অনলাইন ডেস্ক
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন হার অনুযায়ী, এখন থেকে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সুদহার হবে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সরকারের আয় ও ঋণ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে মধ্যবিত্ত এবং সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার থেকেই এই নতুন মুনাফা হার কার্যকর হয়েছে।
নতুন হার ও বিনিয়োগের সীমা
নতুন নিয়মে, সঞ্চয়পত্রের সুদহার বিনিয়োগের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল। ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার কমে আসবে। অর্থাৎ, কম বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি মুনাফা পাবেন।
বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের পরিবর্তিত হার
পরিবার সঞ্চয়পত্র: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারেও পরিবর্তন এসেছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছর মেয়াদী পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৫০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৯৩ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র: পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার কমানো হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে মুনাফা ১২.৫৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৯৮ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কমানো হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৪০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলেও মুনাফা কমবে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৩০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮২ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২.২৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৭৭ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাব: ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদী হিসাবেও মুনাফার হার কমেছে।
তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮২ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার ১২.২৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৭৭ শতাংশ।
কিছু ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত
তবে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
পুরানো সঞ্চয়পত্রের জন্য বিশেষ নিয়ম
১ জুলাই, ২০২৫ তারিখের আগে ইস্যু হওয়া সব জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ক্ষেত্রে ইস্যুকালীন মেয়াদে ওই সময়ের মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে। তবে, পুনর্বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনর্বিনিয়োগের তারিখের মুনাফার হার কার্যকর হবে। সরকার জানিয়েছে, আগামী ছয় মাস পর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনরায় পর্যালোচনা ও পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন হার অনুযায়ী, এখন থেকে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সুদহার হবে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সরকারের আয় ও ঋণ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে মধ্যবিত্ত এবং সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার থেকেই এই নতুন মুনাফা হার কার্যকর হয়েছে।
নতুন হার ও বিনিয়োগের সীমা
নতুন নিয়মে, সঞ্চয়পত্রের সুদহার বিনিয়োগের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল। ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার কমে আসবে। অর্থাৎ, কম বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি মুনাফা পাবেন।
বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের পরিবর্তিত হার
পরিবার সঞ্চয়পত্র: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারেও পরিবর্তন এসেছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছর মেয়াদী পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৫০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৯৩ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র: পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার কমানো হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে মুনাফা ১২.৫৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৯৮ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কমানো হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৪০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলেও মুনাফা কমবে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১২.৩০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮২ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২.২৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৭৭ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাব: ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদী হিসাবেও মুনাফার হার কমেছে।
তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার ১২.৩০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৮২ শতাংশ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার ১২.২৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৭৭ শতাংশ।
কিছু ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত
তবে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
পুরানো সঞ্চয়পত্রের জন্য বিশেষ নিয়ম
১ জুলাই, ২০২৫ তারিখের আগে ইস্যু হওয়া সব জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ক্ষেত্রে ইস্যুকালীন মেয়াদে ওই সময়ের মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে। তবে, পুনর্বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনর্বিনিয়োগের তারিখের মুনাফার হার কার্যকর হবে। সরকার জানিয়েছে, আগামী ছয় মাস পর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনরায় পর্যালোচনা ও পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
১৪ ঘণ্টা আগেনানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রথা অনুযায়ী আগামীকাল ১ জুলাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিনে ব্যাংক হলিডে পালিত হচ্ছে। ফলে দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে ব্যাংকের অফিসগুলো খোলা থাকবে এবং লেনদেন ছাড়া অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলবে। একই দিনে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও।
১৯ ঘণ্টা আগেইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ সোমবার দেশের সকল ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২০ ঘণ্টা আগে