Ajker Patrika

আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের মিয়ারহাট এলাকায় গতকাল বুধবার মাছঘাটের দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক শাহজালাল রাহুলসহ ৯ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত শিক্ষার্থী রাসেল হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। 

আটক করা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুল এবং তাঁর সমর্থক রাকিব হোসেন, সুমন হোসেন, মো. সোহান হোসেন ও মিনহাজুল ইসলামকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে শাহজালাল রাহুলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তাঁর ঘর থেকে নকল দুইটি পিস্তল, রামদা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া মামলা ও অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ওসি শিপন বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনকে আদালতে তোলে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর হলে তাদের হত্যা ও এ ঘটনা সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাসেলকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, আধিপত্য বিস্তার ও ঘাট দখল নিয়ে শাহজালাল রাহুল ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রাসেল হোসেন নামে এক কিশোর নিহত ও কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাহুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাট দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে শাহজালাল রাহুল ও নজরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার সকালে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশীর মিয়ারহাটের রাহুল মাছঘাটে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই বাবুল ব্যাপারীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলের মাছঘাটের ম্যানেজার ফারুক ক্বারীর বাগ্‌বিতণ্ডা ও কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে রাহুল ও নজরুল ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় রাসেল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত ও আরও ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুল ও তার সমর্থক রাকিব হোসেন, সুমন হোসেন, মো. সোহান হোসেন ও মিনহাজুল ইসলামকে আটক করে। 

অবশ্য এ ঘটনার জন্য শাহজালাল রাহুল ও নজরুল ইসলাম পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত