মংবোওয়াং চিং মারমা, থানচি (বান্দরবান)
ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবানের থানচি উপজেলার মগকঝিরিতে ভাঙনে দেখা দিয়েছে। এতে ঘুম নেই সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগক হেডম্যানপাড়ার ২৫-৩০টি পরিবারে। এ পাড়ায় শতাধিক পরিবারের বাস।
অন্তত ৭৫ বছরের পুরোনো মগক হেডম্যানপাড়া বর্তমানে থানচি হেডম্যানপাড়া নামে পরিচিত। এখানে প্রায় ১২০ পরিবার বাস করছে। ইতিমধ্যে পাড়ার দুটি পরিবারের ঘরবাড়ির অর্ধেক ভেঙে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আরও ৩০ পরিবার।
পাড়ার প্রধান বাথোয়াইচিং মারমা জানান, পাড়ার পূর্বে ও দক্ষিণে মগকঝিরি, পশ্চিমে পাহাড়, উত্তরে শ্মশান। ফলে বসতি ঘরবাড়িও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। দুই পাশে ঝিরির ভাঙনরোধ ব্যয়বহুল হওয়ায় পাড়াবাসীর পক্ষে তা করা সম্ভব না। পাউবো কর্তৃপক্ষ দু-তিনবার এলাকা পরিদর্শন করে গেছে। ঐতিহ্যবাহী পাড়াকে ভাঙন থেকে রক্ষা করা জরুরি।
পাড়ার বাসিন্দা সহকারী শিক্ষক সাঅং প্রু মারমা জানান, এর আগে ২০১৮ সালে বর্ষা মৌসুমের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রবল স্রোতে মগকঝিরিতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড অর্থায়ন ও ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানের টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্পের শিক্ষাকেন্দ্র ভেসে যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা অংশৈসা মারমা। তিনি বলেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা ঝুড়িভরা প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচিত হলে তাঁদের খোঁজ থাকে না। ২০২০ সালে ভারী বৃষ্টির কারণে ঝিরির অতিরিক্ত স্রোতে স্কুল, বসতঘরসহ অনেক ফলদগাছ হারিয়ে গেছে। সে সময় পাড়াবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ, গাছ দিয়ে বাঁধ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই তা ভেঙে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, ‘ঝিরির ভাঙন দেখেছি। পাড়া রক্ষা করতে রিটার্নিং ওয়াল দিতে হবে। উপজেলা পরিষদের স্বল্প বরাদ্দের ছোট প্রকল্প দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব না। এটি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’ এ জন্য তিনি ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিলেন।
জেলা পাউবো কার্যালয়ে থানচি-লামার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেকশন কর্মকর্তা মির্জানুল হক বলেন, ‘জেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধে পাউবো জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজার সহকারী কমিশনারসহ দুবার জরিপ চালিয়ে ছিলাম। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীরক্ষা বাঁধ নামে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো আছে। বর্তমানে সেটি ফাইলবন্দী।’
জেলা পাউবো প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, পরিদর্শনে গেলে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী দাবি করেছেন পাড়াটি রক্ষার। সচিবও পরিদর্শন করেছেন।
অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীভাঙন রক্ষায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান অঞ্চলের জন্য প্রকল্প অনুমোদনে সব সার্ভে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি, বরাদ্দ চেয়েছি। একই ফাইলে মগকঝিরি ভাঙনরোধ প্রকল্পও আছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবানের থানচি উপজেলার মগকঝিরিতে ভাঙনে দেখা দিয়েছে। এতে ঘুম নেই সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগক হেডম্যানপাড়ার ২৫-৩০টি পরিবারে। এ পাড়ায় শতাধিক পরিবারের বাস।
অন্তত ৭৫ বছরের পুরোনো মগক হেডম্যানপাড়া বর্তমানে থানচি হেডম্যানপাড়া নামে পরিচিত। এখানে প্রায় ১২০ পরিবার বাস করছে। ইতিমধ্যে পাড়ার দুটি পরিবারের ঘরবাড়ির অর্ধেক ভেঙে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আরও ৩০ পরিবার।
পাড়ার প্রধান বাথোয়াইচিং মারমা জানান, পাড়ার পূর্বে ও দক্ষিণে মগকঝিরি, পশ্চিমে পাহাড়, উত্তরে শ্মশান। ফলে বসতি ঘরবাড়িও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। দুই পাশে ঝিরির ভাঙনরোধ ব্যয়বহুল হওয়ায় পাড়াবাসীর পক্ষে তা করা সম্ভব না। পাউবো কর্তৃপক্ষ দু-তিনবার এলাকা পরিদর্শন করে গেছে। ঐতিহ্যবাহী পাড়াকে ভাঙন থেকে রক্ষা করা জরুরি।
পাড়ার বাসিন্দা সহকারী শিক্ষক সাঅং প্রু মারমা জানান, এর আগে ২০১৮ সালে বর্ষা মৌসুমের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রবল স্রোতে মগকঝিরিতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড অর্থায়ন ও ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানের টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্পের শিক্ষাকেন্দ্র ভেসে যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা অংশৈসা মারমা। তিনি বলেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা ঝুড়িভরা প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচিত হলে তাঁদের খোঁজ থাকে না। ২০২০ সালে ভারী বৃষ্টির কারণে ঝিরির অতিরিক্ত স্রোতে স্কুল, বসতঘরসহ অনেক ফলদগাছ হারিয়ে গেছে। সে সময় পাড়াবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ, গাছ দিয়ে বাঁধ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই তা ভেঙে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, ‘ঝিরির ভাঙন দেখেছি। পাড়া রক্ষা করতে রিটার্নিং ওয়াল দিতে হবে। উপজেলা পরিষদের স্বল্প বরাদ্দের ছোট প্রকল্প দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব না। এটি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’ এ জন্য তিনি ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিলেন।
জেলা পাউবো কার্যালয়ে থানচি-লামার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেকশন কর্মকর্তা মির্জানুল হক বলেন, ‘জেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধে পাউবো জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজার সহকারী কমিশনারসহ দুবার জরিপ চালিয়ে ছিলাম। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীরক্ষা বাঁধ নামে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো আছে। বর্তমানে সেটি ফাইলবন্দী।’
জেলা পাউবো প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, পরিদর্শনে গেলে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী দাবি করেছেন পাড়াটি রক্ষার। সচিবও পরিদর্শন করেছেন।
অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীভাঙন রক্ষায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান অঞ্চলের জন্য প্রকল্প অনুমোদনে সব সার্ভে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি, বরাদ্দ চেয়েছি। একই ফাইলে মগকঝিরি ভাঙনরোধ প্রকল্পও আছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩১ মিনিট আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩৭ মিনিট আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১ ঘণ্টা আগে