চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, চারুকলা সংকট নিরসন না করা, সিন্ডিকেট নির্বাচন দিতে গড়িমসিসহ প্রশাসনের একাধিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতির একাংশ। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক।
অন্যদিকে প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের এই মানববন্ধনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পাল্টা মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতির আরেক অংশ। প্রশাসনপন্থী শিক্ষকদের এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজীব কুমার ঘোষ।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন করেন প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকেরা। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাল্টা মানববন্ধন করেন প্রশাসনপন্থী শিক্ষকেরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের মানববন্ধন থেকে শিক্ষকেরা সিন্ডিকেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে উত্থাপিত সমস্যা নিরসনে সাত কর্মদিবস সময় বেঁধে দেন।
শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছি বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী চবিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের ছয়টি পদ খালি। একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত প্রার্থীও সম্প্রতি পদত্যাগ করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক পদোন্নতির আবেদন করেছেন, তাদের পদোন্নতি বোর্ড করা হয়নি, উল্টো জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি, উল্টো পুনরায় তাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলার অচলাবস্থা নিরসন করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনের আওতায় আনার দাবি করেছি। কিন্তু কোনো সন্তোষজনক অগ্রগতি আমরা পাইনি। আমরা কারও পক্ষে নই, আমরা একটা সন্তোষজনক সমাধান চাই।’
প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের মানববন্ধনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনসহ শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির ছয় সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অপদিকে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ নেতৃত্বাধীন অপর অংশের মানববন্ধনের ব্যানারের লেখা ছিল, ‘অবৈধ মানববন্ধন মানি না।’ এতে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির চার সদস্য, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষক, সহকারী প্রক্টরসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের শিক্ষকেরা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘আলোচনা ও আন্দোলনের মাধ্যমে চবি শিক্ষক সিমিতি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আলোচনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই, তারপর আন্দোলনে যাই। আমি বরাবর চেষ্টা করেছি, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকদের চাওয়া পূরণ করতে। গত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় শিক্ষকদের বেশ কিছু দাবি প্রশাসনের কাছে উত্থাপনের কথা ছিল। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল সিন্ডিকেট নির্বাচন, শিক্ষকদের পদোন্নতি ও চারুকলার ছাত্র-শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয়। আমরা তিনটা বিষয় নিয়ে কার্যকরী কমিটির সভায় আলোচনা করে প্রশাসনের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্য প্রশাসনের কাছে যেতে আগ্রহ পোষণ করেননি। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বারবার বলেছি, প্রশাসনকে জানাতে, আলোচনা করতে তারপর আমরা আন্দোলন করতে। কিন্তু তিনি (ভারপ্রাপ্ত) আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে সকল দাবিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আন্দোলন করছে তা অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে কয়েক দিন ধরে একই দাবিতে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়ে আসছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, চারুকলা সংকট নিরসন না করা, সিন্ডিকেট নির্বাচন দিতে গড়িমসিসহ প্রশাসনের একাধিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতির একাংশ। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক।
অন্যদিকে প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের এই মানববন্ধনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পাল্টা মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতির আরেক অংশ। প্রশাসনপন্থী শিক্ষকদের এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজীব কুমার ঘোষ।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন করেন প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকেরা। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাল্টা মানববন্ধন করেন প্রশাসনপন্থী শিক্ষকেরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের মানববন্ধন থেকে শিক্ষকেরা সিন্ডিকেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে উত্থাপিত সমস্যা নিরসনে সাত কর্মদিবস সময় বেঁধে দেন।
শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছি বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী চবিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের ছয়টি পদ খালি। একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত প্রার্থীও সম্প্রতি পদত্যাগ করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক পদোন্নতির আবেদন করেছেন, তাদের পদোন্নতি বোর্ড করা হয়নি, উল্টো জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি, উল্টো পুনরায় তাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলার অচলাবস্থা নিরসন করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনের আওতায় আনার দাবি করেছি। কিন্তু কোনো সন্তোষজনক অগ্রগতি আমরা পাইনি। আমরা কারও পক্ষে নই, আমরা একটা সন্তোষজনক সমাধান চাই।’
প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকদের মানববন্ধনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনসহ শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির ছয় সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অপদিকে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ নেতৃত্বাধীন অপর অংশের মানববন্ধনের ব্যানারের লেখা ছিল, ‘অবৈধ মানববন্ধন মানি না।’ এতে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির চার সদস্য, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষক, সহকারী প্রক্টরসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের শিক্ষকেরা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘আলোচনা ও আন্দোলনের মাধ্যমে চবি শিক্ষক সিমিতি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আলোচনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই, তারপর আন্দোলনে যাই। আমি বরাবর চেষ্টা করেছি, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকদের চাওয়া পূরণ করতে। গত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় শিক্ষকদের বেশ কিছু দাবি প্রশাসনের কাছে উত্থাপনের কথা ছিল। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল সিন্ডিকেট নির্বাচন, শিক্ষকদের পদোন্নতি ও চারুকলার ছাত্র-শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয়। আমরা তিনটা বিষয় নিয়ে কার্যকরী কমিটির সভায় আলোচনা করে প্রশাসনের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্য প্রশাসনের কাছে যেতে আগ্রহ পোষণ করেননি। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বারবার বলেছি, প্রশাসনকে জানাতে, আলোচনা করতে তারপর আমরা আন্দোলন করতে। কিন্তু তিনি (ভারপ্রাপ্ত) আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে সকল দাবিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আন্দোলন করছে তা অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে কয়েক দিন ধরে একই দাবিতে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়ে আসছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
৪১ মিনিট আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৮ ঘণ্টা আগে