Ajker Patrika

টিসিবির ৭৮ টন চাল উদ্ধার

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি 
গতকাল দিবাগত রাতে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর এলাকার একটি ভাড়া করা গোডাউন থেকে টিসিবির চাল উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাতে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর এলাকার একটি ভাড়া করা গোডাউন থেকে টিসিবির চাল উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় ৭৮ টন চাল অবশেষে উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর এলাকার একটি ভাড়া করা গোডাউন থেকে এই ৭৭ দশমিক ৮ টন চাল উদ্ধার করা হয়। এই চাল গত জুলাই মাসে বিতরণের জন্য বরাদ্দ ছিল।

তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঋতু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং ওএমএস ডিলার হোসেনিয়া কান্তী ঋতুর ডিলারশিপ বাতিল করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৫৬৭ জন টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী রয়েছেন। তাঁরা প্রতি মাসে একবার বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাই মাসে কার্ডধারীরা তেল, চিনি ও ডালের প্যাকেজ কিনতে পারলেও, ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে তাঁদের জানানো হয়।

অথচ গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুটি বিলি আদেশে (ডিও) ওএমএস ডিলার হোসেনিয়া কান্তী ঋতুর অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে ডিলার সেই চাল তুলেও নেন। এরপর বরাদ্দ করা চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে অবৈধভাবে মজুত করে তা আত্মসাতের চেষ্টা করেন ডিলার হোসেনিয়া কান্তী ঋতু।

জুলাই মাসে ভোক্তারা চাল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে এবং বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তারের নির্দেশনায় অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবহান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনজুর রহমানের উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালনা করে মজুত করা চাল উদ্ধার করা হয়। ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

রাজাপুর ইউনিয়নের টিসিবির কার্ডধারী শরিফা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চুরির মাল ধরা পড়ল অথচ কোনো চোর ধরা পড়ল না! তিন মাস ধরে টিসিবির চাল গোপনে আটকে রাখা হয়েছে।’ তাঁর মতে, এ ঘটনার পেছনে আরও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনজুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ডিলার চাল আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, প্রশাসন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদিজি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই, তবে দিল্লিতে আপনার বোন বসে আছেন: ওয়াইসি

অধ্যক্ষকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হলো কলেজ থেকে

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি কবে— জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ: নবনির্বাচিত ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত