্রাট আমাদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাস চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সামান্য মেঘ বা বাতাসেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্যা আরও ভয়াবহ। গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বিশ্রাম নেওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎবিভ্রাটের হার কুবিতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। একাধারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যায় এবং ফিরতেও সময় লাগে, যার ফলে টার্ম পেপার, গবেষণা ও প্রস্তুতিতে বড় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়াইফাই রাউটার বিদ্যুৎনির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগও বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এতে অনলাইন ক্লাস, রিসার্চ ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।’
শিক্ষকেরাও এই বিদ্যুৎ সমস্যার ভুক্তভোগী। বারবার বিদ্যুৎবিভ্রাটে পাঠদানের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ক্লাসরুম আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হলেও বিদ্যুৎবিভ্রাটে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষাচর্চায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’
প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কোটবাড়ী সাবস্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬০০ কিলোওয়াট অনুমোদন নেওয়া থাকলেও সর্বশেষ রেকর্ড পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াট সরবরাহ হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীর দাবি, রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহারের ফলে ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বৈদ্যুতিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের আওতাধীন। এই সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা বার্ড, পলিটেকনিক, ক্যাডেট কলেজ, টিটিসিসহ কোটবাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে সাবস্টেশনে কোনো মেরামতকাজ বা ঝড়বৃষ্টিতে লাইনে গাছ বা ডালপালা পড়লেই পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহার করছেন, যা নির্ধারিত সার্কিট ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানে। এর ফলে সার্কিট পুড়ে যাওয়া বা ওভারলোড হয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’ বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিডিবি থেকে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা (৬০০ কিলোওয়াট) জানিয়েছি, তা পূরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াটের মতো রেকর্ড করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে কম ব্যবহার হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতির কোনো বিষয় নেই।’ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী পিন্টু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে ডিমান্ড চার্জ (চাহিদার সীমা) অতিক্রম করেনি। যেহেতু কোটবাড়ী ফিডার (সাবস্টেশন) থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তাই কোথাও কোনো সমস্যা হলে অন্য সংযুক্ত স্থানগুলোর সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সম্মিলিত ফিডারে লোডশেডিংও একযোগে হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য পাঁচ-দশ মিনিটের যে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে, তা আসলে লোডশেডিং নয়। লাইনে সমস্যা দেখা দিলে মেরামতের প্রয়োজনেই সাময়িকভাবে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সাবস্টেশন স্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ সাবস্টেশন রয়েছে। তবে একটি প্রধান সাবস্টেশন স্থাপন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এটি পুরোপুরি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিন্ডিকেট সভায় আমরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগের লাইনটি বনজঙ্গল ঘেরা এলাকায় দিয়ে এসেছে, ফলে সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে সরকারের কাছে শিগগিরই লিখিত আবেদন জানানো হবে। আশা করি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎবিভ্রাটের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়কে জেনারেটর সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে জেনারেটর সুবিধা রয়েছে, তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আপাতত আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছি না।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাহিদার তুলনায় কম ভোল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিং এবং অনির্ভরযোগ্য সংযোগে বিঘ্ন ঘটছে পাঠদান, গবেষণা, অনলাইন ক্লাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমসাময়িককালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিদ্যুৎবিভ্রাট চলাকালীন জেনারেটর সুবিধা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা।
২২ মে বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধান ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ২৪ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মায়া ইসলাম বলেন, ‘হলের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, খুব ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রায়ই হলে খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। ওয়াইফাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ। বিদ্যুৎ আসলেও কানেক্ট হতে হতে আবার চলে যায়। অনেক কোর্সের ক্লাস অনলাইনে হয়। দেখা যায় লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আদনান সাইফ বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখার বড় অংশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার এবং অনলাইনভিত্তিক কোর্সের কারণে বিদ্যুৎবিভ্রাট আমাদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাস চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সামান্য মেঘ বা বাতাসেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্যা আরও ভয়াবহ। গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বিশ্রাম নেওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎবিভ্রাটের হার কুবিতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। একাধারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যায় এবং ফিরতেও সময় লাগে, যার ফলে টার্ম পেপার, গবেষণা ও প্রস্তুতিতে বড় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়াইফাই রাউটার বিদ্যুৎনির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগও বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এতে অনলাইন ক্লাস, রিসার্চ ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।’
শিক্ষকেরাও এই বিদ্যুৎ সমস্যার ভুক্তভোগী। বারবার বিদ্যুৎবিভ্রাটে পাঠদানের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ক্লাসরুম আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হলেও বিদ্যুৎবিভ্রাটে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষাচর্চায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’
প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কোটবাড়ী সাবস্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬০০ কিলোওয়াট অনুমোদন নেওয়া থাকলেও সর্বশেষ রেকর্ড পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াট সরবরাহ হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীর দাবি, রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহারের ফলে ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বৈদ্যুতিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের আওতাধীন। এই সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা বার্ড, পলিটেকনিক, ক্যাডেট কলেজ, টিটিসিসহ কোটবাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে সাবস্টেশনে কোনো মেরামতকাজ বা ঝড়বৃষ্টিতে লাইনে গাছ বা ডালপালা পড়লেই পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা রাইস কুকার, হিটার, ইলেকট্রিক চুলা ও আয়রন মেশিন ব্যবহার করছেন, যা নির্ধারিত সার্কিট ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানে। এর ফলে সার্কিট পুড়ে যাওয়া বা ওভারলোড হয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’ বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিডিবি থেকে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা (৬০০ কিলোওয়াট) জানিয়েছি, তা পূরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোওয়াটের মতো রেকর্ড করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে কম ব্যবহার হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতির কোনো বিষয় নেই।’ কোটবাড়ী সাবস্টেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী পিন্টু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে ডিমান্ড চার্জ (চাহিদার সীমা) অতিক্রম করেনি। যেহেতু কোটবাড়ী ফিডার (সাবস্টেশন) থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তাই কোথাও কোনো সমস্যা হলে অন্য সংযুক্ত স্থানগুলোর সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সম্মিলিত ফিডারে লোডশেডিংও একযোগে হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য পাঁচ-দশ মিনিটের যে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে, তা আসলে লোডশেডিং নয়। লাইনে সমস্যা দেখা দিলে মেরামতের প্রয়োজনেই সাময়িকভাবে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সাবস্টেশন স্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ সাবস্টেশন রয়েছে। তবে একটি প্রধান সাবস্টেশন স্থাপন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এটি পুরোপুরি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিন্ডিকেট সভায় আমরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগের লাইনটি বনজঙ্গল ঘেরা এলাকায় দিয়ে এসেছে, ফলে সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে সরকারের কাছে শিগগিরই লিখিত আবেদন জানানো হবে। আশা করি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎবিভ্রাটের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়কে জেনারেটর সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে জেনারেটর সুবিধা রয়েছে, তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আপাতত আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছি না।’

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
২৪ মে ২০২৫
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
২৪ মে ২০২৫
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
২৪ মে ২০২৫
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব সাবস্টেশন। অহরহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেই জেনারেটরের সুবিধা। এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও দৈনিক সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
২৪ মে ২০২৫
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে