জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
ভোর থেকে হই হুল্লোড়। চট্টগ্রামের সব পথ গিয়ে মিশেছে যেন চট্টগ্রামের রেল স্টেশনে। পুরো স্টেশনে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উচ্ছ্বাস। ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে কক্সবাজার রুটের প্রথম ট্রেনটি। ট্রায়াল ট্রেন হলেও প্রায় বগিতেই রেল সংশ্লিষ্টদের ভরপুর। তাঁদের চোখেমুখে যেন রাজ্যজয়ের আনন্দ।
চট্টগ্রামের স্টেশন মাস্টার রতন কুমার ট্রেন চলাচলের হুইসেল দিলেন। ট্রেন পরিচালক লিটন পতাকা ওড়ালেন। চালক মাহুফুজুর রহমান রুকন হুইসেল পেয়ে, লম্বা হুইসেল বাজালেন। তারপর চালক ইঞ্জিনের অটোমেটিক ব্রেকরিলিজ (ট্রেন অগ্রসর হওয়ার জন্য একধরনের সিস্টেম) দিলেন। গড়াতে শুরু করল ট্রেনের চাকা। সময় তখন সকাল ৯টা। প্রথম কক্সবাজার ট্রেন যাত্রী নিয়ে এগিয়ে চলে। বিকেলে পৌঁছে কক্সবাজারগামী ট্রেনটি।
ট্রেন কর্মীদের কেউ বলছেন স্বপ্নপূরণ। কারও কথায়, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কেউ বা শোনান এই ট্রেনকে ঘিরে নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কথা। আর কক্সবাজার রুটে ট্রেন যখন যাচ্ছিল, উৎসুক মানুষের হাত নেড়ে বাহবা দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। ট্রেন চলার খবরে কক্সবাজার জুড়ে যেন খুশির বন্যা।
চকরিয়া স্টেশনের ঠিক আগে ট্রেনটি যখন একটু ধীরে চলল, মানুষের আবেগের কথাগুলো কানে এসে ধরা দিল। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা শুরু করল, ‘ও বাজিরে ট্রেন আইয়ের। ও বাপ, ট্রেন আসতেছে।’
চকরিয়া স্টেশনের আগে সকাল থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুর করিম। তিনি বলেন, ‘আরার স্বপ্নপূরণ হইয়ে। এই আবেগ হডে রাখি।’ কথা বলতে বলতেই ট্রেনকে ছুঁয়ে দেখলেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন, এই ট্রেনে উঠে যেতেই। কিন্তু তাকে নামিয়ে দেওয়া হলো। কারণ এটি যে ট্রায়াল ট্রেন।
তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়ায় কক্সবাজার বাসিন্দাদের মধ্যে। ট্রেনটি পরিদর্শন দেখতে এদিন কক্সবাজার স্টেশনে সকাল থেকে বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
কক্সবাজার কলাতলী এলাকার বাসিন্দা রফিক উল্লাহ। পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তিনি বললেন, ‘এখন সকালে শহরে গিয়ে আবার বাসায় ফিরতে পারব। রোটি রোজগার বেড়ে যাবে। দুঃখ আর রইল না।’
যাত্রীরা যা দেখবেন
শুরুতেই বিকট ঝন ঝন শব্দ জানান দেবে ট্রেন পার হচ্ছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। দুই পাশে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর নিরবধি বয়ে যাওয়া দেখে মন জুড়াবে। শান্ত–শ্যামল গ্রামগুলো পার হতে না হতেই পাহাড়ি গর্জন বনের সবুজে হারাবে ট্রেনটি। এরই মধ্যে দেখা মিলতে পারে বুনো হাতি, বানর কিংবা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর। দুই পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের অনাবিল সৌন্দর্য, পাহাড়ি ছড়া, ঝরনা, রাবারড্যাম, নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণে এমন দুর্দান্ত সব দৃশ্য দেখে চোখ জুড়াবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই নতুন রেলপথ পুরোদমে চালু হবে। এই ট্রেনযাত্রায় শহরের পর, বোয়ালখালী, পটিয়া, দোহাজারী ও সাতকানিয়ার উপজেলা পার হলেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট, দেখা মিলবে সবুজ পাহাড়, টিলাসহ আরও কত কিছু।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুই পাশে সংরক্ষিত অরণ্যের সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া পর্যন্তও ঘন বন, চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। এরপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা আবারও সংরক্ষিত সবুজ বনাঞ্চল। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও পাশে পড়বে যাওয়ার পথে।
এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এলাকার মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন। ঈদগাঁও রাবারড্যামের পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময় দেখা যাবে রামুর রাবারবাগানও। এভাবে দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন কক্সবাজার।
যাওয়ার পথে চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বন পশুপাখি-বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এর মধ্য দিয়ে যাবে ট্রেনলাইন। এ ছাড়া লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরীর কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। দোহাজারী অংশে দেখা যাবে বান্দরবানের মদক পাহাড় থেকে নেমে আসা আঁকাবাঁকা সাঙ্গু নদীর প্রবাহ।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে ওঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকেবেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এই নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজারে।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপর পাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে হয়তো বিস্মিত হবেন! কারণ চোখে ধরা দেবে বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশন। এই ঝিনুকের ভেতরেই হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম এবং যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচুনিচু টিলা, বনভূমি, রাবার বন, সাফারি পার্ক ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই। ভাবা যায়!
৭ নভেম্বর ট্রায়াল রান বাতিল, ১১ নভেম্বর উদ্বোধন
দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল) হওয়ার কথা ছিল আগামী মঙ্গলবার। কিন্তু ওই দিন ট্রায়াল রানের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রুটের ট্রেন উদ্বোধন করবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা। তিনি বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত ৭ তারিখের ট্রায়াল রান বাতিল করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রুটের ট্রেন উদ্বোধন করবেন।’ রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই দিন ৭ নভেম্বর সময় দিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে এই রুটে আজ যে ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এতে পুরোনো ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি নতুন ইঞ্জিনের চেয়ে ওজন অনেক কম। এ ছাড়া মাত্র আটটি বগি নিয়ে কক্সবাজারে গেছে।
ভোর থেকে হই হুল্লোড়। চট্টগ্রামের সব পথ গিয়ে মিশেছে যেন চট্টগ্রামের রেল স্টেশনে। পুরো স্টেশনে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উচ্ছ্বাস। ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে কক্সবাজার রুটের প্রথম ট্রেনটি। ট্রায়াল ট্রেন হলেও প্রায় বগিতেই রেল সংশ্লিষ্টদের ভরপুর। তাঁদের চোখেমুখে যেন রাজ্যজয়ের আনন্দ।
চট্টগ্রামের স্টেশন মাস্টার রতন কুমার ট্রেন চলাচলের হুইসেল দিলেন। ট্রেন পরিচালক লিটন পতাকা ওড়ালেন। চালক মাহুফুজুর রহমান রুকন হুইসেল পেয়ে, লম্বা হুইসেল বাজালেন। তারপর চালক ইঞ্জিনের অটোমেটিক ব্রেকরিলিজ (ট্রেন অগ্রসর হওয়ার জন্য একধরনের সিস্টেম) দিলেন। গড়াতে শুরু করল ট্রেনের চাকা। সময় তখন সকাল ৯টা। প্রথম কক্সবাজার ট্রেন যাত্রী নিয়ে এগিয়ে চলে। বিকেলে পৌঁছে কক্সবাজারগামী ট্রেনটি।
ট্রেন কর্মীদের কেউ বলছেন স্বপ্নপূরণ। কারও কথায়, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কেউ বা শোনান এই ট্রেনকে ঘিরে নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কথা। আর কক্সবাজার রুটে ট্রেন যখন যাচ্ছিল, উৎসুক মানুষের হাত নেড়ে বাহবা দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। ট্রেন চলার খবরে কক্সবাজার জুড়ে যেন খুশির বন্যা।
চকরিয়া স্টেশনের ঠিক আগে ট্রেনটি যখন একটু ধীরে চলল, মানুষের আবেগের কথাগুলো কানে এসে ধরা দিল। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা শুরু করল, ‘ও বাজিরে ট্রেন আইয়ের। ও বাপ, ট্রেন আসতেছে।’
চকরিয়া স্টেশনের আগে সকাল থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুর করিম। তিনি বলেন, ‘আরার স্বপ্নপূরণ হইয়ে। এই আবেগ হডে রাখি।’ কথা বলতে বলতেই ট্রেনকে ছুঁয়ে দেখলেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন, এই ট্রেনে উঠে যেতেই। কিন্তু তাকে নামিয়ে দেওয়া হলো। কারণ এটি যে ট্রায়াল ট্রেন।
তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়ায় কক্সবাজার বাসিন্দাদের মধ্যে। ট্রেনটি পরিদর্শন দেখতে এদিন কক্সবাজার স্টেশনে সকাল থেকে বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
কক্সবাজার কলাতলী এলাকার বাসিন্দা রফিক উল্লাহ। পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তিনি বললেন, ‘এখন সকালে শহরে গিয়ে আবার বাসায় ফিরতে পারব। রোটি রোজগার বেড়ে যাবে। দুঃখ আর রইল না।’
যাত্রীরা যা দেখবেন
শুরুতেই বিকট ঝন ঝন শব্দ জানান দেবে ট্রেন পার হচ্ছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। দুই পাশে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর নিরবধি বয়ে যাওয়া দেখে মন জুড়াবে। শান্ত–শ্যামল গ্রামগুলো পার হতে না হতেই পাহাড়ি গর্জন বনের সবুজে হারাবে ট্রেনটি। এরই মধ্যে দেখা মিলতে পারে বুনো হাতি, বানর কিংবা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর। দুই পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের অনাবিল সৌন্দর্য, পাহাড়ি ছড়া, ঝরনা, রাবারড্যাম, নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণে এমন দুর্দান্ত সব দৃশ্য দেখে চোখ জুড়াবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই নতুন রেলপথ পুরোদমে চালু হবে। এই ট্রেনযাত্রায় শহরের পর, বোয়ালখালী, পটিয়া, দোহাজারী ও সাতকানিয়ার উপজেলা পার হলেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট, দেখা মিলবে সবুজ পাহাড়, টিলাসহ আরও কত কিছু।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুই পাশে সংরক্ষিত অরণ্যের সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া পর্যন্তও ঘন বন, চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। এরপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা আবারও সংরক্ষিত সবুজ বনাঞ্চল। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও পাশে পড়বে যাওয়ার পথে।
এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এলাকার মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন। ঈদগাঁও রাবারড্যামের পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময় দেখা যাবে রামুর রাবারবাগানও। এভাবে দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন কক্সবাজার।
যাওয়ার পথে চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বন পশুপাখি-বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এর মধ্য দিয়ে যাবে ট্রেনলাইন। এ ছাড়া লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরীর কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। দোহাজারী অংশে দেখা যাবে বান্দরবানের মদক পাহাড় থেকে নেমে আসা আঁকাবাঁকা সাঙ্গু নদীর প্রবাহ।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে ওঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকেবেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এই নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজারে।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপর পাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে হয়তো বিস্মিত হবেন! কারণ চোখে ধরা দেবে বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশন। এই ঝিনুকের ভেতরেই হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম এবং যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচুনিচু টিলা, বনভূমি, রাবার বন, সাফারি পার্ক ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই। ভাবা যায়!
৭ নভেম্বর ট্রায়াল রান বাতিল, ১১ নভেম্বর উদ্বোধন
দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল) হওয়ার কথা ছিল আগামী মঙ্গলবার। কিন্তু ওই দিন ট্রায়াল রানের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রুটের ট্রেন উদ্বোধন করবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা। তিনি বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত ৭ তারিখের ট্রায়াল রান বাতিল করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রুটের ট্রেন উদ্বোধন করবেন।’ রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই দিন ৭ নভেম্বর সময় দিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে এই রুটে আজ যে ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এতে পুরোনো ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি নতুন ইঞ্জিনের চেয়ে ওজন অনেক কম। এ ছাড়া মাত্র আটটি বগি নিয়ে কক্সবাজারে গেছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে