Ajker Patrika

মাছ লুট করে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রদল নেতা এখন কলেজের সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৮
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে নানা অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া মহব্বত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে নানা অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া মহব্বত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুকুরের মাছ লুট, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে অব্যাহতি পেয়েছিলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন। সম্প্রতি তাঁকে উপজেলার মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার ৭ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে কলেজ কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল। অভিযোগ উঠেছে, টুটুলের শিক্ষা সনদ নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাঁর অনুসারী মহব্বতকে কলেজ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোহনগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বর্তমান সভাপতি রেজাউল করিম দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় তার মনোনয়ন পরিবর্তনপূর্বক তদস্থলে সভাপতি হিসেবে মহব্বত হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হলো।’

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদল নেতা মহব্বত উপজেলার পোড়াকয়া গ্রামের রুবেল হক নামের এক মাছচাষিকে পুকুরপাড়ে তাঁর ঘরে অবরুদ্ধ করে মাছ লুট করেন। এ ঘটনায় রুবেল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মহব্বতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ অক্টোবর তাঁকে উপজেলা আহ্বায়কের পদ ছাড়াও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদকে সভাপতি করে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ থাকা অবস্থায় এ বছরের ২৬ জানুয়ারি সুলতান মাহমুদকে সরিয়ে যুবদল নেতা টুটুলকে সভাপতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা টুটুল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত সাবেক আমলা সুলতান মাহমুদকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও অভিভাবক অ্যাডহক কমিটির সভাপতি যুবদল নেতা টুটুলের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র যাচাইয়ের আবেদন জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন, ‘রেজাউল করিম টুটুল প্যারামেডিকেলে অধ্যয়ন করেছেন, এটি উচ্চমাধ্যমিক সমমান। তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন—এটি আমাদের জানা নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি না থাকলে কলেজ কমিটির সভাপতি হতে পারবেন না। এরপরেও একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সরিয়ে টুটুলকে সভাপতি করা হয়েছে। এটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।’

অভিযোগকারীদের অন্যতম বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাসেল। তিনি বলেন, পুকুরের মাছ লুটের ঘটনায় মহব্বত হোসেনকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাঁকে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি করা হয়েছে। যুবদল নেতা টুটুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাঁর অনুসারী মহব্বতকে সভাপতি করেছেন।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন করতে চেয়েছিলাম। এলাকায় যেন শিক্ষার বিস্তার ঘটে, এটিই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে কোনো কিছু না জানিয়েই রেজাউল করিম টুটুলকে সভাপতি করেছে। এটি আমার অজ্ঞাতেই হয়েছে। এখন যোগ্য মানুষেরা বড় একা।’

জাল সনদে সভাপতি হওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুলের কাছে তিন সপ্তাহ আগেই জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি দফায় সময় নিয়েছেন এই বলে যে, তিনি তাঁর সনদের ফটোকপি এই প্রতিবেদককে দেবেন। শেষপর্যন্ত তিনি তা দেননি। এর মধ্যে তিনি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে মহব্বতকে সভাপতি করেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে আবার ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। কথা বলার জন্য নতুন সভাপতি ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা মহব্বত আলীকেও কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও তা ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁরও মন্তব্য জানা যায়নি।

একজন ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিকে ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি করার বিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ নুরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’ এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকারের নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ও মেসেজ দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত