Ajker Patrika

বিএনপির ঘাঁটি দখলে মরিয়া জামায়াত

  • কক্সবাজার-২ আসনটি ফাঁকা রেখেছে বিএনপি
  • বিএনপির ভরসা পুরোনোদের ওপর
  • তিন আসনে জামায়াতের নতুন মুখ
  • একটি আসনেই তৎপর এনসিপি
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
সালাহউদ্দিন আহমদ, লুৎফুর রহমান কাজল, শাহজাহান চৌধুরী, হামিদুর রহমান আযাদ, নূর আহমদ আনোয়ারী ও শহিদুল আলম বাহাদুর।
সালাহউদ্দিন আহমদ, লুৎফুর রহমান কাজল, শাহজাহান চৌধুরী, হামিদুর রহমান আযাদ, নূর আহমদ আনোয়ারী ও শহিদুল আলম বাহাদুর।

সাগরতীরের জেলা কক্সবাজারে ভোটের আমেজ ফিরে এসেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর জমে উঠেছে প্রচার। চারটি সংসদীয় আসনের তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির ঘোষণার পর কক্সবাজার-৪ আসনের প্রার্থী বদল চেয়ে বিক্ষোভ করেছে দলের একাংশ। অন্য দুটি আসনে বিরোধ নেই। তবে সব আসন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া জামায়াত।

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও। এবারের নির্বাচনে দলটির প্রার্থী নেই। আর এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী, কক্সবাজার-২ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগ এবং কক্সবাজার-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন ছাড়া বাকি তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেন। এরপর ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনেই বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হন।

এ ছাড়া ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে বিএনপি, একটিতে জামায়াতে ইসলামী ও একটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন।

কক্সবাজার-১

জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হওয়ার সুবাদে তিনি এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। মামলাজনিত কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সালাহউদ্দিন অংশ নিতে না পারলেও তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।

বরাবরই সালাহউদ্দিন আহমদকে এ আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বিএনপি। চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, কক্সবাজারের উন্নয়নে সালাহউদ্দিন আহমদ পরীক্ষিত নেতা। মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

অভিজ্ঞ ও প্রবীণ সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন জামায়াতে ইসলামীর তরুণ নেতা কক্সবাজার শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চকরিয়া-পেকুয়ায় মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করতে পেরেছে জামায়াতে ইসলামী। তা অবশ্যই নির্বাচনের রায়ে দেখা যাবে।

কক্সবাজার-২

জেলার দুই দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসন। এই আসন ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। এবারও তিনি জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী। এ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। তবে এ পর্যন্ত এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। এ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার রয়েছে।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ আসন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কেন্দ্র এটি। ফলে দল থেকে এ আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। তিনি বলেন, এ আসন বরাবরই বিএনপির দুর্গ। এখানকার মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয়। ফলে তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে মনে করেন তিনি।

এ দিকে আসনটিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও কক্সবাজারের সমন্বয়ক এস এম সুজা উদ্দিন।

কক্সবাজার-৩

কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও—এই তিন এলাকা নিয়ে কক্সবাজার-৩ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালেও বিএনপির দখলে ছিল আসনটি।

এবারও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেশ মজবুত। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর।

কক্সবাজার-৪

মিয়ানমার সীমান্ত এবং সাগর উপকূলের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। এ আসনে ইতিপূর্বে যে দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, সে দলই ক্ষমতায় গেছে। এখানে বিএনপির হয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। এবারও তিনি বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে তাঁর মনোনয়ন বদলের জন্য মাঠে সোচ্চার আছেন জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর অনুসারীরা।

এবার এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হচ্ছেন দলটির জেলা আমির নূর আহমদ আনোয়ারী। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এবার এ আসন কবজায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াত।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে দলীয় প্রার্থী নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। আশা করি, অতীতের মতো ভোটাররা বিএনপিকে বেছে নেবে।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, চারটি আসনে ভোটারদের কাছে তাদের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও আস্থা বেড়েছে। ভোটাররা বেশ সাড়া দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে প্রবাসীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অস্ত্রের মুখে ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুট

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবির বাড়তি নজরদারি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাঁচজনকে জরিমানা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।

এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত