ইফতিয়াজ নুর নিশান, উখিয়া, কক্সবাজার
গত দুই সপ্তাহে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে ২০টিরও বেশি ঘর পুড়ে যায়। একের পর এক আগুনের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাতে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় ৭৬টি বসতঘর। এর সাত দিন পর গত রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে একই ক্যাম্পের সি ব্লকে আগুন লাগে। প্রায় তিন ঘণ্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় চারটি ব্লকের ৮৪২টি ঘর ও লার্নিং সেন্টার, মসজিদসহ ১২২টি বিভিন্ন স্থাপনা।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো রাত্রিকালীন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক সাড়া দেই। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়া আগুন, আমাদের ১১টি ইউনিট সেখানে কাজ করেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া–টেকনাফ মিলিয়ে সর্বমোট ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন মতে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমপক্ষে ১৩৫টি ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে এক সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড। সে সময় ১১ জনের মৃত্যু ও পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ১০ হাজারের বেশি ঘর। এ ছাড়া গত বছরের মার্চে ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২২০০টি ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।
৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দা আবুল হাশেম বলেন, ‘আগুনের ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন কি হয় জানি না, পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা মানবাধিকার কর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দুই উগ্রপন্থী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বই থামছে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পে গোলাগুলি, হত্যা, অগ্নিকাণ্ডসহ সবকিছুর নেপথ্যে তারাই। একপক্ষ আরেক পক্ষ দমাতে সমর্থকসহ সদস্যদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে নাশকতা তৈরি করছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রতিটিতে দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ক্যাম্পে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অব্যাহত আছে।’
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল (অতিরিক্ত ডিআইজি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সব সময় তৎপর। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের সদস্যরা কাজ করে।’ অগ্নিকাণ্ডসহ নাশকতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
গত দুই সপ্তাহে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে ২০টিরও বেশি ঘর পুড়ে যায়। একের পর এক আগুনের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাতে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় ৭৬টি বসতঘর। এর সাত দিন পর গত রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে একই ক্যাম্পের সি ব্লকে আগুন লাগে। প্রায় তিন ঘণ্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় চারটি ব্লকের ৮৪২টি ঘর ও লার্নিং সেন্টার, মসজিদসহ ১২২টি বিভিন্ন স্থাপনা।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো রাত্রিকালীন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক সাড়া দেই। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়া আগুন, আমাদের ১১টি ইউনিট সেখানে কাজ করেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া–টেকনাফ মিলিয়ে সর্বমোট ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন মতে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমপক্ষে ১৩৫টি ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে এক সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড। সে সময় ১১ জনের মৃত্যু ও পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ১০ হাজারের বেশি ঘর। এ ছাড়া গত বছরের মার্চে ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২২০০টি ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।
৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দা আবুল হাশেম বলেন, ‘আগুনের ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন কি হয় জানি না, পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা মানবাধিকার কর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দুই উগ্রপন্থী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বই থামছে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পে গোলাগুলি, হত্যা, অগ্নিকাণ্ডসহ সবকিছুর নেপথ্যে তারাই। একপক্ষ আরেক পক্ষ দমাতে সমর্থকসহ সদস্যদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে নাশকতা তৈরি করছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রতিটিতে দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ক্যাম্পে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অব্যাহত আছে।’
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল (অতিরিক্ত ডিআইজি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সব সময় তৎপর। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের সদস্যরা কাজ করে।’ অগ্নিকাণ্ডসহ নাশকতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পুস্তিগাছা গ্রামের হারুন-অর-রশিদ ও আশরাফুল ইসলাম নামের এই দুই ভাই পাঙাশ মাছের পায়েস, গরুর ভুনা, সজনে পাতার রুটি, এমনকি ইলিশ মাছের রুটির মতো অভিনব সব পদ রান্না করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।
৩৬ মিনিট আগেডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি থেকে ডিমলার বাবুরহাট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কের দুর্দশা চোখে পড়ার মতো। চার বছর আগে এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলেও সেটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা খোঁড়া হলেও পরে কাজ আর এগোয়নি। ইটের খোয়া মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে এখন পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
১ ঘণ্টা আগেমানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খনি এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকেন। রাতে কম্পনের কারণে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না এবং প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেন। তারা আরও বলেন, এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। যদি খনি কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়...
১ ঘণ্টা আগেবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ২৯টি সড়কের প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের কোথাও পিচ ঢালাই উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দে পানি জমে আছে। এসব পথে যাত্রী ও চালকেরা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। চলতি বছরে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত...
৫ ঘণ্টা আগে