চবি সংবাদদাতা
সেশনজট নিরসনের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে দুই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। /
শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি হলো, সেশনজট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার সম্পন্ন করা এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রদান করা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অনশনরত ১২ শিক্ষার্থী হলেন স্বাধীন বসু মিয়া, ক্যাএসিং মারমা, মোহাইমিন আনাম, ওয়ালিউল্লাহ, আবু রাজিন মণ্ডল, তারেক মাহমুদ, হাফসা কাউসার মিশু, মোহাম্মদ জাভেদ, বখতিয়ারুল ইসলাম, মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের হাতে ‘শিক্ষার নামে প্রহসন চলবে না! চলবে!’, ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘প্রশাসনের ঘুম ভাঙাও সেশনজট দূর করাও’, ‘জট থেকে মুক্তি অথবা মৃত্যু’ স্লোগান লেখা ব্যানার দেখা যায়।
অনশনরত স্বাধীন বসু মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের সেশনজট। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। বিগত প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কখন ক্লাস হবে, কখন পরীক্ষা—কিছুই জানি না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা কেমন ব্যবস্থা?’ অনশনকারী আরেক শিক্ষার্থী মিফতাহ জাহান মীম বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই সিনিয়রদের দুই-তিনটা আন্দোলন দেখেছি। অনেক সিনিয়রদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে। আমাদের অনার্স শেষ হতে আট বছর লেগে যায়। কারও পরিবারের সমস্যা। এগুলো কে দেখবে? আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।’
শিক্ষক না থাকাকে সেশনজটের মূল কারণ জানিয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এন এম সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কোনো শিক্ষক না দিয়েই ২০১৫ একটি বিভাগ চালু করা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এগুলো সমাধানের কাজ করছি। বর্তমান প্রশাসন ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার। তাদের কেন আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু তারা নিরুপায়। দ্রুতই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হবে ৷ শিক্ষার্থীরা ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে করতে চাই, তারা পারলে আমরা এটা করে দেব। প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, সেশনজট নিরসনের জন্য বিভাগে শিক্ষক প্রয়োজন, আমরা শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই দিয়েছি। আর ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে করার যে দাবি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, নীতিনির্ধারণী কমিটি ঠিক করবেন।’
সেশনজট নিরসনের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে দুই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। /
শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি হলো, সেশনজট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার সম্পন্ন করা এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রদান করা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অনশনরত ১২ শিক্ষার্থী হলেন স্বাধীন বসু মিয়া, ক্যাএসিং মারমা, মোহাইমিন আনাম, ওয়ালিউল্লাহ, আবু রাজিন মণ্ডল, তারেক মাহমুদ, হাফসা কাউসার মিশু, মোহাম্মদ জাভেদ, বখতিয়ারুল ইসলাম, মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের হাতে ‘শিক্ষার নামে প্রহসন চলবে না! চলবে!’, ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘প্রশাসনের ঘুম ভাঙাও সেশনজট দূর করাও’, ‘জট থেকে মুক্তি অথবা মৃত্যু’ স্লোগান লেখা ব্যানার দেখা যায়।
অনশনরত স্বাধীন বসু মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের সেশনজট। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। বিগত প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কখন ক্লাস হবে, কখন পরীক্ষা—কিছুই জানি না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা কেমন ব্যবস্থা?’ অনশনকারী আরেক শিক্ষার্থী মিফতাহ জাহান মীম বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই সিনিয়রদের দুই-তিনটা আন্দোলন দেখেছি। অনেক সিনিয়রদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে। আমাদের অনার্স শেষ হতে আট বছর লেগে যায়। কারও পরিবারের সমস্যা। এগুলো কে দেখবে? আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।’
শিক্ষক না থাকাকে সেশনজটের মূল কারণ জানিয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এন এম সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কোনো শিক্ষক না দিয়েই ২০১৫ একটি বিভাগ চালু করা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এগুলো সমাধানের কাজ করছি। বর্তমান প্রশাসন ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার। তাদের কেন আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু তারা নিরুপায়। দ্রুতই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হবে ৷ শিক্ষার্থীরা ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে করতে চাই, তারা পারলে আমরা এটা করে দেব। প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, সেশনজট নিরসনের জন্য বিভাগে শিক্ষক প্রয়োজন, আমরা শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই দিয়েছি। আর ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে করার যে দাবি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, নীতিনির্ধারণী কমিটি ঠিক করবেন।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে