নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে পারেনি। তবে ভোগান্তি কিছুটা লাঘবে বিকল্প হিসেবে নামানো হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস।
সংস্থাটির বাসগুলো ট্রেনের ওসব যাত্রীদের তুলে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ভৈরব, ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছে। এমনকি যাত্রীদের সামলাতে পর্যটক বহনকারী বিআরটিসির বিশেষ বাসও রাস্তায় নামানো হয়েছে। কিন্তু ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী বাসের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের এসব চিত্র দেখা যায়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সকাল থেকে কোনো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়নি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে নিয়মিত ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর, লোকাল ও মেইলসহ ১৪টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ট্রেনগুলোও পরিস্থিতি অনুযায়ী শিডিউল বাতিলের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর মধ্যে সকাল থেকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন, সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেসসহ ১৪টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে নগরের বটতলী পুরাতন রেলস্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা, রানিং অ্যালাউন্স যোগপূর্বক অবসর ও আনুতোষিক ভাতা প্রদান ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বৈষম্যমূলক ১২ ও ১৩ নম্বর শর্ত বাতিল করে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে আদেশ জারি না করলে পরদিন ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি পাহাড়তলী লোকোশেডের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

রেলওয়ে তথ্যে, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দৈনিক ১৩টি আন্তনগর ট্রেন, ১১ টি লোকাল ট্রেন ও ৪টি মেইল ট্রেনে করে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী নিয়মিত বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। বাসগুলোর আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে ৭৫ টি। সে তুলনায় যাত্রীদের তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক নগণ্য। বিকেল পর্যন্ত বাসগুলো অন্তত ৫০০ যাত্রীকে বাসে করে নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা ছিল ট্রেনের যাত্রীরা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন সে ব্যবস্থা নিতে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আমাদের বাসগুলোতে করে ট্রেনের যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে যতটা সম্ভব ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করছি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিআরটিসি’র এসি সার্ভিস, ডাবল ডেকারসহ ৭টি বাস চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে দুটি ডাবল ডেকার বাসসহ আরও কয়েকটি আনা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী রাতেও কয়েকটি বাস ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
মো. জুলফিকার আলী আরও বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। ওনারা ট্রেনের যে টিকিট কেটেছেন সেটা আমরা রেখে দিচ্ছি। রেলের শিডিউল অনুযায়ী যাত্রীদের নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।’

জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমরা ট্রেনের সব যাত্রীদের নিতে না পারলেও কিছু যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে তাঁদের ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেনা যাত্রী নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছান। স্টেশনে পৌঁছেই তাঁরা জানতে পারে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোর থেকেই নির্ধারিত ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনে আসতে শুরু করে। তারা ট্রেন বন্ধের বিষয়টি জানতেন না। আমরা মাইকে ট্রেনের শিডিউল বাতিলের ঘোষণা দিই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিআরটিসি বাসে করে নিজ গন্তব্যে যেতে পারার কথাও বলা হয়েছে। এরপর অনেকেই স্টেশন ছেড়ে গেছেন আবার অনেকেই বিআরটিসি বাসে করে নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।’
বিকেল ৫টায় সর্বশেষ খবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ১৪টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এখনো সুরাহা না হওয়ায় পরের ট্রেনগুলোর শিডিউলের বিষয় পরে জানা যাবে।

লাকসামের যাত্রী রিফাত বলেন, ‘আমার মা বাসে চড়তে পারেন না। তিনি বাসে উঠলে বমি করেন। তাই ট্রেনের টিকিট নিয়েছিলাম। এখন তো বাস ছাড়া বিকল্প নাই। তাই বাসেই যেতে হচ্ছে।
ইসরাত জাহান বলেন, অগ্রিম টিকিট কেনার পর আমাদের এ বিষয়ে কোনো এসএমএসও দেওয়া হয়নি রেলওয়ে থেকে। ট্রেন চলাচল না করলে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে তাঁরা জানাতে পারতেন। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন স্টেশনে এসে বিপদে পড়লাম।
বিআরটিসি বাসে করে রওনা হওয়া শাহীন মিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমরা কয়েক দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কিনে রেখেছিলাম। এখন যেতে হচ্ছে বাসে। এটা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ৩০ জানুয়ারি ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত পাব। জরুরি কাজ হলে বাসে যেতে। তাই বাধ্য হয়েই এখানে বাসে যাচ্ছি।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে পারেনি। তবে ভোগান্তি কিছুটা লাঘবে বিকল্প হিসেবে নামানো হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস।
সংস্থাটির বাসগুলো ট্রেনের ওসব যাত্রীদের তুলে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ভৈরব, ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছে। এমনকি যাত্রীদের সামলাতে পর্যটক বহনকারী বিআরটিসির বিশেষ বাসও রাস্তায় নামানো হয়েছে। কিন্তু ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী বাসের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের এসব চিত্র দেখা যায়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সকাল থেকে কোনো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়নি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে নিয়মিত ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর, লোকাল ও মেইলসহ ১৪টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ট্রেনগুলোও পরিস্থিতি অনুযায়ী শিডিউল বাতিলের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর মধ্যে সকাল থেকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন, সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেসসহ ১৪টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে নগরের বটতলী পুরাতন রেলস্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা, রানিং অ্যালাউন্স যোগপূর্বক অবসর ও আনুতোষিক ভাতা প্রদান ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বৈষম্যমূলক ১২ ও ১৩ নম্বর শর্ত বাতিল করে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে আদেশ জারি না করলে পরদিন ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি পাহাড়তলী লোকোশেডের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

রেলওয়ে তথ্যে, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দৈনিক ১৩টি আন্তনগর ট্রেন, ১১ টি লোকাল ট্রেন ও ৪টি মেইল ট্রেনে করে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী নিয়মিত বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। বাসগুলোর আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে ৭৫ টি। সে তুলনায় যাত্রীদের তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক নগণ্য। বিকেল পর্যন্ত বাসগুলো অন্তত ৫০০ যাত্রীকে বাসে করে নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা ছিল ট্রেনের যাত্রীরা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন সে ব্যবস্থা নিতে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আমাদের বাসগুলোতে করে ট্রেনের যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে যতটা সম্ভব ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করছি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিআরটিসি’র এসি সার্ভিস, ডাবল ডেকারসহ ৭টি বাস চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে দুটি ডাবল ডেকার বাসসহ আরও কয়েকটি আনা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী রাতেও কয়েকটি বাস ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
মো. জুলফিকার আলী আরও বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। ওনারা ট্রেনের যে টিকিট কেটেছেন সেটা আমরা রেখে দিচ্ছি। রেলের শিডিউল অনুযায়ী যাত্রীদের নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।’

জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমরা ট্রেনের সব যাত্রীদের নিতে না পারলেও কিছু যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে তাঁদের ভোগান্তি লাঘবের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেনা যাত্রী নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছান। স্টেশনে পৌঁছেই তাঁরা জানতে পারে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোর থেকেই নির্ধারিত ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনে আসতে শুরু করে। তারা ট্রেন বন্ধের বিষয়টি জানতেন না। আমরা মাইকে ট্রেনের শিডিউল বাতিলের ঘোষণা দিই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিআরটিসি বাসে করে নিজ গন্তব্যে যেতে পারার কথাও বলা হয়েছে। এরপর অনেকেই স্টেশন ছেড়ে গেছেন আবার অনেকেই বিআরটিসি বাসে করে নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।’
বিকেল ৫টায় সর্বশেষ খবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ১৪টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এখনো সুরাহা না হওয়ায় পরের ট্রেনগুলোর শিডিউলের বিষয় পরে জানা যাবে।

লাকসামের যাত্রী রিফাত বলেন, ‘আমার মা বাসে চড়তে পারেন না। তিনি বাসে উঠলে বমি করেন। তাই ট্রেনের টিকিট নিয়েছিলাম। এখন তো বাস ছাড়া বিকল্প নাই। তাই বাসেই যেতে হচ্ছে।
ইসরাত জাহান বলেন, অগ্রিম টিকিট কেনার পর আমাদের এ বিষয়ে কোনো এসএমএসও দেওয়া হয়নি রেলওয়ে থেকে। ট্রেন চলাচল না করলে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে তাঁরা জানাতে পারতেন। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন স্টেশনে এসে বিপদে পড়লাম।
বিআরটিসি বাসে করে রওনা হওয়া শাহীন মিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমরা কয়েক দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কিনে রেখেছিলাম। এখন যেতে হচ্ছে বাসে। এটা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ৩০ জানুয়ারি ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত পাব। জরুরি কাজ হলে বাসে যেতে। তাই বাধ্য হয়েই এখানে বাসে যাচ্ছি।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে, একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে, একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে...
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে...
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
২ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে...
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৯ মিনিট আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি পালনের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীরা। কদিন আগে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে তা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে নিজ গন্তব্যে যেতে...
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে