বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কর্মচারীর বেতনসহ পাওনা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী কর্মচারী মোহাম্মদ ফয়সাল।
মোহাম্মদ ফয়সাল নিজেই বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে রোয়াংছড়ি ভূমি অফিসে চেইনম্যান পদে যোগদান করেন। আগের কর্মকর্তাদের সময় পদ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে পারলেও বর্তমান কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী তাঁকে দিয়ে নিজের বাসার বাজার করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, এমনকি নিজের কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করানোর কাজও করাতেন। একদিন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাপড় পরিষ্কার করতে অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। এরপর থেকে অফিসে গেলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দেন।
ডিসির কাছে দেওয়া আবেদনের নথি সূত্রে জানা গেছে, এর আগে উপজেলার ছাইঙ্গ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে খুরশিদা নাহারের নামে বরাদ্দ আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর কোনো ঠিকাদার নির্মাণ করতে রাজি না হওয়ায় ঘরটি ফয়সালকে নির্মাণ করে দিতে বলেন। এ কাজে ফয়সাল অপারগতা জানালেও লোকসান হলে ইউএনও ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। আশ্বাস পেয়ে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি বরাদ্দের ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে ইউএনও ফয়সালের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তোলেন।
সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৪০ হাজার টাকা রেখে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন। দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার ও পরবর্তী সময়ে আরও ৪০ হাজার মিলিয়ে মোট ২ লাখ টাকা দেন। টাকা শেষ হয়ে গেলে বাকি কাজ শেষ করতে ইউএনওর কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘তুই কাজ নিয়েছিস, যেমনে পারিস কাজ শেষ করে বোঝায় দে।’ না হলে চাকরিচ্যুত ও মামলা করার হুমকি দেন। উপায় না পেয়ে ঋণ নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। বর্তমানে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উপায়ান্তর না দেখে পাওনা টাকা ফিরে পেতে গতকাল সোমবার ইউএনওর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ফয়সাল জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক যদি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ফয়সালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কর্মচারীর বেতনসহ পাওনা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী কর্মচারী মোহাম্মদ ফয়সাল।
মোহাম্মদ ফয়সাল নিজেই বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে রোয়াংছড়ি ভূমি অফিসে চেইনম্যান পদে যোগদান করেন। আগের কর্মকর্তাদের সময় পদ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে পারলেও বর্তমান কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী তাঁকে দিয়ে নিজের বাসার বাজার করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, এমনকি নিজের কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করানোর কাজও করাতেন। একদিন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাপড় পরিষ্কার করতে অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। এরপর থেকে অফিসে গেলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দেন।
ডিসির কাছে দেওয়া আবেদনের নথি সূত্রে জানা গেছে, এর আগে উপজেলার ছাইঙ্গ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে খুরশিদা নাহারের নামে বরাদ্দ আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর কোনো ঠিকাদার নির্মাণ করতে রাজি না হওয়ায় ঘরটি ফয়সালকে নির্মাণ করে দিতে বলেন। এ কাজে ফয়সাল অপারগতা জানালেও লোকসান হলে ইউএনও ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। আশ্বাস পেয়ে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি বরাদ্দের ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে ইউএনও ফয়সালের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তোলেন।
সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৪০ হাজার টাকা রেখে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন। দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার ও পরবর্তী সময়ে আরও ৪০ হাজার মিলিয়ে মোট ২ লাখ টাকা দেন। টাকা শেষ হয়ে গেলে বাকি কাজ শেষ করতে ইউএনওর কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘তুই কাজ নিয়েছিস, যেমনে পারিস কাজ শেষ করে বোঝায় দে।’ না হলে চাকরিচ্যুত ও মামলা করার হুমকি দেন। উপায় না পেয়ে ঋণ নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। বর্তমানে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উপায়ান্তর না দেখে পাওনা টাকা ফিরে পেতে গতকাল সোমবার ইউএনওর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ফয়সাল জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক যদি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ফয়সালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
২ ঘণ্টা আগে