সাবরেজিস্ট্রার লাঞ্ছিত
মো. আকতারুজ্জামান,চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবরেজিস্ট্রারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এক সপ্তাহ ধরে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। কার্যালয়ে এসে সেবা না পেয়েই তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে।
সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গুণবতী কার্যালয়ের সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দলিল সম্পাদনের জন্য সাবরেজিস্ট্রারের খাসকামরায় প্রবেশ করেন দলিল লেখক মোহাম্মদ হানিফ। এ সময় সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী শতভাগ নির্ভুল দলিল নিয়ে আসতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফসহ দলিলগ্রহীতা ওই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জেরে আজ সোমবার পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে আসেননি।
এ অবস্থায় সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমি-সংক্রান্ত কাজে আসা ব্যক্তিরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বুদ্দিন গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দলিল সম্পাদনের জন্য এসেছিলাম ঢাকা থেকে। কিন্তু এসে জানলাম অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় সাবরেজিস্ট্রার অনুপস্থিত। কর্মসূত্রে আমরা সবাই ঢাকায় থাকি। মাইক্রোবাস ভাড়া করে এসেছি। এখন দলিল সম্পাদন না করেই ফিরে যেতে হবে।’
আলকরা গ্রাম থেকে আসা আবদুল মমিন বলেন, ‘টাকার জন্য জমি বিক্রি করেছি; কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। আর জমি রেজিস্ট্রি ছাড়া ক্রেতা টাকা দিচ্ছেন না। বিপদের সময় টাকা-ই যদি না পাই তাহলে জমি বিক্রি করে কী লাভ হলো।’
দলিল লেখক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। যার একটি বণ্টননামা। বণ্টননামার একজন অংশীদার আগামীকাল দেশের বাইরে চলে যাবেন। কয়েকজন আসছেন শহর থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ আরেক দলিল লেখক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে তিনি অফিসে আসছেন না বলে জেনেছি।’
জানতে চাইলে দলিল লেখক হানিফ বলেন, ‘দলিল গ্রহীতাদের সঙ্গে সাবরেজিস্ট্রারের ঝামেলা হয়েছে। ওই দিন ঘটনার সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ শাহিন ও দলিল লেখক মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমি তাঁকে (সাবরেজিস্ট্রার) লাঞ্ছিত করি নাই। সম্ভবত ব্যক্তিগত কারণে তিনি আসছেন না।’
তবে সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে হওয়ায় ওই দিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জেনেছি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে আসছেন না বলে জেনেছি।’
এ বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী বলেন, ‘এখানে কাজ করার মনমানসিকতা নাই। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি। আমি এখন থেকে নিয়মিত গুণবতী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালন করব।’
যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, ‘মেহেদী হাসান অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালন করছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি দলিল লেখক ও দলিলের গ্রহীতা তাঁকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অনেকেই (সাবরেজিস্ট্রার) আসতে রাজি হচ্ছেন না। আশা করছি, দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবরেজিস্ট্রারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এক সপ্তাহ ধরে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। কার্যালয়ে এসে সেবা না পেয়েই তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে।
সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গুণবতী কার্যালয়ের সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দলিল সম্পাদনের জন্য সাবরেজিস্ট্রারের খাসকামরায় প্রবেশ করেন দলিল লেখক মোহাম্মদ হানিফ। এ সময় সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী শতভাগ নির্ভুল দলিল নিয়ে আসতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফসহ দলিলগ্রহীতা ওই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জেরে আজ সোমবার পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে আসেননি।
এ অবস্থায় সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমি-সংক্রান্ত কাজে আসা ব্যক্তিরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বুদ্দিন গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দলিল সম্পাদনের জন্য এসেছিলাম ঢাকা থেকে। কিন্তু এসে জানলাম অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় সাবরেজিস্ট্রার অনুপস্থিত। কর্মসূত্রে আমরা সবাই ঢাকায় থাকি। মাইক্রোবাস ভাড়া করে এসেছি। এখন দলিল সম্পাদন না করেই ফিরে যেতে হবে।’
আলকরা গ্রাম থেকে আসা আবদুল মমিন বলেন, ‘টাকার জন্য জমি বিক্রি করেছি; কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। আর জমি রেজিস্ট্রি ছাড়া ক্রেতা টাকা দিচ্ছেন না। বিপদের সময় টাকা-ই যদি না পাই তাহলে জমি বিক্রি করে কী লাভ হলো।’
দলিল লেখক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। যার একটি বণ্টননামা। বণ্টননামার একজন অংশীদার আগামীকাল দেশের বাইরে চলে যাবেন। কয়েকজন আসছেন শহর থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ আরেক দলিল লেখক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে তিনি অফিসে আসছেন না বলে জেনেছি।’
জানতে চাইলে দলিল লেখক হানিফ বলেন, ‘দলিল গ্রহীতাদের সঙ্গে সাবরেজিস্ট্রারের ঝামেলা হয়েছে। ওই দিন ঘটনার সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ শাহিন ও দলিল লেখক মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমি তাঁকে (সাবরেজিস্ট্রার) লাঞ্ছিত করি নাই। সম্ভবত ব্যক্তিগত কারণে তিনি আসছেন না।’
তবে সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে হওয়ায় ওই দিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জেনেছি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে আসছেন না বলে জেনেছি।’
এ বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার মেহেদী বলেন, ‘এখানে কাজ করার মনমানসিকতা নাই। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি। আমি এখন থেকে নিয়মিত গুণবতী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালন করব।’
যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, ‘মেহেদী হাসান অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালন করছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি দলিল লেখক ও দলিলের গ্রহীতা তাঁকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে চৌদ্দগ্রাম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অনেকেই (সাবরেজিস্ট্রার) আসতে রাজি হচ্ছেন না। আশা করছি, দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৭ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২২ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে