মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করেছিলেন এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (৩৭)। একটি মামলা ও পরবর্তী তদন্তের জেরে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
হুমায়ুন কবিরের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের কাদঘর গ্রামে। তিনি এনবিআরের কর অঞ্চল-২৪-এ কর্মরত। জমি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই শাহ আলম। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মা হাফেজা খাতুনের সঙ্গে বাবা জয়নাল আবেদীনের বিবাহবিচ্ছেদের পর সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমকে বিয়ে করেন তাঁর বাবা। মামলায় অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির তাঁর চাচাতো ভাই। হুমায়ুন কবির নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে শাহ আলমের মা ও বাবার নাম ব্যবহার করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল শাহ আলমের পরিবারের সম্পত্তিতে ভাগ বসানো। এ কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি।
এরপর শাহ আলমের সৎ মা সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমের কাছ থেকে জালিয়াতি করে ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ৬ শতক জমি হেবানামা করে নেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির চাচা জয়নাল আবেদীনকে নিজের বাবা এবং শাহ আলমের সৎ মা সাফিয়া খাতুনকে নিজের মা উল্লেখ করেন। এরপর ওই বছরই চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে হুমায়ুন কবির তাঁর ভাই জালাল আহম্মদকে অপর একটি দলিলে ওই ৬ শতকসহ ৯ শতক জমি হেবা দলিল করে দেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির তাঁর বাবার নাম উল্লেখ করেন আমির হোসেন এবং মায়ের নাম সালেহা বেগম।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি হুমায়ুন কবির জালিয়াতির মাধ্যমে বাদী শাহ আলমের মা-বাবার সম্পত্তিতে মালিকানা লাভের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘হুমায়ুন কবির আমার আপন চাচাতো ভাই। তিনি আমার বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে আমার বাবা ও সৎ মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে মামলা করার পর থেকে আমাকে হত্যাসহ নানা হুমকি দিচ্ছেন।’
এ নিয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মোবাইলে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মামলার বাদী শাহ আলমের আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এই প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়েছে।
সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করেছিলেন এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (৩৭)। একটি মামলা ও পরবর্তী তদন্তের জেরে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
হুমায়ুন কবিরের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের কাদঘর গ্রামে। তিনি এনবিআরের কর অঞ্চল-২৪-এ কর্মরত। জমি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই শাহ আলম। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মা হাফেজা খাতুনের সঙ্গে বাবা জয়নাল আবেদীনের বিবাহবিচ্ছেদের পর সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমকে বিয়ে করেন তাঁর বাবা। মামলায় অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির তাঁর চাচাতো ভাই। হুমায়ুন কবির নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে শাহ আলমের মা ও বাবার নাম ব্যবহার করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল শাহ আলমের পরিবারের সম্পত্তিতে ভাগ বসানো। এ কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি।
এরপর শাহ আলমের সৎ মা সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমের কাছ থেকে জালিয়াতি করে ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ৬ শতক জমি হেবানামা করে নেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির চাচা জয়নাল আবেদীনকে নিজের বাবা এবং শাহ আলমের সৎ মা সাফিয়া খাতুনকে নিজের মা উল্লেখ করেন। এরপর ওই বছরই চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে হুমায়ুন কবির তাঁর ভাই জালাল আহম্মদকে অপর একটি দলিলে ওই ৬ শতকসহ ৯ শতক জমি হেবা দলিল করে দেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির তাঁর বাবার নাম উল্লেখ করেন আমির হোসেন এবং মায়ের নাম সালেহা বেগম।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি হুমায়ুন কবির জালিয়াতির মাধ্যমে বাদী শাহ আলমের মা-বাবার সম্পত্তিতে মালিকানা লাভের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘হুমায়ুন কবির আমার আপন চাচাতো ভাই। তিনি আমার বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে আমার বাবা ও সৎ মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে মামলা করার পর থেকে আমাকে হত্যাসহ নানা হুমকি দিচ্ছেন।’
এ নিয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মোবাইলে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মামলার বাদী শাহ আলমের আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এই প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২২ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩২ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে