নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম: ‘লকডাউনের কারণে গত সোমবার থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। আজ বুধবার সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টিতে কর্মস্থলে হেঁটে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এভাবে আর কত?’ ক্ষুব্ধ পোশাককর্মী নাজমা বেগম (৩৫) এভাবেই বলছিলেন তাঁর কষ্টের কথা। গণপরিবহন চালুর দাবিতে আজ শতাধিক পোশাককর্মী চট্টগ্রামের টাইগারপাসে সড়ক অবরোধ করেন। সকাল ৮টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
নাজমা বেগম বলেন, `আমি কাজ করি আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের সামনের একটি কারখানায়। নগরের কাজীর দেউড়ির আসকারদীঘির পূর্বপাড় এলাকায় থাকি। গত সোমবার থেকে লকডাউন চলছে। তাই প্রতিদিন হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হয়। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় হেঁটে যাওয়ারও উপায় নাই। আমরা যে বেতন পাই, রিকশা নিয়ে যাওয়া-আসা করলে সব টাকাই খরচ হয়ে যাবে। এ ছাড়া লকডাউন এমন সময় দিয়েছে, যখন মাস শেষ পর্যায়ে। এ সময়ে হাতে টাকা থাকে না। এভাবে আর কত? কর্মস্থলে যেতে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।' সহকর্মীদের হয়ে তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা সংক্ষেপে তুলে ধরেন নাজমা।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, `আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তাঁদের পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।'
কারখানা চালু রেখে গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন, `এটি একেবারে অমানবিক। সারা দিন পরিশ্রম করবেন অথচ কর্মস্থলে যাওয়ারও নিশ্চয়তা কেউ নেবে না, এটা ঠিক না। তাহলে লকডাউনে তাঁরা যাবেন কীভাবে? সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।'
কারখানার মালিকদের নিজস্ব অথবা ভাড়া করা পরিবহনে পোশাককর্মীদের কর্মস্থলে আনা–নেওয়ার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। চট্টগ্রামের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, `বাসের সংকট আছে। আগে আমরা এক বাসে সিটে ও দাঁড়িয়েও তাঁদের পাঠিয়েছি। এখন এক সিট ফাঁকা রাখতে হচ্ছে। ফলে দ্বিগুণ তিনগুণ বাস লাগছে। শ্রমিকও কয়েক লাখ। এত বাস নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি।'
চট্টগ্রাম: ‘লকডাউনের কারণে গত সোমবার থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। আজ বুধবার সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টিতে কর্মস্থলে হেঁটে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এভাবে আর কত?’ ক্ষুব্ধ পোশাককর্মী নাজমা বেগম (৩৫) এভাবেই বলছিলেন তাঁর কষ্টের কথা। গণপরিবহন চালুর দাবিতে আজ শতাধিক পোশাককর্মী চট্টগ্রামের টাইগারপাসে সড়ক অবরোধ করেন। সকাল ৮টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
নাজমা বেগম বলেন, `আমি কাজ করি আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের সামনের একটি কারখানায়। নগরের কাজীর দেউড়ির আসকারদীঘির পূর্বপাড় এলাকায় থাকি। গত সোমবার থেকে লকডাউন চলছে। তাই প্রতিদিন হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হয়। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় হেঁটে যাওয়ারও উপায় নাই। আমরা যে বেতন পাই, রিকশা নিয়ে যাওয়া-আসা করলে সব টাকাই খরচ হয়ে যাবে। এ ছাড়া লকডাউন এমন সময় দিয়েছে, যখন মাস শেষ পর্যায়ে। এ সময়ে হাতে টাকা থাকে না। এভাবে আর কত? কর্মস্থলে যেতে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।' সহকর্মীদের হয়ে তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা সংক্ষেপে তুলে ধরেন নাজমা।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, `আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তাঁদের পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।'
কারখানা চালু রেখে গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন, `এটি একেবারে অমানবিক। সারা দিন পরিশ্রম করবেন অথচ কর্মস্থলে যাওয়ারও নিশ্চয়তা কেউ নেবে না, এটা ঠিক না। তাহলে লকডাউনে তাঁরা যাবেন কীভাবে? সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।'
কারখানার মালিকদের নিজস্ব অথবা ভাড়া করা পরিবহনে পোশাককর্মীদের কর্মস্থলে আনা–নেওয়ার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। চট্টগ্রামের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, `বাসের সংকট আছে। আগে আমরা এক বাসে সিটে ও দাঁড়িয়েও তাঁদের পাঠিয়েছি। এখন এক সিট ফাঁকা রাখতে হচ্ছে। ফলে দ্বিগুণ তিনগুণ বাস লাগছে। শ্রমিকও কয়েক লাখ। এত বাস নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি।'
চট্টগ্রামে স্কুলে গিয়ে নিখোঁজের পরদিন মো. রাহাত (১৩) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে রাহাতের বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে। আজ বুধবার ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে কর্দমাক্ত অবস্থায় রাহাতের লাশ উদ্ধার
৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিন মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম মৃধা (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বিভাগ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় আবাসিক ভবনের দশতলা ছাদ থেকে পড়ে তাসকিয়া তানহা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বজনেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎ
৩৬ মিনিট আগেবিয়ের প্রলোভনে খুলনায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি ঈশান কবির খান ওরফে জ্যোতিকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে