Ajker Patrika

ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার ১২ আসামির সবাই খালাস, বাদীপক্ষ অসন্তুষ্ট 

লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার ১২ আসামির সবাই খালাস, বাদীপক্ষ অসন্তুষ্ট 

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ হত্যা মামলায় মামলার ১২ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মামলার বাদীপক্ষের লোকজন। 

মিরাজ হত্যা মামলার আসামিরা খালাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সী। তিনি বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় সঠিক বিচার পাননি মিরাজের বাবা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’ 

খালাস পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন মো. রিয়াজ হোসেন, মোস্তফা কামাল, জহির সর্দ্দার, রাকিব হোসেন, রফিকুল্লাহ সোহাগ, মো. মুসলিম, হারুনুর রশিদ, নুরেই হেলাল মামুন, মাসুদ আলম, মো. সোহেল, তানবির হায়দার রিয়াজ ও জাহাঙ্গীর অলম। রায়ের সময়ে ১২ আসামির মধ্যে তানবির হায়দার রিয়াজ ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

আদালত থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের কেরোয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ দুই সহযোগী মাসুদ ও সোহেলকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে উপজেলার ভূইয়ারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইল ফোনে মিরাজকে ডেকে নেন। পরে কেরোয়ার ভাটের মসজিদ এলাকায় মিরাজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। 

হত্যাকাণ্ডের পরদিন মিরাজের বাবা আবুল কালাম রায়পুর থানায় ১১ জনের নামসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন আদালতে ১২ আসামিকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় ১১ বছর পর আদালত আজ এই রায় দিয়েছেন। 

এদিকে মামলার বাদী মিরাজের বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘মিরাজ হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার পাইনি। ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আর আসামিরা খালাস পেল, এটা কোনোভাবে হতে পারে না। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ 

আইনজীবী আবদুল আউয়াল রাসেল ও কামাল উদ্দিন জানান, একাধিকবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তন, ঘটনাটি প্রমাণ করতে না পারায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। 

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার হস্তক্ষেপের কারণে তদন্ত কর্মকর্তারা সঠিক তদন্ত করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। বিচার না পাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগ নেতাদের গাফিলতি দায়ী।’ 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত করতে না পারায় মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছেন। তবে মামলার তদন্তে গাফিলতি, একাধিকবার অভিযোগপত্র পরিবর্তনসহ নানা অসংগতি ছিল মামলায়। পাশাপাশি সঠিক সাক্ষীরা সাক্ষ্য না দেওয়ায় আসামিরা খালাস পান। তবে বাদী চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত