নানিয়ারচর (রাঙামাটি)প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যুর সাত বছর পার হলেও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষের জীবনে আসেনি নিরাপত্তা। এখনো থেমে নেই পাহাড় কাটা ও ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের মতো পরিবেশবিনাশী কার্যক্রম। প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলা হলেও বাস্তবে খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তব পদক্ষেপের ফারাক রয়েছে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ জুন টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে ভয়াবহ পাহাড় ধসে নানিয়ারচর উপজেলার পাঁচটি গ্রাম—বুড়িঘাট, ধর্মপাশা, বগাছড়ি আমতলী, বড়পুলপাড়া এবং ছড়াইপাড়ায় প্রাণ হারান ১১ জন, যাঁদের অধিকাংশই নারী। নিখোঁজ হন আরও তিনজন। ওই ধস পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনে ভয়াবহ ক্ষত তৈরি করেছিল। কিন্তু সাত বছর পরও নিরাপদ পুনর্বাসন বা কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নানিয়ারচরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো অবাধে ছড়া থেকে বালু উত্তোলন চলছে। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, বালু উত্তোলন করে খোলা জায়গায় জমা করে রাখা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী মো. ছগীর জানান, এই কাজে তিনি একা নন, পুরো উপজেলাতেই এই ধারা অব্যাহত আছে। কুকুরমারা, নানক্রুম ও বগাছড়ি এলাকায় প্রতিনিয়তই ছড়ার বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব কার্যক্রম রাতারাতি চালানো হয়।
এ ছাড়া পাহাড় কাটার প্রবণতাও থেমে নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়। খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ১৪ মাইল এলাকাজুড়ে গেলো বছর রাতারাতি কাটা হয়েছে একাধিক পাহাড়, যা এখন উন্মুক্ত মাঠে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ক্যাংগালছড়ি এলাকার তালুকদার পাড়া যাত্রী ছাউনির সড়কের বিপরীতে একটি বিশাল পাহাড় কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব কাজ রাতের আঁধারেই সম্পন্ন হয়, যেন প্রশাসনের চোখে না পড়ে।
অবৈধ পাহাড় কাটা নিয়ে ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর ‘আজকের পত্রিকা’য় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পাহাড়টি আংশিক রক্ষা পায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যুর সাত বছর পার হলেও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষের জীবনে আসেনি নিরাপত্তা। এখনো থেমে নেই পাহাড় কাটা ও ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের মতো পরিবেশবিনাশী কার্যক্রম। প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলা হলেও বাস্তবে খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তব পদক্ষেপের ফারাক রয়েছে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ জুন টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে ভয়াবহ পাহাড় ধসে নানিয়ারচর উপজেলার পাঁচটি গ্রাম—বুড়িঘাট, ধর্মপাশা, বগাছড়ি আমতলী, বড়পুলপাড়া এবং ছড়াইপাড়ায় প্রাণ হারান ১১ জন, যাঁদের অধিকাংশই নারী। নিখোঁজ হন আরও তিনজন। ওই ধস পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনে ভয়াবহ ক্ষত তৈরি করেছিল। কিন্তু সাত বছর পরও নিরাপদ পুনর্বাসন বা কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নানিয়ারচরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো অবাধে ছড়া থেকে বালু উত্তোলন চলছে। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, বালু উত্তোলন করে খোলা জায়গায় জমা করে রাখা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী মো. ছগীর জানান, এই কাজে তিনি একা নন, পুরো উপজেলাতেই এই ধারা অব্যাহত আছে। কুকুরমারা, নানক্রুম ও বগাছড়ি এলাকায় প্রতিনিয়তই ছড়ার বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব কার্যক্রম রাতারাতি চালানো হয়।
এ ছাড়া পাহাড় কাটার প্রবণতাও থেমে নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়। খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ১৪ মাইল এলাকাজুড়ে গেলো বছর রাতারাতি কাটা হয়েছে একাধিক পাহাড়, যা এখন উন্মুক্ত মাঠে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ক্যাংগালছড়ি এলাকার তালুকদার পাড়া যাত্রী ছাউনির সড়কের বিপরীতে একটি বিশাল পাহাড় কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব কাজ রাতের আঁধারেই সম্পন্ন হয়, যেন প্রশাসনের চোখে না পড়ে।
অবৈধ পাহাড় কাটা নিয়ে ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর ‘আজকের পত্রিকা’য় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পাহাড়টি আংশিক রক্ষা পায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ফের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন।
১ ঘণ্টা আগেএকপর্যায়ে চালক পেছনের দুই যাত্রীকে ‘বস বস’ বলে কী যেন বলতে থাকেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার পার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী হঠাৎ মোকসেদ আলীর চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা আদতে অপহরণকারী চক্রের সদস্য।
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক নতুন ও পুরোনো পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বইগুলো উদ্ধার করে স্কুলে জমা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে