Ajker Patrika

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্য সাবেক মেয়র-সিডিএ চেয়ারম্যানদের দায়ী করলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর বির্জাখাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম নগরীর বির্জাখাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য সাবেক সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানদের দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে নগরীর বির্জাখাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে খালটিতে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম গত এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে এমন জলাবদ্ধতা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আমি প্রাইমারি, হাইস্কুল, এমনকি চট্টগ্রাম কলেজেও পড়ালেখা করেছি। তখন এমন পরিস্থিতি ছিল না। এই জলাবদ্ধতা একেবারে মানবসৃষ্ট। যাঁরা আগে নগরের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি। খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাড়ি, অফিস ও মার্কেট।’

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘খননের পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, খাল পরিষ্কার করেও সেখানে আবার ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে পুরো উদ্যোগটাই ব্যর্থ হয়। আমরা ১০ হাজার ডাস্টবিন দিয়েছি। এখন থেকে সবাইকে ওই ডাস্টবিনেই ময়লা ফেলতে হবে। আমরা বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি, ময়লা বিনে না ফেলে বাইরে ফেললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যা কিছু প্রয়োজন, তা আমরা করব। কাজ করতে আগ্রহী সবাইকে সুযোগ দিচ্ছি। এখন নাগরিকদের দায়িত্ব খাল পরিষ্কার রাখা। একদিকে খাল খনন করে অন্যদিকে আবার ময়লা ফেললে কোনো ফল হবে না।’

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। তাহলেই নগরকে সুন্দর রাখা সম্ভব।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী জানান, বির্জাখাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৪ দিনে ৩ হাজার ফুটের মধ্যে ১ হাজার ৮০০ ফুটের কাজ শেষ হয়েছে। ঈদুল আজহার আগেই বাকি অংশের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়া উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত