কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রায় ২৩ কোটি টাকার ওষুধ ও মালপত্র কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ টেন্ডার কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা ড্যাব কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাসপাতালের জন্য ১৩টি টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ওষুধ কেনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এসব টেন্ডারে বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ইনজেকশন থাওপেন্টাল সোডিয়াম (১ গ্রাম, ৪০০০ ভায়েল) কেনা হয়েছে ৫১ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়, যেখানে বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকার বেশি নয়। একইভাবে অ্যারোভাসটাটিন ২০ এমজি ট্যাবলেট কেনা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়, যা হাসপাতালের জন্য আগামী ১৫-২০ বছরেও খরচ হবে না। শুধু একটি ইনজেকশনই (প্রতি ভায়েল ১০১ টাকার বাজারমূল্যের বদলে ১ হাজার ২৯৯ টাকা দরে) কিনে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার কুমেক হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে ড্যাব আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব অভিযোগ তোলা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হায়দার, হাসপাতাল শাখার সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম তারেক, সেক্রেটারি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হাসপাতালের পরিচালক ও টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ এবং সহকারী পরিচালক নিসাত সুলতানা। একই সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ড্যাব নেতারও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়।
এরপর গত সোমবার রাতে সংগঠনের মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা ড্যাব কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ড্যাব কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হায়দার বলেন, ‘এম এম হাসান আমাকে জানিয়েছিলেন—তিনি টেন্ডার কমিটির সভাপতি হতে চান। টেন্ডার-বাণিজ্যের বিষয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না, আমি শুধু যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা-ই করেছি। আমাকে ব্যবহার করে তিনি প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, আমি একটি টাকাও নিইনি। এখন দেখানো হচ্ছে যেন আমি চাঁদাবাজ বা টেন্ডারবাজ। আমি মেডিকেলের কোনো কর্মকর্তা নই, তবুও দায় চাপানো হচ্ছে আমার ওপর।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছুর মূল হোতা হাসপাতালের পরিচালক। যাঁর কাছ থেকে টাকা যায়, তিনিই মূলভাবে দায়ী।’
ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি অভিযোগ। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। কেন্দ্রীয় ড্যাব চাইলে তদন্ত করুক, আমি স্বচ্ছতার পক্ষে।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার ড্যাব সভাপতি মিনহাজুর রহমান তারেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির অঙ্গসংগঠনে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে তা লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় ড্যাবে জানাতে হবে। ড্যাব কুমিল্লা শাখা-সংক্রান্ত অভিযোগ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ড্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই, অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো অনিয়ম হয়নি। কেউ চাইলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে যাচাই করতে পারেন।’ জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশনের অতিরিক্ত দামের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এটিকে প্রিন্টিং মিসটেক বলে দাবি করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রায় ২৩ কোটি টাকার ওষুধ ও মালপত্র কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ টেন্ডার কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা ড্যাব কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাসপাতালের জন্য ১৩টি টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ওষুধ কেনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এসব টেন্ডারে বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ইনজেকশন থাওপেন্টাল সোডিয়াম (১ গ্রাম, ৪০০০ ভায়েল) কেনা হয়েছে ৫১ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়, যেখানে বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকার বেশি নয়। একইভাবে অ্যারোভাসটাটিন ২০ এমজি ট্যাবলেট কেনা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়, যা হাসপাতালের জন্য আগামী ১৫-২০ বছরেও খরচ হবে না। শুধু একটি ইনজেকশনই (প্রতি ভায়েল ১০১ টাকার বাজারমূল্যের বদলে ১ হাজার ২৯৯ টাকা দরে) কিনে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার কুমেক হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে ড্যাব আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব অভিযোগ তোলা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হায়দার, হাসপাতাল শাখার সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম তারেক, সেক্রেটারি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হাসপাতালের পরিচালক ও টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ এবং সহকারী পরিচালক নিসাত সুলতানা। একই সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ড্যাব নেতারও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়।
এরপর গত সোমবার রাতে সংগঠনের মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা ড্যাব কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ড্যাব কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হায়দার বলেন, ‘এম এম হাসান আমাকে জানিয়েছিলেন—তিনি টেন্ডার কমিটির সভাপতি হতে চান। টেন্ডার-বাণিজ্যের বিষয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না, আমি শুধু যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা-ই করেছি। আমাকে ব্যবহার করে তিনি প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, আমি একটি টাকাও নিইনি। এখন দেখানো হচ্ছে যেন আমি চাঁদাবাজ বা টেন্ডারবাজ। আমি মেডিকেলের কোনো কর্মকর্তা নই, তবুও দায় চাপানো হচ্ছে আমার ওপর।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছুর মূল হোতা হাসপাতালের পরিচালক। যাঁর কাছ থেকে টাকা যায়, তিনিই মূলভাবে দায়ী।’
ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি অভিযোগ। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। কেন্দ্রীয় ড্যাব চাইলে তদন্ত করুক, আমি স্বচ্ছতার পক্ষে।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার ড্যাব সভাপতি মিনহাজুর রহমান তারেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির অঙ্গসংগঠনে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে তা লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় ড্যাবে জানাতে হবে। ড্যাব কুমিল্লা শাখা-সংক্রান্ত অভিযোগ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ড্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই, অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো অনিয়ম হয়নি। কেউ চাইলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে যাচাই করতে পারেন।’ জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশনের অতিরিক্ত দামের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এটিকে প্রিন্টিং মিসটেক বলে দাবি করেন।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি নওগাঁয়। আর খাদ্য কর্মকর্তা ওমর ফারুকও ওই জেলার বাসিন্দা। সাবেক মন্ত্রীর আশীর্বাদে দুই বছর আট মাস আগে রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চেয়ারে বসেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মর্যাদার কর্মকর্তা ওমর ফারুক। আওয়ামী সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের টানাপোড়েনের মধ্যে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে ‘স্থানীয় চাপ’। তিন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেসকালের রোদে জমিতে দাঁড়িয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ের কৃষক আফসার উদ্দীন; সামনে পানিতে ডুবে আছে সবুজ ধানের চারা, কিন্তু মুখে নেই কোনো আনন্দ। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ক্লান্ত কণ্ঠে তিনি আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বললেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি তলিয়ে যায়। বছরে তিনবার চারা রোপণ করেছি, কিন্তু একবারও ঘরে তুলতে...
২ ঘণ্টা আগেশারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-৩। এ সময় মোতায়েন থাকবে রোবাস্ট টহল, বসবে চেকপোস্ট, ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন পরিষদে এক সংবাদ...
৩ ঘণ্টা আগে