পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঊর্মি আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে পটিয়া পৌর সদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বৈলতলী সড়কের মৃত আবদুল গফুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী জসিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূ ঊর্মি আকতার একই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিনুর ইসলামের মেয়ে এবং একই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
গৃহবধূ ঊর্মির পরিবারের লোকজন জানান, তিন বছর আগে ঊর্মি আকতারের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ঊর্মি আকতার জানতে পারেন তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত ও ইয়াবা কারবারি। এ নিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রায় সময় চলত ঊর্মির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কয়েকবার সালিস বৈঠকও করেন গৃহবধূর বড় বোনের স্বামী মো. ইদ্রিচ।
মৃতের বড় বোন শারমিন আকতার বলেন, ‘বিয়ের সময় আমরা বুঝতে পারিনি জসিম মাদকাসক্ত এবং থানায় একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। সে বাড়ির সামনে একটি সুপারশপের আড়ালে মাদকের কারবার করত। চলতি বছর ইয়াবা নিয়ে তার দোকানের এক কর্মচারীসহ জসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্প্রতি সে জেল থেকে বের হয়ে আমার বোনের কাছে ওয়াদা করে যে আর কখনো মাদক খাবে না এবং ব্যবসা করবে না। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও মাদকের কারবার শুরু করে জসিম। এ নিয়ে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। গতকাল বিকেলে জসিম ও তাঁর সহযোগী মামুন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ইয়াবা খাচ্ছিল। এ সময় আমার বোন ঊর্মি কাপড় শুকাতে ছাদে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পায়। পরে ইয়াবা খেতে স্বামী জসিমকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমার বোনকে হত্যা করে সে। হত্যার পর আমার বোনের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় জসিম।’
মৃতের বাবা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।’
অন্যদিকে, জসিম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর ঊর্মি তাঁর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ডাকাডাকির পরও তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন ঊর্মি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঊর্মি মারা যান।
এ বিষয়ে পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সারিন বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কিছু লোক ঊর্মি আকতার নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে আমরা মৃত ঘোষণা করি।’
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পটিয়া হাসপাতাল থেকে কল পেয়ে হাসপাতালে যাই। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঊর্মি আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে পটিয়া পৌর সদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বৈলতলী সড়কের মৃত আবদুল গফুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী জসিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূ ঊর্মি আকতার একই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিনুর ইসলামের মেয়ে এবং একই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
গৃহবধূ ঊর্মির পরিবারের লোকজন জানান, তিন বছর আগে ঊর্মি আকতারের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ঊর্মি আকতার জানতে পারেন তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত ও ইয়াবা কারবারি। এ নিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রায় সময় চলত ঊর্মির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কয়েকবার সালিস বৈঠকও করেন গৃহবধূর বড় বোনের স্বামী মো. ইদ্রিচ।
মৃতের বড় বোন শারমিন আকতার বলেন, ‘বিয়ের সময় আমরা বুঝতে পারিনি জসিম মাদকাসক্ত এবং থানায় একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। সে বাড়ির সামনে একটি সুপারশপের আড়ালে মাদকের কারবার করত। চলতি বছর ইয়াবা নিয়ে তার দোকানের এক কর্মচারীসহ জসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্প্রতি সে জেল থেকে বের হয়ে আমার বোনের কাছে ওয়াদা করে যে আর কখনো মাদক খাবে না এবং ব্যবসা করবে না। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও মাদকের কারবার শুরু করে জসিম। এ নিয়ে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। গতকাল বিকেলে জসিম ও তাঁর সহযোগী মামুন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ইয়াবা খাচ্ছিল। এ সময় আমার বোন ঊর্মি কাপড় শুকাতে ছাদে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পায়। পরে ইয়াবা খেতে স্বামী জসিমকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমার বোনকে হত্যা করে সে। হত্যার পর আমার বোনের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় জসিম।’
মৃতের বাবা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।’
অন্যদিকে, জসিম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর ঊর্মি তাঁর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ডাকাডাকির পরও তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন ঊর্মি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঊর্মি মারা যান।
এ বিষয়ে পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সারিন বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কিছু লোক ঊর্মি আকতার নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে আমরা মৃত ঘোষণা করি।’
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পটিয়া হাসপাতাল থেকে কল পেয়ে হাসপাতালে যাই। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে