নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচটি শিশুর মৃত্যুর পর সারা দেশে আলোচনায় আসে চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মনাই ত্রিপুরাপল্লি। ২০১৮ সালের আগস্টের ঘটনা এটি। হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিমে অবস্থিত অবহেলিত এই জনপদে ৬০টির বেশি পরিবারের বাস। এখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটি ছিল সরকারি উন্নয়ন ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তবে ২০১৯ সালে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে প্রতিষ্ঠা হয় মনাই ত্রিপুরাপল্লি স্কুল। করা হয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কিন্তু শিক্ষক সংকট ও অব্যবস্থাপনায় তিন মাস আগে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলটি। এটি মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কর্মসূচির অধীনে পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘হাটহাজারী থেকে বেশ দূরে হওয়ায় এখানে কেউ শিক্ষকতা করার জন্য যেতে চায় না। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য খুব দ্রুত চেষ্টা করছি।’
প্রাপ্ত তথ্যমতে, হাটহাজারীর দুর্গম এলাকার মনাই ত্রিপুরাপল্লিতে একই পরিবারের চারটিসহ পাঁচ শিশু হাম রোগে মারা যাওয়ার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন পল্লিটির উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেন। নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পাল্টে যায় পুরো পল্লি। এসব কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ও দুর্গম পাহাড়ে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ স্লোগান বাস্তবায়ন করায় জেলা পর্যায়ের সাধারণ (প্রাতিষ্ঠানিক) ক্যাটাগরিতে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০’ পায় হাটহাজারী ইউএনওর কার্যালয়।
এ ছাড়া, পল্লিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা ১২টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে পাকা ঘরও করে দেওয়া হয়। গোড়াপত্তন করা হয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অবহেলিত জনপদের সেই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেল। বর্তমানে স্কুলঘরে তালা ঝুলছে। পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত ৩০ শিশুশিক্ষার্থী।
ওই পল্লির বাসিন্দা বিষলক্ষী ত্রিপুরা বলেন, স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক মাস আগে। শিশুদের পড়ালেখার কোনো সুযোগ আর রইল না।
মনাই ত্রিপুরা পল্লির ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি শচীন ত্রিপুরা জানান, হাম রোগে পাঁচ শিশুর মারা যাওয়ার পর তৎকালীন ইউএনও এখানে অনেক উন্নয়নকাজ করেন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তখন স্কুল প্রতিষ্ঠা, সড়ক-ঘর নির্মাণ, টিউবওয়েল, টয়লেট ও মন্দির নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস আগে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কর্মসূচির সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু শর্মা বলেন, ‘এখানে যে শিক্ষক ছিলেন তিনি চলে যাওয়ার পর পদটি শূন্য হয়ে যায়। এখন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে আমরা তৎপর।’
হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচটি শিশুর মৃত্যুর পর সারা দেশে আলোচনায় আসে চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মনাই ত্রিপুরাপল্লি। ২০১৮ সালের আগস্টের ঘটনা এটি। হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিমে অবস্থিত অবহেলিত এই জনপদে ৬০টির বেশি পরিবারের বাস। এখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটি ছিল সরকারি উন্নয়ন ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তবে ২০১৯ সালে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে প্রতিষ্ঠা হয় মনাই ত্রিপুরাপল্লি স্কুল। করা হয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কিন্তু শিক্ষক সংকট ও অব্যবস্থাপনায় তিন মাস আগে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলটি। এটি মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কর্মসূচির অধীনে পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘হাটহাজারী থেকে বেশ দূরে হওয়ায় এখানে কেউ শিক্ষকতা করার জন্য যেতে চায় না। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য খুব দ্রুত চেষ্টা করছি।’
প্রাপ্ত তথ্যমতে, হাটহাজারীর দুর্গম এলাকার মনাই ত্রিপুরাপল্লিতে একই পরিবারের চারটিসহ পাঁচ শিশু হাম রোগে মারা যাওয়ার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন পল্লিটির উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেন। নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পাল্টে যায় পুরো পল্লি। এসব কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ও দুর্গম পাহাড়ে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ স্লোগান বাস্তবায়ন করায় জেলা পর্যায়ের সাধারণ (প্রাতিষ্ঠানিক) ক্যাটাগরিতে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০’ পায় হাটহাজারী ইউএনওর কার্যালয়।
এ ছাড়া, পল্লিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা ১২টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে পাকা ঘরও করে দেওয়া হয়। গোড়াপত্তন করা হয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অবহেলিত জনপদের সেই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেল। বর্তমানে স্কুলঘরে তালা ঝুলছে। পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত ৩০ শিশুশিক্ষার্থী।
ওই পল্লির বাসিন্দা বিষলক্ষী ত্রিপুরা বলেন, স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক মাস আগে। শিশুদের পড়ালেখার কোনো সুযোগ আর রইল না।
মনাই ত্রিপুরা পল্লির ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি শচীন ত্রিপুরা জানান, হাম রোগে পাঁচ শিশুর মারা যাওয়ার পর তৎকালীন ইউএনও এখানে অনেক উন্নয়নকাজ করেন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তখন স্কুল প্রতিষ্ঠা, সড়ক-ঘর নির্মাণ, টিউবওয়েল, টয়লেট ও মন্দির নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস আগে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কর্মসূচির সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু শর্মা বলেন, ‘এখানে যে শিক্ষক ছিলেন তিনি চলে যাওয়ার পর পদটি শূন্য হয়ে যায়। এখন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে আমরা তৎপর।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে