নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ৭ দিন ধরে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইনের (২৪) সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার পরিবার। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবার।
নিখোঁজ শাহাদাত ফটিকছড়ি ভুজপুরের বালুখালী গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার ভগ্নিপতি আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন বলেন, গত ২৪ মে রাতে রহস্যজনকভাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের রওশন হাট বাজার থেকে নিখোঁজ হন বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা ‘প্রত্যাশী’র ফিল্ড অফিসার শাহাদাত। ওই দিন ছামিউল নামে তাঁর এক সহকর্মীকে দাঁড় করিয়ে সেখানে একটি টয়লেটে যান শাহাদাত। পরে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ‘প্রত্যাশী’র পক্ষ থেকে নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবারকে জানানো হয়।
পরদিন ২৫ মে পরিবারের পক্ষ থেকে চন্দনাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও শাহাদাতের এখনো হদিস মেলেনি।
নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবারের দাবি, শাহাদাত নিখোঁজের দুদিন পর ‘কাজী ফারহান’ নামে তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘ম্যানেজার আমাকে বাঁচতে দিল না। দুই মিনিটের জন্য মোবাইলটা ভিক্ষা পাইছি। ও মা তোকে আর দেখতে পারব না। সবাই ভালো থাকিস, আমার জন্য দোয়া করিস। আমি আর তোদের মাঝে নেই। ম্যানেজার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিছে। ৫,১০ করে এই টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে জীবন দিতে হইছে। জলদস্যুর হাতে আমার জীবন শেষ মা, মা, মা।’
পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার তাঁকে প্রচণ্ড চাপে রাখে। তাঁকে জলদস্যুদের হাতে তুলে দিয়েছে।
শাহাদাত নিখোঁজের পর ম্যানেজারের অসংলগ্ন কথাবার্তায় এর পেছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে ধারণা পরিবারের। বর্তমানে শাহাদাত বেঁচে আছে নাকি মৃত তাও নিশ্চিত নয় তাঁর পরিবার।
নিখোঁজ শাহাদাতের ছোট ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার কথা মোবাইল ফোনে ম্যানেজার তাঁদের ২৪ মে রাতে জানান। পরদিন ২৫ মে তারা চন্দনাইশ ‘প্রত্যাশী’ অফিসে গেলে তখন ম্যানেজার বলেছিলেন, শাহাদাতের কাছে তাঁরা কোনো টাকা-পয়সা পাওনা নেই। মাঠ পর্যায়ে কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলাও ছিল না শাহাদাতের। কিন্তু দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি দেওয়ার পর ম্যানেজারের কথার ধরন পাল্টে যায়। ম্যানেজার শাহাদাতের কাছে ‘প্রত্যাশী’ কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকা পাওয়ার কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। এতে আমাদের ধারণা ম্যানেজারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার আঁতাত করে শাহাদাতকে গুম করেছেন।
তাঁদের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করলে নিখোঁজের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ সময় শাহাদাতের বাবা বদিউল আলম তাঁর ছেলেকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহাদাতের মা ফাতেমা আক্তার, নিখোঁজ শাহাদাতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘প্রত্যাশী’র ব্যবস্থাপক সিদ্দিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। ওনাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমার বক্তব্য আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনজিও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে শাহাদাত আত্মগোপন করেছেন। আমরা উভয় অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তবে তাঁকে (শাহাদাত) এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ৭ দিন ধরে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইনের (২৪) সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার পরিবার। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবার।
নিখোঁজ শাহাদাত ফটিকছড়ি ভুজপুরের বালুখালী গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার ভগ্নিপতি আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন বলেন, গত ২৪ মে রাতে রহস্যজনকভাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের রওশন হাট বাজার থেকে নিখোঁজ হন বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা ‘প্রত্যাশী’র ফিল্ড অফিসার শাহাদাত। ওই দিন ছামিউল নামে তাঁর এক সহকর্মীকে দাঁড় করিয়ে সেখানে একটি টয়লেটে যান শাহাদাত। পরে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ‘প্রত্যাশী’র পক্ষ থেকে নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবারকে জানানো হয়।
পরদিন ২৫ মে পরিবারের পক্ষ থেকে চন্দনাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও শাহাদাতের এখনো হদিস মেলেনি।
নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবারের দাবি, শাহাদাত নিখোঁজের দুদিন পর ‘কাজী ফারহান’ নামে তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘ম্যানেজার আমাকে বাঁচতে দিল না। দুই মিনিটের জন্য মোবাইলটা ভিক্ষা পাইছি। ও মা তোকে আর দেখতে পারব না। সবাই ভালো থাকিস, আমার জন্য দোয়া করিস। আমি আর তোদের মাঝে নেই। ম্যানেজার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিছে। ৫,১০ করে এই টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে জীবন দিতে হইছে। জলদস্যুর হাতে আমার জীবন শেষ মা, মা, মা।’
পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার তাঁকে প্রচণ্ড চাপে রাখে। তাঁকে জলদস্যুদের হাতে তুলে দিয়েছে।
শাহাদাত নিখোঁজের পর ম্যানেজারের অসংলগ্ন কথাবার্তায় এর পেছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে ধারণা পরিবারের। বর্তমানে শাহাদাত বেঁচে আছে নাকি মৃত তাও নিশ্চিত নয় তাঁর পরিবার।
নিখোঁজ শাহাদাতের ছোট ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার কথা মোবাইল ফোনে ম্যানেজার তাঁদের ২৪ মে রাতে জানান। পরদিন ২৫ মে তারা চন্দনাইশ ‘প্রত্যাশী’ অফিসে গেলে তখন ম্যানেজার বলেছিলেন, শাহাদাতের কাছে তাঁরা কোনো টাকা-পয়সা পাওনা নেই। মাঠ পর্যায়ে কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলাও ছিল না শাহাদাতের। কিন্তু দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি দেওয়ার পর ম্যানেজারের কথার ধরন পাল্টে যায়। ম্যানেজার শাহাদাতের কাছে ‘প্রত্যাশী’ কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকা পাওয়ার কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। এতে আমাদের ধারণা ম্যানেজারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার আঁতাত করে শাহাদাতকে গুম করেছেন।
তাঁদের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করলে নিখোঁজের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ সময় শাহাদাতের বাবা বদিউল আলম তাঁর ছেলেকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহাদাতের মা ফাতেমা আক্তার, নিখোঁজ শাহাদাতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘প্রত্যাশী’র ব্যবস্থাপক সিদ্দিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। ওনাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমার বক্তব্য আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনজিও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে শাহাদাত আত্মগোপন করেছেন। আমরা উভয় অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তবে তাঁকে (শাহাদাত) এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে