ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম কলাবুনিয়া মারমাপাড়ার মেয়ে পূর্ণিমা মারমা, মাসিনু মারমা, সুইক্রাপ্রু মারমা, হ্লাক্রইচিং মারমা ও উক্রাক্রো মারমা । তাঁরা কাপ্তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকায় অবস্থিত শহীদ শামসুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। তবে তাদের স্কুলের যাওয়া-আসার পথটা মোটেই সহজ নয়। কারণ বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য নৌকা চালিয়ে কর্ণফুলী নদী পেরোতে হয় তাদের।
শুধু এই পাঁচ শিক্ষার্থী নয়, পাড়াটির অন্য শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই নদী পেরোতে হয়। এই পাড়ায় কোনো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কাপ্তাইয়ের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। তারা সবাই নিজেরা বইঠা দিয়ে নৌকা চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে কর্ণফুলী নদী পাড় হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়।
আজ রোববার সকাল ৯টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ এলাকার চৌধুরী ছড়া ফরেস্ট ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের ড্রেস পরিহিত শিক্ষার্থীরা নিজেরা বইঠা হাতে নৌকা চালিয়ে এই ঘাটে ভিড়ছে।
এ সময় পূর্ণিমা মারমা ও মাসিনু মারমা নামের নবম শ্রেণিতে পড়া দুই শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল খোলা থাকার সময়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় কলাবুনিয়া পাড়া থেকে বের হয়। এরপর নিজেরে বইঠা টেনে ছোট নৌকায় করে আধা ঘণ্টা নৌপথ পাড়ি দিয়ে এবং এবং কিলোমিটার সড়কপথে স্কুলে আসে। বর্ষাকালে যেদিন বৃষ্টি বেশি হয়, সেদিন পাড়ার কেউ স্কুলে আসতে পারে না। কারণ ছাদ ছাড়া নৌকায় ভিজে যেতে হয়। আবার শুকনো মৌসুমে নদীর মাঝখানে পানি শুকিয়ে গিয়ে চর জেগে ওঠে। তখনো স্কুলে আসতে পারে না, ফলে পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে।
এ সময় নবম শ্রেণিতে পড়া অপর দুই শিক্ষার্থী হ্লাক্রইচিং মারমা ও উক্রাক্রো মারমা এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুইক্রাপ্রু মারমা বলে, যখন নদীতে জোয়ার থাকে তখন নৌকা চালাতে সহজ হয়, আবার ভাটা পড়ে গেলে নদীর কিনারে এসে অপেক্ষা করি কখন জোয়ার আসবে।
শিক্ষার্থীরা সবাই একটি ছাদওয়ালা বোটের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে। সেই সঙ্গে কর্ণফুলী নদী যাতে ড্রেজিং করে নাব্য সংকট দূর হয় সেই দাবিও জানায়।
চিৎমরম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবুনিয়াপাড়ার ইউপি সদস্য অংখেস মারমা বলেন, ‘আমাদের এই পাড়ায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ছেলেমেয়েরা চিৎমরম ও কাপ্তাই ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। ছোট নৌকায় করে তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যায়। কর্ণফুলী নদীতে নিজেরাই বইঠা বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের। বড় বোট থাকলে সবাই একসঙ্গে স্কুলে যেতে পারত।
কাপ্তাই শহীদ শামসুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ এবং কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, কলাবুনিয়া পাড়া থেকে অনেক শিক্ষার্থী তাঁদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। যেদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, সেদিন তারা স্কুল আসতে পারে না। কারণ কর্ণফুলী নদী পাড় হয়ে তাদের স্কুলে আসাটা কঠিন ব্যাপার।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম কলাবুনিয়া মারমাপাড়ার মেয়ে পূর্ণিমা মারমা, মাসিনু মারমা, সুইক্রাপ্রু মারমা, হ্লাক্রইচিং মারমা ও উক্রাক্রো মারমা । তাঁরা কাপ্তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকায় অবস্থিত শহীদ শামসুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। তবে তাদের স্কুলের যাওয়া-আসার পথটা মোটেই সহজ নয়। কারণ বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য নৌকা চালিয়ে কর্ণফুলী নদী পেরোতে হয় তাদের।
শুধু এই পাঁচ শিক্ষার্থী নয়, পাড়াটির অন্য শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই নদী পেরোতে হয়। এই পাড়ায় কোনো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কাপ্তাইয়ের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। তারা সবাই নিজেরা বইঠা দিয়ে নৌকা চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে কর্ণফুলী নদী পাড় হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়।
আজ রোববার সকাল ৯টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ এলাকার চৌধুরী ছড়া ফরেস্ট ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের ড্রেস পরিহিত শিক্ষার্থীরা নিজেরা বইঠা হাতে নৌকা চালিয়ে এই ঘাটে ভিড়ছে।
এ সময় পূর্ণিমা মারমা ও মাসিনু মারমা নামের নবম শ্রেণিতে পড়া দুই শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল খোলা থাকার সময়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় কলাবুনিয়া পাড়া থেকে বের হয়। এরপর নিজেরে বইঠা টেনে ছোট নৌকায় করে আধা ঘণ্টা নৌপথ পাড়ি দিয়ে এবং এবং কিলোমিটার সড়কপথে স্কুলে আসে। বর্ষাকালে যেদিন বৃষ্টি বেশি হয়, সেদিন পাড়ার কেউ স্কুলে আসতে পারে না। কারণ ছাদ ছাড়া নৌকায় ভিজে যেতে হয়। আবার শুকনো মৌসুমে নদীর মাঝখানে পানি শুকিয়ে গিয়ে চর জেগে ওঠে। তখনো স্কুলে আসতে পারে না, ফলে পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে।
এ সময় নবম শ্রেণিতে পড়া অপর দুই শিক্ষার্থী হ্লাক্রইচিং মারমা ও উক্রাক্রো মারমা এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুইক্রাপ্রু মারমা বলে, যখন নদীতে জোয়ার থাকে তখন নৌকা চালাতে সহজ হয়, আবার ভাটা পড়ে গেলে নদীর কিনারে এসে অপেক্ষা করি কখন জোয়ার আসবে।
শিক্ষার্থীরা সবাই একটি ছাদওয়ালা বোটের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে। সেই সঙ্গে কর্ণফুলী নদী যাতে ড্রেজিং করে নাব্য সংকট দূর হয় সেই দাবিও জানায়।
চিৎমরম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবুনিয়াপাড়ার ইউপি সদস্য অংখেস মারমা বলেন, ‘আমাদের এই পাড়ায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ছেলেমেয়েরা চিৎমরম ও কাপ্তাই ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। ছোট নৌকায় করে তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যায়। কর্ণফুলী নদীতে নিজেরাই বইঠা বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের। বড় বোট থাকলে সবাই একসঙ্গে স্কুলে যেতে পারত।
কাপ্তাই শহীদ শামসুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ এবং কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, কলাবুনিয়া পাড়া থেকে অনেক শিক্ষার্থী তাঁদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। যেদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, সেদিন তারা স্কুল আসতে পারে না। কারণ কর্ণফুলী নদী পাড় হয়ে তাদের স্কুলে আসাটা কঠিন ব্যাপার।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে